হেফাজতে থাকার পর যুবকের মৃত্যু, ৫ পুলিশকর্মী আটক ত্রিপুরায়

দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলায় চুরির অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয় এক যুবককে। মুক্তি পাওয়ার দুই দিন পর ২৬ বছর বয়সী ওই যুবক বাড়িতে মারা যায়। এই ঘটনায় পাঁচজন পুলিশ কর্মীকে আটক করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ত্রিপুরার সাব্রুমে। নিহত বাদল ত্রিপুরা জেলার কালাদেপা এলাকার বাসিন্দা। এই ঘটনার জেরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে স্থানীয় মানুষ। এর প্রতিবাদে মনুবাজার আগরতলা-সাব্রুম জাতীয় সড়কে রাস্তা অবরোধ করা হয়। বৃহস্পতিবার থানার কাছে একটি বিক্ষোভও দেখানো হয়। স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, পুলিশ বাদলকে নির্যাতন করার জন্যই তার মৃত্যু হয়েছে।

 
সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, সাব্রুম মহকুমা পুলিশের কর্তা নিত্যানন্দ সরকার জানিয়েছেন, বাদলের পরিবারের নির্যাতনের অভিযোগের ভিত্তিতে মনুবাজার থানায় নিযুক্ত পাঁচ পুলিশ কর্মীকে আটক করা হয়েছে। দুই কনস্টেবল এবং তিন আধিকারিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানো হয়েছে। নিত্যানন্দ সরকার বলেন, ‘পুলিশ নেশাগ্রস্ত বাদল ত্রিপুরাকে গ্রেপ্তার করে পরের দিন অর্থাৎ ১৪ অক্টোবর তাকে ছেড়ে দেয়। ১৬ অক্টোবর তিনি বাড়িতে মারা যান। ভুক্তভোগীর পরিবার অভিযোগ দায়ের করেছে যে বাদল দুই পুলিশকর্মী এবং তিনজন পুলিশ আধিকারিকের নির্যাতনে মারা গেছে। ‘
 
ঘটনার সূত্রপাত গত ১৩ অক্টোবর। একটি গুদাম থেকে রবার শিট চুরির অভিযোগে গ্রেফতার হন ওই যুবক। স্থানীয় মানুষই তাঁকে পুলিশের হাতে তুলে দেন। পরের দিনই মুক্তি পেয়ে যান তিনি। তবে, বাড়ি ফেরার পর থেকেই অসুস্থ বোধ করতে থাকেন ওই যুবক। বুধবার তাঁর মৃত্যু হয়। হেফাজতে থাকাকালীন নির্যাতনের অভিযোগ জানিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছে পরিবার।

বৃহস্পতিবার স্থানীয় মানুষ ওই পুলিশকর্মীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান। মানুবাজারের কাছে আগরতলা-সাব্রুম জাতীয় সড়ক অবরোধও করা হয়।