পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের রত্নভান্ডারে কোনও গোপন কুঠুরি নেই, জানালেন ওড়িশার আইনমন্ত্রী

জগন্নাথ মন্দিরের রত্নভাণ্ডারের মধ্যে কোনও গোপন কুঠুরি নেই। ওড়িশা সরকারের তরফে একথা জানানো হল।  ওড়িশার আইনমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ হরিচন্দন ঘোষণা করেন, আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার প্রাথমিক রিপোর্টে কোনও গোপন কুঠুরির  অস্তিত্ব মেলেনি। তবে প্রাথমিক গবেষণায় ধরা পড়েছে যে ভিতরে একটি ফাটল তৈরী হয়েছে। সেটির দ্রুত মেরামতি প্রয়োজন। নতুন বছর থেকে জগন্নাথ মন্দিরের রত্ন গোনার কাজ শুরু হবে। গ্রাউন্ড পেনিট্রেটিং রাডার অর্থাৎ জিপিআর রিপোর্ট এলে সরকার সাতদিনের মধ্যেই প্রতিবেদন প্রকাশ করবে বলেও জানানো হয়েছে।   

 
নতুন বছরের শুরুতে জগন্নাথ মন্দিরের রত্নভাণ্ডারের যাবতীয় গয়না ও মূল্যবান ধাতু গণনার কাজ শুরু করার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। পাশাপাশি ভল্টের কাঠামোর একটি চূড়ান্ত রিপোর্ট এক সপ্তাহের মধ্যে জমা দেওয়া হবে। তার আগে ওড়িশা সরকার জানিয়েছে, পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের মধ্যে কোনও গোপন কুঠুরি বা কক্ষ নেই। এই সুড়ঙ্গ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই গুজব চলছিল। মন্দির চত্বরে হওয়া সর্বশেষ জিপিআর সমীক্ষায় গোপন কুঠুরির কোনও ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি।যদিও ছোটখাটো ফাটল দেখা গিয়েছে। এএসআই দ্রুত ভল্টের প্রয়োজনীয় মেরামত শুরু করবে বলে মনে করা হচ্ছে। কার্তিক পূর্ণিমার উৎসব শেষ হওয়ার পর এই মেরামতির কাজে হাত দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ হরিচন্দন। কারণ কার্তিক মাসের উৎসবে প্রচুর ভক্ত মন্দিরে আসেন। মেরামতির কাজ  শেষ হতে একমাসেরও বেশি সময় লাগতে পারে বলে আইনমন্ত্রী জানান।
 
আইনমন্ত্রী হরিচন্দন নিশ্চিত করেছেন যে, এএসআই তার মেরামতির কাজ সম্পন্ন করার পর রত্নভাণ্ডারে সংরক্ষিত গয়নাগুলির গণনা ও মূল্যায়ন শুরু হবে। এই সময় মন্দিরের মূল্যবান এই সমস্ত সম্পদ এবং তার নথিপত্রের সুরক্ষার জন্য যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই নিয়ে মন্দির কর্তৃপক্ষ ও এএসআই কর্তাদের একাধিকবার বৈঠকও হয়েছে।  মেরামতের সময়সূচি এবং কাজের পরিকল্পনা করার উদ্দেশে আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী।