লোকসভায় বিরোধীদের বাক স্বাধীনতা থাকছে না,  রাহুল-অধীরের পর সরব হলেন মহুয়া  

দিল্লি, ১৬ মার্চ – লোকসভায় বিরোধীদের বাক স্বাধীনতা থাকছে না। কেকেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বারবার এমন অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা। সংসদের সাম্প্রতিক অধিবেশনও এই অভিযোগে সরগরম হয়ে ওঠে। এবার লোকসভার স্পিকারের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগে সরব হলেন মহুয়া মৈত্র। বৃহস্পতিবার সকালে একটি টুইট করে  লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার বিরুদ্ধে  বক্তব্য রাখতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তোলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। এই টুইটের জন্য ‘জেলে যেতেও রাজি’ বলে লিখেছেন মহুয়া।

লন্ডন সফরে গিয়ে রাহুল গান্ধী অভিযোগ করেছিলেন, ভারতের সংসদে বিরোধীদের মুখ খুলতে দেওয়া হয় না। তাঁদের মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়। রাহুলের এই মন্তব্য ঘিরে বিজেপি-কংগ্রেস তরজায় গত তিনদিন সংসদ অধিবেশন পণ্ড হয়েছে। অধীরও স্পিকারকে চিঠি দিয়ে বিরোধীদের বলতে না দেওয়ার অভিযোগ তুলেছিলেন বুধবার।  তবে রাহুল ইস্যুতে বিজেপি বনাম কংগ্রেসের তরজা নিয়ে মৌন ছিল তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু এবার কংগ্রেস নেতার সুরেই সরব হয়েছেন সাংসদ মহুয়া মৈত্র।  টুইটে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার লেখেন , “গত তিন দিন ধরে স্পিকার ওম বিড়লা কেবল মাত্র বিজেপি-র মন্ত্রীদের কথা বলার সুযোগ দিচ্ছেন। তারপর লোকসভা মুলতুবি করে দিচ্ছেন। এক জনও বিরোধী সদস্যদের কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে না। গণতন্ত্র আক্রমণের মুখে। স্পিকার সামনে থেকে সেই আক্রমণের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এই টুইটের জন্য আমি জেলে যেতেও রাজি।”

লোকসভার অন্দরে বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করায় গণতন্ত্র আক্রান্ত হচ্ছে বলে মনে করেন মহুয়া। সরকারের বিরুদ্ধে অতীতেও বিভিন্ন বিষয়ে সরব হয়েছিলেন মহুয়া।

প্রসঙ্গত, গত কয়েক দিন ধরেই দফায় দফায় উত্তাল হয়েছে সংসদের দুই কক্ষ। দিন কয়েক আগে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর বক্তৃতা দেওয়া নিয়ে সরব হয় বিজেপি। রাহুলকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানান সরকার পক্ষের নেতারা। অন্যদিকে, মূল্যবৃদ্ধি এবং আদানির মতো ইস্যুতে সরব বিরোধীরাও। এই নিয়েই গত তিন ধরে উত্তেজনা ছড়ায় সংসদে। বৃহস্পতিবারও মুলতুবি হয়ে যায় লোকসভা ও রাজ্যসভা। তৃণমূল সাংসদরা মুখে কালো কাপড় বেঁধে প্রতিবাদ করেন ।


বুধবার স্পিকার ওম বিড়লাকে দেওয়া এক চিঠিতে লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরীও কথা বলতে না দেওয়ার অভিযোগ করেছিলেন। তিনি লিখেছিলেন, “সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় হাউসে বিশৃঙ্খলা করা হচ্ছে। ১৩ মার্চ সংসদ খোলার পর থেকেই সরকারি মদতে বিশৃঙ্খলা দেখে আমি গভীর মর্মাহত। এটা একটা সরকারি ষড়যন্ত্র। বিরোধী নেতা রাহুল গান্ধীর ভাবমূর্তি নষ্ট করতে সরকার বেশি তৎপর। এর পাশাপাশি যে বিষয়টি আরও ভয়ঙ্কর যে, সংসদে বিরোধীদের কথা শোনাই হচ্ছে না।”

……………