কলকাতা, ৬ মার্চ – ৬৪ লক্ষ টাকার সাইবার জালিয়াতি মামলায় বিহারের গয়ার মাওবাদী অধ্যুষিত গ্রামে হানা দিয়ে সাইবার অপরাধীকে গ্রেপ্তার করল লালবাজারের পুলিশ ।করোনা পরিস্থিতিতে একটি নামী সিমেন্ট সংস্থার ভুয়ো ওয়েবসাইট বানিয়ে ৬৪ লক্ষ টাকার সাইবার জালিয়াতি করা হয় । পুলিশসূত্রে খবর, ধৃত যুবকের নাম চন্দন কুমার। ২০২০ সাল থেকে এই জালিয়াতি শুরু হয়।করোনা পরিস্থিতিতে নির্মাণের কাজের জন্য সিমেন্ট অমিল হয়ে পড়ে। সেই সুযোগে সক্রিয় হয়ে ওঠে জালিয়াত চক্র। একটি নামী সিমেন্ট সংস্থার ভুয়ো ওয়েবসাইট বানানো হয়।যাঁরা যোগাযোগ করতেন, তাঁদের সঙ্গে মোবাইলে কথা বলত সাইবার জালিয়াতরা। আগাম টাকা দিলে সিমেন্টের বস্তা পাঠানো হবে বলে আশ্বস্ত করা হতো । সেইমতো কয়েকটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নম্বর দেওয়া হয়। সেই অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠাতে শুরু করেন ব্যবসায়ীরা।
২০২১ সালে লালবাজারের সাইবার থানায় ছাড়াও দক্ষিণ কলকাতার নিউ আলিপুর, বেহালা ও বিধাননগর কমিশনারেটের একটি থানায় এই ব্যাপারে অভিযোগ দায়ের হয়। পুলিশের কাছে মোট ৬৪ লক্ষ টাকা তোলার অভিযোগ আসে। লালবাজারের গোয়েন্দারা তদন্ত শুরু করেন। লালবাজারের সাইবার থানার আধিকারিকরা জানতে পারেন যে, বিহারের গয়া জেলার ওয়াজিরগঞ্জ থানা এলাকার কুরকিহার এলাকায় গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে চন্দন কুমার নামে ওই ব্যক্তি। এরপর মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে ওই ব্যক্তিকে ধরা হয়। গভীর রাতে ওই জঙ্গল লাগোয়া গ্রামে হানা দেন গোয়েন্দারা। অভিযুক্তর বাড়ি ঘিরে ধরে তল্লাশি চালিয়ে তাকে ধরা হয়। সোমবার ধৃতকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হলে তাকে ১৪ মার্চ পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক। পুলিশের কাছে খবর, ওই চক্রের মধ্যমণি কলকাতার এক বাসিন্দা। এবার তার সন্ধান চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।