২৭শে ফেব্রুয়ারী রাজ্যের ১০৮টা পৌরসভার নির্বাচন। দীর্ঘ ৭ বছর বাদে মানুষের কাছে সুযোগ এসেছে নিজের গনতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করবার৷
রিষড়ার ২২ নং ওয়ার্ড যেন একটা বিছিন্ন ব-দ্বীপের মতো। যেখানে দিকে দিকে তৃনমুল কংগ্রেসের দাপট। সেইখানে এই একটা অঞ্চলে বারবার বেগ পেতে হয়েছে সবুজ শিবির ‘কে। বামপন্থীদের দুর্গ বললেও ভুল হবেনা।
কিন্তু ২০১৫ সালে এখানেও বামপন্থীদের ভোটে ধস নেমে আসে। খুব সামান্য ভোটে বামপন্থী প্রার্থী সুদীপ সাহা পরাজিত হয়।
কিন্তু দুর্ভাগ্য বশত ২০১৭ সালে এলাকার কাউন্সিলরের অকাল প্রয়াণ ঘটে। অর্থাৎ প্রায় ৫ বছর কাউন্সিল ছাড়া এলাকার মানুষ।
এমত অবস্থায় এলাকার মানুষ শাসক দলের উপর ক্ষুব্ধ। ২২ নং ওয়ার্ডের রেলপার্ক অঞ্চলে খোঁজ নিয়ে আমরা দেখেছি এখানে উন্নয়ন বলতে কিছুই হয়নি।
এলাকার একাংশের রাস্তার,আলোর বেহাল দশা। পার্শ্ববর্তী দাসপাড়া অঞ্চলের বেশ কিছু জায়গায় আলো প্রায় নেই বললেই চলে।
নবীনপল্লী এবং লক্ষীপল্লী অঞ্চলে জল নিকাশি অবস্থা শোচনীয়। আমি এলাকাকে সাজিয়ে তুলতে চাই।
রাস্তা-ঘাট, জল নিকাশী ব্যবস্থা,সব জায়গায় পর্যাপ্ত আলো,শিক্ষা,স্বাস্থ্য প্রতিটা বিভাগে কাজ করবার জায়গা রয়েছে।
এমনকি এখানে আর একটা মাঠও নেই সেই মাঠ গুলোকে যাতে ক্রীড়ার ক্ষেত্রে কাজে লাগানো যায় সেইদিকেও বিশেষ নজর থাকবে।
আর তাছাড়াও পুরোবোর্ড গড়ে রিষড়ার মানুষ বহুদিনের দাবী রেলগেটের আন্ডারপাস,রবীন্দ্রসদন, সেবাসদনের পরিষেবা’কে বাস্তবায়িত করা হবে প্রাথমিক অগ্রাধিকার। সর্বোপরি এলাকার মানুষ বলছেন হাতের কাছেই তারা কাউকে চান।
(বি: দ্র- এই মতামত সম্পূর্ণ প্রার্থীর নিজস্ব এবং এই বিষয়ে দৈনিক স্টেটসম্যান এবং দ্য স্টেটসম্যান কোন ভাবে দায়ী বদ্ধ নয়)