জীবনটা থমকে গেছে, কিন্তু কালের রোষে হঠাৎ পুরোনো হয়ে যাওয়া স্মৃতিগুলো নিয়েই জীবনে এগিয়ে যাবেন–ব্রিগেডিয়ার লিড্ডারকে শেষ শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করতে গিয়ে হয়তো মনে মনে এমনটাই বললেন তার নাবালিকা কন্যা আশনা লিড্ডার।
তামিলনাড়ুর কুন্নুরে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ব্রিগেডিয়ার লিড্ডারের প্রয়াণের খবর দিল্লিতে এসে পৌছতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন লিড্ডার পরিবারের সদস্যরা। ব্রিগেডিয়ার লিড্ডারের কন্যা আশনা লিড্ডার মন শক্ত করে শেষকৃত্য করলেও তারপরই কান্নায় ভেঙে পড়েন।
তিনি বলেন, “এই বছর সতেরোয় পা দেব। আমি বাবার সঙ্গে কাটানো সমস্ত আনন্দের মুহুর্তগুলো নিয়ে এগিয়ে যাব। ব্রিগেডিয়ার লিড্ডার একজন দেশনায়ক ছিলেন। ওনার চলে যাওয়া জাতীয় ক্ষতি।
উনি আমার বন্ধু ছিলেন, আমার জীবনের প্রেরণা ছিলেন। কিন্তু আমার ভাগ্যে হয়তো এটাও ছিল’। ব্রিগেডিয়ার লিড্ডারের স্ত্রী চোখের জল সামলে বলেন, ‘আমি একজন সৈনিকের স্ত্রী।
ব্রিগেডিয়ার লিড্ডারের চলে যাওয়া তার সন্তানদের জন্য একটা অপূরণীয় ক্ষতি। উনি একজন ভালো বাবা ছিলেন, সন্তানদের সঙ্গে তার বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছিল। তাকে বিদায় জানাতে হবেই, এটা অবর্ণনীয় কষ্টের, তবুও হাসি মুখেই বিদায় জানালাম’।
দিল্লি ক্যান্টনমেন্টের ব্রার স্কোয়ার শ্মশানে ব্রিগেডিয়ার লখবিন্দর সিং লিড্ডারের শেষকৃত্যে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল ও তিন বাহিনীর প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা ন্যাশানাল ডিফেন্স অ্যাকাডেমিতে লিড্ডারের সহপাঠী রাজ্যবর্ধন রাঠোরও শেষকৃত্যের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।