আরজি কর কাণ্ডকে ঘিরে তিলোত্তমা উত্তাল হলেও ভাটার টান পড়েনি প্যান্ডেল দর্শনে। সেই কারণে মহালয়ার পর থেকেই শহরের মণ্ডপে মণ্ডপে দেখা গিয়েছিল দর্শনার্থীদের ভিড়। অন্যদিকে ভিড়ের মধ্যে যেন কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেই কারণে প্রস্তুতও ছিল কলকাতা পুলিশ। চতুর্থী থেকেই শুরু হয়েছিল শহরে পুলিশের নজরদারি। একই সঙ্গে সাধারণ মানুষের স্বার্থে রাজপথে নামানো হয়েছিল দশ হাজার পুলিশ। আর তাতেই মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানো, বেপরোয়া গতিসহ একাধিক অপরাধে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হল ১৪ হাজারেরও বেশি জনকে। পাশাপাশি, উশৃঙ্খল আচরণের জন্য পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে ১৩১৮ জন।
কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, পুজোর শহরে বেড়েছিল ট্রিপল রাইডিং। যা মোটর ভেইক্যাল অ্যাক্ট অনুযায়ী দণ্ডনীয় অপরাধ। সেই অপরাধে গ্রেপ্তার করা হয়েছে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার জনকে। অন্যদিকে ধরপাকড় চলেছে বেপরোয়া গতি, মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানোসহ অন্যান্য অপরাধের বিরুদ্ধেও। আর তাতেই গ্রেপ্তার হয়েছে ৭ হাজারেরও বেশি। যদিও গ্রেপ্তারির সংখ্যা বেশি হেলমেটবিহীন বাইক সওয়ারীতে। পুজোর শহরে হেলমেট ছাড়া বাইক চালানোর জন্য কলকাতা ট্রাফিক পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে ৭১০৯জন। পাশাপাশি, রাতের শহরে চলেছে নাকা তল্লাশিও। তাতেই ধরা পড়েছে প্রায় তিরিশ লিটার বেআইনি মদ।