কলকাতা:- কার্যত নিয়ম ভেঙে একের পর এক বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। আর এরপরেই পাল্টা বার্তা শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর। রাজ্যপাল যে নিয়োগ করেছেন তা যাতে প্রত্যাখ্যান করা হয় সেই বার্তাও দিয়েছেন তিনি।
সূত্রের খবর, একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদ শূন্য অবস্থায় রয়েছে। এই অবস্থায় বুধবার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস একটি বৈঠক করেন। সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে রাজভবনে হওয়া এই বৈঠকে শিক্ষা দফতরের কোনও প্রতিনিধি ছিল না। তাদের এড়িয়েই এই বৈঠক হয়। আর এই বৈঠকের ২৪ ঘন্টার মধ্যেই কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় সহ একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ করে দিলেন আচার্য সিভি আনন্দ বোস।
সূত্রের খবর, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হচ্ছেন অমিতাভ দত্ত। দীর্ঘদিন ওই বিশ্ববিদ্যালয়েই সহ উপাচার্য হিসাবে কাজ করেছেন তিনি। তবে কেউই বিদায়ী কিংবা আগে উপাচার্য হিসাবে কাজ করেছেন এমন কেউ নেই। তবে রাজ্যপালের এই কাজে চরম ক্ষুব্ধ শিক্ষা দফতর। কড়া ভাষায় সোশ্যাল মিডিয়াতে বার্তা দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
রাজ্যপালের এই কাজের অধিকার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, এই বিষয়ে আইনি পথেও শিক্ষা দফতর হাটতে পারে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। এই বিষয়ে আইনজীবীদের সঙ্গেও আলোচনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী। তবে যাদেরকে নিয়োগ করা হচ্ছে তারা যাতে আচার্যের এই নির্দেশ না মানেন সেই বার্তাও শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু তাঁর সোশ্যাল মিডিয়াতে দিয়েছেন। সূত্রের খবর, বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে সার্চ কমিটি রয়েছে। কিন্তু এক্ষেত্রে কোনও নিয়মই মানা হয়নি বলে দাবি শিক্ষা দফতরের।
উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন আগেই বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের থেকে সাপ্তাহিক রিপোর্ট তলব করে রাজভবন। ওই রিপোর্ট না জমা দেওয়াতে বেশ কয়েকজন উপাচার্যকে শোকজ পর্যন্ত করা হয়। যা নিয়ে রাজভবন এবং নবান্নের মধ্যে সংঘাত তৈরি হয়। আর এই অবস্থায় কার্যত এবার একধাপ এগিয়ে উপাচার্য নিয়োগ করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। যা সবদিক থেকেই খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, রাজ্যপাল আরও বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ করবে।