টেনিস কোর্টে নোভাক জোকোভিচ র্যাকেট হাতে নামলেই সারা বিশ্ব তাকিয়ে থাকে ফলাফলের দিকে। শুধু তাই নয়, তিনি কীভাবে প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়কে ঘায়েল করবেন, তা নিয়েও সবাই অঙ্ক কষতে থাকেন। তাঁর খেলার মধ্যে সবসময় একটা অভিনবত্ব থাকে। সেই কারণেই প্রতিপক্ষ খেলোয়াড় কিছুতেই বুঝতে পারেন না, কখন কীভাবে তিনি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেবেন। কথায় আছে, বয়স কখনও কোনও খেলোয়াড়কে সেইভাবে পিছনে ঠেলে দিতে পারে না।
সেখানে খেলোয়াড়ের মানসিকতাই হাতিয়ার হয়ে থাকে। তিনি যদি ফিট থাকেন, সেখানে বয়সের কথা তুলে কী লাভ হবে? ঠিক এমনই উদাহরণ হলেন নোভাক জোকোভিচ। তাই তো মায়ামি ওপেনে নতুন রেকর্ড গড়লেন নোভাক জোকোভিচ। সবচেয়ে বেশি বয়সী খেলোয়াড় হিসাবে কোনও এটিপি মাস্টার্স ১০০০ প্রতিযোগিতার সেমিফাইনালে খেলার নজির গড়লেন প্রায় চল্লিশ বছর বয়সী জোকোভিচ। এই মুহূর্তে তিনি ৩৭ বছর ১০ মাস বয়সে এই কীর্তি স্থাপন করলেন জোকোভিচ। টপকে গিয়েছেন রজার ফেডেরারকে। ২০১৯ সালে ৩৭ বছর সাত মাস বয়সে ইন্ডিয়ান ওয়েলস এবং মায়ামি ওপেনের সেমিফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছিলেন ফেডেরার।
বৃহস্পতিবার রাতে সেবাস্তিয়ান কোরদাকে ৬-৩, ৭-৬ গেমে হারিয়েছেন জোকোভিচ। জয়ের পর জোরে চিৎকার করতে থাকেন সার্বিয়ার খেলোয়াড়। গ্যালারি থেকে তাঁর কোচ অ্যান্ডি মারেও আবেগ সামলে রাখতে পারেননি। ১০০তম এটিপি ট্যুর খেতাব থেকে জোকোভিচ আর দু’টি জয় দূরে অর্থাৎ ফাইনালে যদি তিনি জিততে পারেন, তাহলে এক নতুন ইতিহাস গড়বেন।
ম্যাচের পর বলেছেন, ‘গোটা প্রতিযোগিতাতেই দারুণ সার্ভ করছি। তবে এদিনের ম্যাচে দ্বিতীয় সেটে বেশি ভাল সার্ভ করেছি। টাইব্রেকারে দুটো পয়েন্টই আমার জয়ের পথকে সহজ করে দিয়েছে। সেমিফাইনালে গ্রিগর দিমিত্রভের বিরুদ্ধে খেলবেন জোকোভিচ। এখন থেকেই তিনি তার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন। এ দিকে, মহিলাদের সিঙ্গলসে বিশ্বের এক নম্বর ইগা শিয়নটেককে হারিয়ে চমকে দিয়েছিলেন উঠতি প্রতিভা আলেকজ়ান্দ্রা এয়ালা। তাঁর দৌড় শেষ। সেমিফাইনালে জেসিকা পেগুলা তাঁকে ৭-৬, ৫-৭, ৬-৩ গেমে হারিয়েছেন।