দিল্লি, ২০ আগস্ট— দিল্লি সরকারের মদ বিক্রি নীতি নিয়ে তদন্তকারী সংস্থার বক্তব্য, উপমুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়া যে আবগারী বা মদ বিক্রি নীতি চালু করেছিলেন সেটির খসড়া তৈরি করে দিয়েছিলেন মুম্বইয়ের একটি বিনোদন ও ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির প্রাক্তন কর্তা। তিনি দুটি বড় মদের কোম্পানির মালিকের সঙ্গে পরামর্শ করে খসড়া চূড়ান্ত করেন।
এদিকে, সিবিআই তাঁর দিল্লির বাড়িতে হানা দেওয়ার ২৪ ঘণ্টা পর দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মনীশ আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তদন্তকারীরা তাঁকে দু-চার দিনের মধ্যেই জেলে পুরে দিতে পারে। কেন তিনি এমন আশঙ্কা প্রকাশ করছেন তা ব্যাখ্যা করেননি মনীশ।
যদিও সিবিআই সূত্রে জানা গেছে আপাতত তাদের এখনই এরকম কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি । তবে পরিস্থিতির দ্রুত বদল ঘটতে পারে। মনীশকে মন্ত্রী পদে রেখে তদন্ত কতদূর সম্ভব সেই প্রশ্ন উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে দিল্লির উপ রাজ্যপালের ১৭ জন আইএএস অফিসারকে এক সঙ্গে বদলি করে দেওয়ার সিদ্ধান্তে। ওই অফিসারেরা কেজরিওয়াল ও সিসোদিয়ার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে আমলা মহলের খবর।
তদন্তে জানা যায়, সরকারের তৈরি বিশেষজ্ঞ কমিটি যে মদ নীতি তৈরি করে দিয়েছিল, মনীশ সেটি খারিজ করে দেন। প্রশ্ন উঠেছে, কার পরামর্শে মনীশ এই সিদ্ধান্ত করেছিলেন। কারণ, এমন সিদ্ধান্ত কোনও দফতর একা নিতে পারে না। মদ নীতি তৈরির জন্য কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছিল মন্ত্রিসভার বৈঠকে।
তদন্তকারী সংস্থার বক্তব্য, মদ নীতির খসড়া মুম্বইয়ে লেখা হয়েছিল, দিল্লিতে নয়। সিবিআই দাবি করেছে সিসোদিয়ার পরামর্শে মুম্বইয়ের সেই এন্টারটেইনমেন্ট অ্যান্ড ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির প্রাক্তন সিইও বিজয় নায়ার মদ বিক্রির নতুন নীতির ব্লুপ্রিন্ট তৈরি করেছিলেন। ব্রিন্ডকো সেলসের আমনদীপ ধল এবং ইন্দো স্পিরিটস গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সমীর মহেন্দ্র এই কাজে নায়ারকে সহায়তা করেন।