দিল্লি, ১০ অক্টোবর – আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে দিল্লির আপ বিধায়কের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালাল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। মঙ্গলবার সকালেই ওই বিধায়কের বাড়িতে যান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকেরা। আর্থিক দুর্নীতির একটি মামলায় তাঁর নাম জড়িয়ে পড়ে। দিল্লির ওখলা বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক আপ নেতা আমানতুল্লা খানের বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের অভিযোগ রয়েছে। সেই সূত্রেই আর্থিক দুর্নীতি বিরোধী আইনে বিধায়কের বাড়িতে মঙ্গলবার সকাল থেকে তল্লাশি অভিযান শুরু করে ইডি।
আমানতুল্লা খান দিল্লির ওখলা কেন্দ্রের বিধায়ক। দিল্লি ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান পদেও রয়েছেন তিনি। চেয়ারম্যান থাকাকালীন দিল্লি ওয়াকফ বোর্ডের অবৈধ নিয়োগ মামলার সঙ্গে আমানতুল্লা খান জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ। তিনি সরকারি নির্দেশ উপেক্ষা করে এবং নিয়মবিরুদ্ধভাবে ৩২ জনকে অবৈধভাবে দিল্লি ওয়াকফ বোর্ডে নিয়োগ করেন বলে অভিযোগ।
আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে দিল্লি দুর্নীতিদমন ব্যুরো এবং সিবিআই পৃথক ভাবে এফআইআর দায়ের করে। আপ বিধায়ক আমানতুল্লা খানের নাম ছিল সেই এফআইআরে। দিল্লি ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান আমানতুল্লা খান। ওয়াকফ বোর্ডে নিয়োগে অনিয়ম এবং দুর্নীতির সন্ধান পান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। এফআইআরের ভিত্তিতে ইডি আর্থিক দুর্নীতির তদন্ত শুরু করেছে।
যদিও ইডির এই অভিযানের পিছনে রাজনৈতিক চক্রান্ত দেখছেন অনেকে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার মাধ্যমে বিরোধীদের হেনস্থার অভিযোগ দিল্লির পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গেও বার বার উঠেছে। অভিযোগ, ইডি, সিবিআইয়ের মতো সংস্থাগুলিকে রাজনৈতিক অভিপ্রায়ে কাজে লাগিয়ে আসছে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রসঙ্গত, গত বুধবার আপ নেতা তথা রাজ্যসভার বিধায়ক সঞ্জয় সিংকে গ্রেফতার করেছে ইডি। দিল্লি আবগারি দুর্নীতি ও আর্থিক তছরুপের মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে সঞ্জয় সিংকে গ্রেফতার করা হয়।