তামিলনাড়ু এবং পুদুচেরিতে সবথেকে বেশি প্রভাব পড়েছিল ঘূর্ণিঝড় ফেনজলের। উপকূল এলাকায় ঝড়ের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার। এর জেরে বিভিন্ন এলাকায় ভূমিধস হয়েছে। সেই কারণ মৃত্যুও হয়েছে একাধিক। স্থানীয় সূত্রে খবর, তামিলনাড়ুতে একই পরিবারের ৭ জন নিখোঁজ হয়ে গেছে। তারা সকলেই মৃত বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, তিরুভান্নামালাইয়ের আন্নামালাই পাহাড়ের কাছে থাকা একটি পরিবার ধসের নীচে চাপা পড়ে গেছে। তাদের কাউকেই এখনও পর্যন্ত উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। কারণ ঝড়ের দাপট কমে গেলেও এখনও ভারী বৃষ্টি হচ্ছে ওই অঞ্চলে। তার জেরে উদ্ধারকাজে বাধা সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাস্থলে রয়েছে পুলিশ এবং দমকলের কর্মীরা। সেখানকার জেলাশাসকও উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছেন।
বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সাহায্য ধসের মাটি সরিয়ে গোটা পরিবারকে উদ্ধার করার চেষ্টা জারি রয়েছে। জেলাশাসক জানিয়েছেন, কেউ বেঁচে আছেন কিনা তা জানতে পরিবারের ২-৩ জন সদস্যের নম্বরে ফোন করা হয়েছিল। কিন্তু তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এতেই আরও আশঙ্কা বেড়েছে। প্রবল বৃষ্টির কারণে ওই অঞ্চলে একাধিক বাড়ি এবং গাছও ভেঙে পড়েছে।
রবিবার ভোর সাড়ে ৫টার মধ্যে শক্তি হারায় এই ঘূর্ণিঝড়। তারপরে তা পরিণত হয়েছে গভীর নিম্নচাপে। ঝড়ের পর প্রবল বৃষ্টিতে চেন্নাইয়ের বিস্তীর্ণ অংশ জলমগ্ন। পুদুচেরিতেও ডুবে গিয়েছে নিচু এলাকায়। অনেক স্কুল এবং হাসপাতালও জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। ইতিমধ্যেই ব্যাহত হয়েছে ট্রেন চলাচলও।