দৈনিক সংক্রমণ বাড়লেও কমেছে মৃতের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৩২৫ জনের। দৈনিক সংক্রমণ বা পজিটিভিটি রেট প্রায় সাড়ে ৬ শতাংশ। সুস্থতার হার সামান্য কমেছে বুধবারের তুলনায়।
বৃহস্পতিবার দৈনিক সুস্থতার হার ৯৭.৮১ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায়সুস্থ হয়েছেন ১৯ হাজার ২০৬ জন। বেড়েছে সক্রিয় রোগীর সংখ্যাও।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী সক্রিয় রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২ লক্ষ ৮৫ হাজার ৪০১। লাখের দোরগোড়ায় পৌঁছে গেল দেশের দৈনিক কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের বৃহস্পতিবারের রিপোর্ট অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৯০ হাজার ৯২৮ জন, যা বুধবারের তুলনায় ৫৬ শতাংশ বেশি।
বুধবার দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৫৮ হাজার ৯৭। রাজ্যগুলির মধ্যে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি মহারাষ্ট্রে। এই রাজ্যে মোট ওমিক্রন আক্রান্ত ৭৯৭ জন। সুস্থ হয়েছেন ৩৩০ জন।
তার পরই রয়েছে দিল্লি (৪৬৫), রাজস্থান (২৩৬), কেরল (২৩৪), কর্নাটক (২২৬), গুজরাত (২০৪)। দেশজুড়ে বাড়ছে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যাও। ২৬ টি রাজ্যে কোভিডের এই নতুন রূপ ছড়িয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী , দেশে ওমিত্রশ্ন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২ হাজার ৬৩০। বুধবার এই সংখ্যাটি ছিল ২ হাজার ১৩৫। দেশের মোট ওমিক্রন আক্রান্তের মধ্যে ৯৯৫ জন সুস্থ হয়েছেন।
একদিনে দেশে এই মারণ ভাইরাসের কবলে পড়লেন ৯০ হাজারেরও বেশি মানুষ। অ্যাকটিভ কেস বাড়ল ৭০ হাজারেরও বেশি। দেশে দ্রুত ডেল্টার মতো গতিতে সংক্রমণ ছড়াবে ওমিক্রন।
সেক্ষেত্রে আরও বাড়বে সংক্রমণের গতি। চলতি মাসের শেষেই দেশের দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিতীয় ঢেউয়ের মতো হয়ে যেতে পারে।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশে ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ৯০ হাজার ৯২৮ জন, যা আগের দিনের তুলনায় দেড়গুণেরও বেশি। পজিটিভিটি রেট রাতারাতি বেড়ে ৬.৪৩ শতাংশ।
এটাও আগের দিনের থেকে প্রায় ৪০ শতাংশ বেশি। এদিকে দেশের ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৬৩০ জন। এর মধ্যে মহারাষ্ট্রে আক্রান্ত ৭৯৭, দিল্লি ৪৯৫ জন।
এদিকে মারণ ভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে প্রাণ হারিয়েছেন ৩২৫ জন। গতকালের এই সংখ্যাটাই সামান্য স্বস্তিদায়ক। এখনও পর্যন্ত করোনায় দেশে মোট মৃতের সংখ্যা ৪ লক্ষ ৮২ হাজার ৮৭৬ জন।