নাওয়া-খাওয়া ভুলে টানা আড়াই দিন ধরে চলছিল উদ্ধার অভিযান। সকলেই আশায় বুক বাঁধছিলেন, আরিয়ান ঠিক বেঁচে ফিরবে। কিন্তু সমস্ত চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে গেল। জীবিত উদ্ধার করা গেল না আরিয়ানকে। রাজস্থানের দৌসায় ১৫০ ফুট গভীর কূপে পড়ে গিয়েছিল বছর পাঁচেকের শিশুটি। বুধবার রাতে প্রায় ৫৫ ঘণ্টার উদ্ধার অভিযান শেষে আরিয়ানের নিথর দেহ উদ্ধার করা হয়।
দ্রুত আরিয়ানকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। চিকিৎসকরা ওই শিশুকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। দৌসার চিফ মেডিক্যাল অফিসার জানান, আরিয়ানকে বাঁচানোর জন্য আমরা সবরকম চেষ্টা করেছিল। আমরা দু’বার ওর ইসিজি করেছি। শেষ পর্যন্ত শিশুটিকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রথমটি মেশিন ভেঙে যাওয়ার পরে উদ্ধারকাজের জন্য একটি দ্বিতীয় মেশিন আনতে হয়েছিল। ফলে কিছুটা সময় নষ্ট হয়। সোমবার দুপুর ৩টে নাগাদ খেলতে খেলতে ১৫০ ফুট গভীর কূপে পড়ে যায় সে। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল (এনডিআরএফ) এবং রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দল (এসডিআরএফ)-এর সদস্যেরা উদ্ধারকাজ শুরু করেন। একটি পাইপের মাধ্যমে শিশুটিকে অক্সিজেন পাঠানো হয়।
জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দলের (এনডিআরএফ) কর্মীরা জানান, গর্ত খনন করতে গিয়ে অনেক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয়। যার মধ্যে জলস্তর প্রায় ১৬০ ফুট গভীরে ছিল বলে অনুমান করা হয়েছে। নাঙ্গল সার্কেল অফিসার চারুল গুপ্তা জানিয়েছেন, কালীখাদ গ্রামে আরিয়ান তার বাড়ির কাছে খেলার সময় দুর্ঘটনাক্রমে ওই বোরওয়েলে পড়ে যায়। এনডিআরএফ-এর ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক যোগেশ কুমার এই প্রসঙ্গে বলেন, লড়াই করেছি। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক যে, আমরা সফল হতে পারলাম না।