• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

বিজেপি স্কিমে চলে, তৃণমূল চলে স্ক্যামে: মােদি

ভােটপ্রচারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি বাঁকুড়ার তিলাবেদিয়া সভা থেকে তৃণমূলকে উদ্দেশ্য করে বলেন,আমার মাথায় পা রাখুন,কিন্তু মানুষকে লাথি মারতে দেব না।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Photo: SNS)

ভােটপ্রচারে রাজ্যে এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি রবিবার বাঁকুড়ার তিলাবেদিয়ার সভা থেকে তৃণমূলকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আমার মাথায় পা রাখুন, কিন্তু মানুষ কে লাথি মারতে দেব না। নির্বাচনে জয়ী হতে পারবে জেনে এখন থেকেই ইভিএম নিয়ে নানা কথা বলতে শুরু করেছেন মমতা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে প্রকল্পে দুর্নীতি করা যায়, তা তৃণমূল চালু স্কিমে চলে, তৃণমূল চলে স্ক্যামে । রাজ্যে বিজেপিকে নির্বাচনে জয়ী করুন, ডাবল ইঞ্জিনের প্রকার আনতে সব বাধা দূর করুন। ডাবল ইঞ্জিন সরকার বাকুড়ার টেরাকোটা শিল্পে নজর দেবে।

বিজেপি ক্ষমতায় এলে বাঁকুড়ায় পর্যটনে জোর দেওয়া হবে, জোর দেওয়া হবে স্থানীয় শিল্পেও। ডাবল ইঞ্জিন সরকার এলেই বাঁকুড়ায় জলপ্রকল্প হবে নতুন শিক্ষানীতি জারি হবে। প্রধানমন্ত্রী অভিযােগ করে বলেন, সােনালি সময় বাম কংগ্রেস এবং তৃণমুল নষ্ট করেছে।

তাই সােনার বাংলার স্বপ্ন পূরণ করতে বিজেপি-কে ভােট দিন।তৃণমূল নেত্রী কেনাম না করে কটাক্ষ করে বলেন, গত বছরে দিদি রাজ্যবাসীর সঙ্গে খেলে, আপনার মন ভরেনি? এখনও বলছেন খেলা হবে? এ বার খেলা শেষ হবে, বিকাশ আরম্ভ হবে।

আপনি ভেবেছিলেন কেউ কোনও প্রশ্ন করবে না। কিন্তু গােটা রাজ্য প্রশ্ন করছে, কেন্দ্র কোটি কোটি টাকা রাজ্যকে দিয়েছে। কিন্তু বাঁকুড়ায় জল নেই কেন জমিতে জল নেই কেন? এ রাজ্যের মানুষের স্বপ্নকে লাথি মারতে দেব না, বাংলার বিকাশকে লাথি মারতে দেব না বিজেপি ক্ষমতায় এলে সিন্ডিকেট, কাটমানির খেলা চলবেনা দুর্নীতিবাজদের খেলা চলবে না। বাংলার মানুষ স্থির করেছেন মে দিদি যাচ্ছে, আর আসল পরিবর্তন আসছে।

প্রসঙ্গত, শনিবারই খাপুরে সভা করেছিলেন মােদী রয়েছে, তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ফের রাজ্য সফরে প্রধানমন্ত্রী। তার আগে বুধবার পুরুলিয়ায় সভা করেন তিনি। সেই অর্থে ৫ দিনে মােদীর তৃতীয় সভা রাজ্যে। রাজ্যে প্রথম দফার ভােটগ্রহণ আগামী ২৭ মার্চ। তার আগে শেষ রবিবার কাজে লাগাতে প্রচারে ঝাঁপাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

ফের আগামী ২৪ মার্চও রাজ্যে আসার কথা মােদীর। ওই দিন জনসভা রয়েছে তাঁর। তারকা প্রার্থী নিয়ে যখন রাজ্যজুড়ে অন্তহীন আলােচনা চলছে ঠিক সেই সময় রবিবার বাঁকুড়ায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদির। জনসভায় প্রচারের মুখ হয়ে সামনে এলেন চন্দনা বাউড়ি।

গ্ল্যামারের মােকাবিলায় স্থানীয় চন্দনাকেই সামনের সারিতে রাখল বিজেপি। এই তরুণী গৃহবধু বাঁকুড়া শালতােড়া কেন্দ্রের বিজেপির প্রার্থী। তিনি বিজেপির বাঁকুড়া জেলার সাংগঠনিক পদেও রয়েছেন। একেবারে আটপৌরে মহিলা। চেহারায় গরিব্বি ছাপ স্পষ্ট।

এদিন বাঁকুড়ার জনসভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাজনৈতিকভাবে আক্রমণ করতে গিয়ে মােদি বলেন, দিদির তাে আমার চেহারাও পছন্দ নয়।.. আমার চেহারা আপনি দেখুন বা না দেখুন, বাঁকুড়ার মেয়ে, আমাদের প্রার্থী চন্দনার চেহারা আপনি কখনও ভুললে না। আসলে চন্দনা শুধু শালতােড়ার প্রার্থী নয় বাংলার আকাঙ্খার প্রতীক, বিকাশের প্রতীক।

এই সেই চেহারা, যাকে আপনি বঞ্চিত করেছেন, যাকে তৃণমুলের তােলাবাজরা হেনস্থা করেছে। এটা সেই গরিবেরই চেহারা। এই চেহারাই এখন পশ্চিমবঙ্গের গরিব মানুষের হয়ে কথা বললে তাদের হক পাইয়ে দেবে। আসল পরিবর্তনের চেহারা এটাই। সােনার বাংলা নির্মাণের আসল শিল্পীই হল এই চেহারা।