ছত্তিশগড়ে যৌথ বাহিনী-মাওবাদী এনকাউন্টারে নিহত কমপক্ষে ৭ মাওবাদী 

বস্তার, ৩০ এপ্রিল – ছত্তিশগড়ের বস্তারে মাওবাদীদের বিরুদ্ধে অভিযানে বড় সাফল্য পেল পুলিশ ও  স্পেশাল টাস্ক ফোর্স বা এসটিএফ। গভীর  জঙ্গলে নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে নিহত হয়েছে কমপক্ষে সাত জন মাওবাদী। এদের মধ্যে ২ জন মহিলা।  জেলা রিজার্ভ গার্ড এবং স্পেশাল টাস্ক ফোর্স  যৌথ ভাবে নারায়ণপুর জেলায় অভিযান চালিয়ে ওই সাত জনকে নিকেশ করে। ঘটনাস্থল থেকে একে ৪৭ এবং বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক ও অন্যান্য জিনিস উদ্ধার করা হয়। বস্তার আইজি সুন্দররাজ পি এই এনকাউন্টারের খবর নিশ্চিত করেছেন।  

সূত্রের খবর, ছত্তিসগড় ও মহারাষ্ট্রের সীমান্ত এলাকা টেকমেটা এবং কাকুরের জঙ্গলে এই এনকাউন্টার হয়। সোমবার নারায়ণপুর-কাঙ্কের সীমান্তে আবুজমাদের জঙ্গলে মাওবাদীদের আস্তানার খোঁজে যান নিরাপত্তারক্ষীরা। অভিযান চলাকালীন মঙ্গলবার সকালে টেকমেটা এবং কাকুরের মধ্যবর্তী জঙ্গলে যৌথ বাহিনী এবং মাওবাদীদের যেমধ্যে এনকাউন্টার হয়। এনকাউন্টারের পর ঘটনাস্থল তল্লাশির সময় ২ জন মহিলা মাওবাদী-সহ মোট ৭ জন মাওবাদীরা দেহ উদ্ধার করা হয়।উদ্ধার করা হয়েছে অস্ত্রশস্ত্রও। দুষ্কৃতী দলের বাকি সদস্যদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
 
ছত্তিশগড়ের এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, ‘‘সোমবার রাত থেকে নারায়ণপুর-কাঙ্কের সীমান্ত এলাকার আবুজমাদের জঙ্গলে মাওবাদীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে ডিআরজি-এসটিএফের যৌথ দল। মঙ্গলবার সকালে যৌথবাহিনী কাঙ্কুর গ্রামে পৌঁছতেই মাওবাদীদের মধ্যে গুলির লড়াই শুরু হয়। ঘটনাস্থল থেকে দুই মহিলা-সহ সাত মাওবাদীর দেহ উদ্ধার হয়েছে।’’ নিরাপত্তারক্ষীরা নিরাপদে আছেন এবং এখনও এনকাউন্টার চলছে বলে এক সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন  ওপর একজন পুলিশ আধিকারিক।
 
প্রসঙ্গত বলা যায়, ছত্তিশগড়ে মাওবাদীদের বিরুদ্ধে অভিযানে ধারাবাহিকভাবে সাফল্য পাচ্ছে নিরাপত্তাবাহিনী। গত ১৬ এপ্রিল পুলিশ কাঙ্কেরে ২৯ জন মাওবাদীকে নিকেশ করে। তাঁদের মধ্যে ছিলেন মাওবাদী নেতা শঙ্কর রাও এবং ললিতা মেরাভি। এপ্রিল মাসের শুরুতেও ছত্তিশগড়ে  নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে নিহত হন ৩ জন মাওবাদী। তারও কিছু দিন আগে বিজাপুরে নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে এনকাউন্টারে ১৩ জন মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছিল। নিহতদের তালিকায় ছিলেন ৩ জন মহিলাও ছিলেন। তার পর বিজাপুরের জঙ্গলে নতুন করে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ।