ফের আর জি কর কাণ্ডের ছায়া উত্তরপ্রদেশের মোরাদাবাদে। কলকাতার সরকারি হাসপাতালে নৃশংস ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় যখন যখন গোটা দেশ উত্তাল, ঠিক সেই সময়ে মোরাদাবাদের এক বেসরকারি হাসপাতালে রাতের ডিউটিতে থাকা দলিত নার্সকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। চিকিৎসককে এই কাজে সাহায্য করার অভিযোগ উঠেছে এক ওয়ার্ড বয় এবং আরও এক নার্সের বিরুদ্ধে। ঘটনায় চিকিৎসক-সহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিস।
এই ঘটনায় নির্যাতিতার বাবা অভিযুক্তদের মৃত্যুদণ্ডের আবেদন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কাছে। তাঁর কথায়, “আমার মেয়ে স্নাতক স্তরে পড়ছে। গত তিন মাস ধরে ওই হাসপাতালে সে নার্সের কাজ করছে । হাসপাতালে বেতন ঠিকমতো হয় না। শুধু যাতায়াতের টাকা দেয়। ১৭ অগস্ট ওই হাসপাতালের চিকিৎসক মেয়েকে ধর্ষণ করেন। শুধু তাই-ই নয়, প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকি দেন।” নির্যাতিতার বাবা আরও জানান, চিকিৎসকের ঘর থেকে কোনও রকমে পালিয়ে এসে সকালের দায়িত্বে থাকা নার্সকে কাজ বুঝিয়ে বাড়িতে চলে আসেন তাঁর কন্যা। তার পর বিষয়টি বাড়িতে জানান।
উল্লেখ্য, গত ৯ অগস্ট ভোরে আরজি কর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চারতলায় সেমিনার কক্ষ থেকে উদ্ধার হয়েছিল মহিলা চিকিৎসকের দেহ। তাঁকে ধর্ষণ এবং খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। প্রাথমিক ভাবে ওই মামলার তদন্ত চালাচ্ছিল কলকাতা পুলিশ। এক জনকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ। এর পর কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে মামলার তদন্তভার যায় সিবিআইয়ের হাতে। আপাতত অভিযুক্ত সিবিআই হেফাজতে।