মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ দেওয়ার অভিযোগ, শো কজ করা হল ৫ জনকে

মেদিনীপুর পৌরসভা। চিত্র: ইন্টারনেট।

রোগীদের দেওয়া হচ্ছে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ! এমনই গুরুতর অভিযোগ উঠল মেদিনীপুর পৌরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের বিরুদ্ধে। অভিযোগের উপর ভিত্তি করে পৌরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের ৫ জন স্বাস্থ্যকর্মীকে এই ঘটনার কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে গঠন করা হয়েছে ২ সদস্যের তদন্ত কমিটি।

সূত্র মোতাবেক খবর, অক্টোবর মাসের ২৮ তারিখ মেদিনীপুর পৌরসভার ১১ নং ওয়ার্ডের অলিগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা চণ্ডীপ্রসাদ দত্ত পৌরসভার স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ওষুধ আনতে যান। তাঁর অভিযোগ, সেখান থেকে তাঁকে রক্তচাপের জন্য যে ওষুধগুলো দেওয়া হয়, সেগুলোর মেয়াদ অক্টোবর মাসেই উত্তীর্ণ হয়ে গিয়েছে। তিনি জানান, ‘এইগুলো যখন খেতে যাচ্ছি, আমার জামাই এসেছিল। জামাই বলল, “বাবা, এই ওষুধগুলো খেয়েছ?” আমি বললাম, না, খাইনি। ও তখন বলল “তাহলে এক কাজ কর, এগুলো আর খেয়ো না, এগুলো এক্সপায়ার্ড।” এই রকম ওষুধ খেলে তো আমি মারা যাব।’ অভিযোগ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আজকে গেছিলাম, অভিযোগ জানিয়ে এসেছি। আমি চাই এরকম যেন না হয়। কেন ঘটবে এমন?’

মেদিনীপুর পৌরসভার প্রাক্তন এই কর্মীর অভিযোগে বিক্ষোভ ছড়ায় স্থানীয়দের মধ্যে। পৌরপ্রধান সৌমেন খান জানান, এটা খুব বড়ো একটা ভুল। তিনি আরও জানান, এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ৫ জন স্বাস্থ্যকর্মীকে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। এই ৫ জনের মধ্যে ৩ জন আবার চিকিৎসক। এই ঘটনার তদন্তের জন্য তিনি পুরসভার এক্সিকিউটিভ অফিসার এবং ফাইন্যান্স অফিসারকে নিয়ে ২ মেম্বারবিশিষ্ট কমিটিও গঠন করেছেন। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ‘পৌরসভার চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা হয়েছে। বিষয়টি ঠিকঠাক ভাবে খতিয়ে দেখার জন্য বলেছি।’


প্রসঙ্গত, এই একইরকম ঘটনা কিছুদিন আগে মালদায় হয়েছিল। মালদার মৌলপুর ব্লকের প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ দেওয়া হয়েছিল রোগীকে। এই ব্যাপারে অভিযোগ জানানো হয় মালদার জেলাশাসকের কাছে।