ধানবাদ, ১২ নভেম্বর – ফের ট্রেন দুর্ঘটনা এবং সেই দুর্ঘটনার কারণে মৃত্যু ঝাড়খন্ডের। দুর্ঘটনা ঘটে ঝাড়খন্ডের কোডারমা জেলায়। পুরী-নয়া দিল্লি পুরুষোত্তম এক্সপ্রেস যখন ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটার বেগে ছুটছিল তখন আচমকা ট্রেনের সামনে ওভারহেড তার ছিঁড়ে পড়ে। ট্রেনচালক প্রবল শক্তি দিয়ে ব্রেক কষে ট্রেন থামান। প্রবল ঝাঁকুনিতে ট্রেনের মধ্যে দুই যাত্রীর মৃত্যু ঘটেছে বলে খবর।
পূর্ব-মধ্য রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার দুপুরে পুরী থেকে দিল্লির উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল পুরুষোত্তম এক্সপ্রেস। দুপুর ১২টা নাগাদ ট্রেনটির ওপর ওভারহেড তার ছিঁড়ে পড়ে। শুধু তাই নয়, ওই তার যে লোহার স্তম্ভের সঙ্গে লাগানো ছিল, তারও একাংশ ভেঙে পড়ে ট্রেনের ওপরই। তৎক্ষণাৎ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ট্রেনের গতি যেহেতু ঘণ্টার ১৩০ কিলোমিটার ছিল, তাই বড়সড় বিপদ ঘটতে পারত। ট্রেন উল্টে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। বিপদ বুঝে তড়িঘড়ি জরুরি ব্রেক কষেন চালক। আচমকা ব্রেক কষায় ট্রেনের মধ্যে প্রবল ঝাঁকুনি হয়। এদিক-ওদিক সব ছিটকে পড়ে। ঝাঁকুনির তীব্রতায় দুই জন যাত্রী গুরুতর আহত হন। তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও বাঁচানো যায়নি বলে খবর। দুর্ঘটনার জেরে প্রায় ঘণ্টা চারেক ওই লাইনের ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল।
ধানবাদ রেলওয়ে ডিভিশনের আধিকারিক অমরেশ কুমার বলেন, হঠাৎ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এমার্জেন্সি ব্রেক কষে ট্রেন থামাতে হয়। এর ফলে ট্রেনে ভয়ংকর ঝাঁকুনি হয়। আর তার ফলেই দুজনের মৃত্যু হয়েছে।
পরে একটি ডিজেল ইঞ্জিনের সাহায্য়ে পুরুষোওম এক্সপ্রেসকে গোমোহ স্টেশনে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর তাকে ইলেকট্রিক ইঞ্জিনের সঙ্গে যুক্ত করে দিল্লি পাঠানো হয়। এই খবর পেয়ে ধানবাদ রেলওয়ে ডিভিশন ম্যানেজার কে কে সিনহা ও তাঁর সঙ্গে উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। একের পর এক ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃত্যুর খবর ঘটে চলায় উদ্বিগ্ন যাত্রীরা, উদ্বিগ্ন প্রশাসন।