মণিপুরের ঘটনার পুনরাবৃত্তি , আদিবাসী মহিলাকে নগ্ন করে প্রকাশ্যে ঘোরানোর অভিযোগ 

প্রতাপগড়(রাজস্থান), ২ সেপ্টেম্বর – পারিবারিক বিবাদের জেরে এক মহিলাকে নগ্ন করে প্রকাশ্যে হাতানোর অভিযোগ উঠল রাজস্থানে। আবার ফিরে এল মণিপুরের স্মৃতি। এই ঘটনায় ওই মহিলার স্বামী-সহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে রাজস্থান পুলিশ। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অনেকে এখনও পলাতক বলে জানা গেছে।

পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ঘটনা গত বৃহস্পতিবার রাতের। অভিযুক্ত স্বামী জানতে পারে, তার স্ত্রী অন্য এক ব্যক্তির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছেন। আর সেই কারণেই ‘উচিত শিক্ষা’ দিতে ২১ বছরের তরুণীকে বাড়ির বাইরে বের করে নগ্ন করে সে। এমনকী তাঁকে মারধরও করা হয়। অপমানে, লজ্জায় চিৎকার করে সাহায্যের আর্জি জানান নির্যাতিতা। ঘটনার একটি ভিডিও ভাইরাল হয় , যদিও তার সত্যতা এখনো পর্যন্ত প্রমাণিত নয়।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে নির্যাতিতা মহিলার বাপের বাড়ি ও শ্বশুর বাড়ির মধ্যে বিবাদের জেরেই এই ঘটনা ঘটে।    
রাজস্থান পুলিশের ডিজি উমেশ মিশ্র জানান, প্রতাপগড় জেলার ধরিয়াবাদ থানা এলাকায় এক মহিলাকে নগ্ন করে রাস্তায় ঘোরানোর ভিডিও সামনে এসেছে।  নির্যাতিতা মহিলার স্বামী-শ্বশুর সহ মোট আটজন এই ঘটনায় জড়িত বলে অভিযোগ। এই ঘটনার নিন্দায় রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলত টুইট করেন।  সেখানে তিনি বলেন, এমন অপরাধীদের সভ্য সমাজে কোনও স্থান নেই। দ্রুত অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হবে। পাশাপাশি ফাস্ট ট্র্যাক আদালতে এই ঘটনার বিচার হবে বলে তিনি আশ্বাস দেন।  
 জানা গেছে, ওই তরুণী বিয়ের পরও অন্য এক ব্যক্তির সঙ্গে থাকছিলেন। যা জানতে পেরে তরুণীর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তাঁকে অপহরণ করে নিজেদের গ্রামে নিয়ে আসে। সেখানেই তাঁকে মারধর করে নগ্ন  করে হাঁটানো হয়। নৃশংস এই ঘটনার অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশের ছ’টি দল তৈরি করা হয়েছে। তিনজনকে গ্রেপ্তার করা গিয়েছে। দ্রুত বাকিদের গ্রেপ্তারের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে জাতীয় মহিলা কমিশন। মহিলা নির্যাতনের ঘটনায় পুলিশের কাছে আগামী ৫ দিনের মধ্যে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। 
এদিকে এই ঘটনায় বিজেপি বিধায়ক সুকান্ত মজুমদার বেধেঁন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।  সুকান্তর প্রশ্ন, মণিপুরে একই ধরনের ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেস সরব হয়েছিল। সেখানে প্রতিনিধিদলও পাঠিয়েছিল। কিন্তু রাজস্থানে ঘটে একই ধরণের ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নীরব কেন?