বাথরুমের ভেতরে সিল করা ড্রাম থেকে উদ্ধার মহিলার মৃতদেহ

কলকাতা, ১৪ নভেম্বর –  বাথরুমের ভেতরে রাখা সিল করা একটি ড্রাম থেকে উদ্ধার করা হল এক মহিলার মৃতদেহ। বাগুইআটি থানা এলাকার ঘটনা।  ড্রামের মুখটি সিমেন্ট দিয়ে সিল করা ছিল। তার মধ্যেই রাখা ছিল ওই মহিলার মৃতদেহ। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায় । তদন্ত শুরু করেছে বাগুইআটি থানার পুলিশ।

জগৎপুর বাজারের ভেতর গোপাল মুখোপাধ্যায় নামে স্থানীয় এক চিকিৎসকের বাড়ির একটি ভাড়া ঘরের বাথরুমে ড্রামের মধ্যে থেকে এক মহিলার পচাগলা দেহ উদ্ধার হয় মঙ্গলবার দুপুর বেলায়। ওই মহিলার নাম পরিচয় জানা যায়নি। বাড়ির মালিক ডাক্তার গোপাল মুখোপাধ্যায় বাড়ি পরিষ্কার করতে এসে দুর্গন্ধ পান। এরপর বাগুইআটি থানায় যান তিনি। পরে ঘটনাস্থলে যায় বিধাননগর পুলিশের উচ্চ পদস্থ কর্তারা। বাথরুমের মধ্যে একটি ড্রামের মধ্যে রাখাছিল দেহটি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বাগুইহাটি থানার পুলিশ।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ডাক্তার গোপাল মুখোপাধ্যায় তার বাড়ির একাধিক ঘর ভাড়া দিয়েছেন। মঙ্গলবার দুপুর বেলায় গোপালবাবু নিজের এই ভাড়া দেওয়া ঘরটিতে যান। সন্দেহজনক ওই ড্রাম দেখেই তিনি পুলিশে খবর দেন। এরপর তিনি নিজেই বাগুইআটি থানায় যান এবং পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে আসেন। এরপরই জানা যায় বাড়ির বাথরুমে ড্রামের মধ্যে এক মহিলার দেহ রয়েছে। দেহটি শনাক্তকরণের চেষ্টা হচ্ছে। দেহটিকে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।ওই চিকিৎসক বলেন, ‘ আজকে এসে বাথরুম পরিষ্কার করতে গিয়ে দেখলাম একটি ড্রাম সিল অবস্থায় পড়ে রয়েছে। আমি সঙ্গে সঙ্গে পুলিশে খবর দিই। এটি কোন মহিলা, কী ভাবে এখানে দেহ এল, আমি জানি না।
ওই বাড়ির কোনও ভাড়াটিয়া ওই মৃতদেহ রেখেছেন কিনা সে বিষয়ে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এলাকাটি যথেষ্ট জনবহুল। এলাকায় একাধিক বাড়িতে ভাড়া দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। ভাড়াটিয়াদের সঠিক পরিচয়, নথি নিয়ে ভাড়া দেওয়া হয় কিনা সে ব্যাপারেও খোঁজ নেওয়া হচ্ছে পুলিশের তরফে। তবে মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় আতঙ্কিত এলাকাবাসী। এক এলাকাবাসীর কথায়, ‘এখানে অনেক বাড়িতেই তো ভাড়া থাকে। এই আবাসনের আশেপাশে পুরোটাই মার্কেট এলাকা। অনেকেই রোজ যাতায়াত করেন। কী ভাবে এরকম ঘটনা ঘটল, সেটা বোঝা যাচ্ছে না।’ মহিলা এলাকারই কোনও বাসিন্দা নাকি বাইরে থেকে এসেছিলেন সে সম্বন্ধে তথ্য সংগ্রহ করছে পুলিশ।