• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

মোদি-শাহকে ‘পকেটমার’ মন্তব্যে রাহুলের বিরুদ্ধে কমিশনকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ 

দিল্লি, ২১ ডিসেম্বর – পকেটমার কখনও এক আসে না, সবসময় তিনজন থাকে- রাজস্থানে ভোটের প্রচারে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি , অমিত শাহ এবং শিল্পপতি গৌতম আদানিকে নিশানা করে এমনটাই বলেছিলেন রাহুল গান্ধি। পকেটমার এবং তাদের দল কিভাবে কাজ করে তার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং শিল্পপতির উদ্দেশে তাঁর সেই ভাষণ নিম্নরুচির ছিল বলে জানাল দিল্লি

দিল্লি, ২১ ডিসেম্বর – পকেটমার কখনও এক আসে না, সবসময় তিনজন থাকে- রাজস্থানে ভোটের প্রচারে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি , অমিত শাহ এবং শিল্পপতি গৌতম আদানিকে নিশানা করে এমনটাই বলেছিলেন রাহুল গান্ধি। পকেটমার এবং তাদের দল কিভাবে কাজ করে তার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং শিল্পপতির উদ্দেশে তাঁর সেই ভাষণ নিম্নরুচির ছিল বলে জানাল দিল্লি হাইকোর্ট। রাহুলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্যও নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছে দিল্লি উচ্চ আদালত। নির্বাচন কমিশনকে দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতির নির্দেশ, ৮ সপ্তাহের মধ্যে নির্বাচন কমিশনকে রাহুলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। কী ব্যবস্থা নেওয়া হল তা আদালতকে জানাতে হবে

নভেম্বরে, রাজস্থানের ভরতপুরে এক নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য রাখার সময় রাহুল গান্ধি বলেছিলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ , এবং শিল্পপতি গৌতম আদানি দেশের জনগণকে লুঠ করতে একত্রে কাজ করেন। রাহুল বলেন, ” পকেটমার কখনও এক আসে না, তার সঙ্গে মোট তিনজন থাকে।  একজন সামনে থেকে আসে একজন পিছন থেকে এবং একজন দূর থেকে দেখে।  একইভাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাজ আপনার মনোযোগ নষ্ট করা।  তিনি সামনে থেকে আসেন এবং হিন্দু-মুসলিম, নোটবন্দি, এবং জিএসটি প্রসঙ্গ তুলে জনগণকে ভুল পথে চালিত করেন। ” রাহুল সেদিন আরও বলেন, “মোদি যখন মানুষের মনোযোগ অন্যত্র সরানোর চেষ্টা করেন, তখনি আদানি পিছন দিক থেকে এসে টাকা নিয়ে যায়.”  তিনি সেদিন আরও বলেন, অমিত শাহ তৃতীয় ব্যক্তি। তাঁর কাজ তত্ত্বাবধান করা।  তিনি দেখেন যে, যা আসলে ঘটছে, তা কেউ যেন না জানে।” প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ‘অপয়া’ বলেও উল্লেখ করেছিলেন রাহুল।

বিজেপির তরফে নির্বাচন কমিশনকে অবিলম্বে হস্তক্ষেপ করার অনুরোধ জানানো হয়েছিল। এই  নিয়ে গত ২৩ নভেম্বর রাহুলকে শো-কজ নোটিস দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। ২৬ নভেম্বরের মধ্যে তাঁকে জবাব দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু রাহুল কমিশনের নোটিশের জবাব দেননি। বিজেপি নেতারা নির্বাচন কমিশনকে শুধুমাত্র নোটিস পাঠানোর মধ্যে বিষয়টি সীমাবদ্ধ না রাখার কথা বললেও, কমিশন আর এগোয়নি। নির্বাচন কমিশনের এই ভূমিকায় অসন্তুষ্ট আদালত সেই কারণেই এবার কমিশনকে ৮ সপ্তাহের সময় বেঁধে দিয়েছে।