• facebook
  • twitter
Monday, 25 November, 2024

‘বিগ-বি’র কাছে ধার চেয়েছিলেন রতন টাটা! কী ঘটেছিল?

গত ৯ অক্টোবর মুম্বাইয়ের ব্রিজ ক্যান্ডি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন টাটা সাম্রাজ্যের সম্রাট রতন টাটা। শুধু শিল্প মহলেই নয়, সবার কাছেই রতন টাটা 'আইডিয়াল মান' ছিলেন।

গত ৯ অক্টোবর মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন টাটা সাম্রাজ্যের সম্রাট রতন টাটা। শুধু শিল্প মহলেই নয়, সবার কাছেই রতন টাটা ‘আইডিয়াল মান’ ছিলেন। কিন্তু এমন মানুষ নাকি ধার চেয়েছিলেন অমিতাভ বচ্চনের কাছে! সম্প্রতি এমন কথাই বিগ – বি বললেন ‘কৌন বনেগা ক্রোড়পতি’ শোয়ে।

ঠিক কী ঘটেছিল?

মহাষষ্ঠীর রাতে প্রয়াত হন কিংবদন্তি শিল্পপতি রতন টাটা। তাঁর প্রয়াণে শোক প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী থেকে শুরু করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু এত বড় একজন ব্যক্তিত্ব হওয়া সত্বেও তিনি অতি সাধারণ জীবনযাপন করতেন। তিনি ঠিক কতটাই সাধারণ ছিলেন সেই কথাই ‘কৌন বনেগা ক্রোড়পতি’ শোতে তুলে ধরলেন অমিতাভ বচ্চন।

ক’দিন আগে ‘কৌন বনেগা ক্রোড়পতি’-র একটি এপিসোডে অতিথি হয়ে এসেছিলেন ফারহা খান ও বোমান ইরানি। তাঁদের সঙ্গে কথা বলার সময় অমিতাভ জানান, একবার লন্ডনে যাচ্ছিলেন তিনি। আর সেই বিমানেই একই সঙ্গে যাচ্ছিলেন রতন টাটাও। হিথরো বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর টাটা দেখেন, তাঁকে যে গাড়ি নিতে আসার কথা ছিল তা আসেনি। কিন্তু কী কারণে গাড়িটি তাকে নিতে এলো না তা জানতে ফোন করার প্রয়োজন ছিল রতন টাটার। কিন্তু ফোন করার মত অর্থ তখন ছিল না টাটার কাছে। কী করবেন তিনি ভেবে না পেয়ে অবশেষে ‘ বিগ-বি অমিতাভ বচ্চনের কাছে টাকা ধার নেন গাড়ির ড্রাইভারকে ফোন করবেন বলে। যা দেখে হতভম্ব হয়ে যান অমিতাভ বচ্চন। সেই ঘটনার স্মৃতিচারণ করেই অমিতাভ বচ্চন বলেন, সত্যিই তিনি একজন জেন্টলম্যান ছিলেন। কী সাধারণ জীবনযাপন করতেন।

উল্লেখ্য, ১৯৩৭ সালের ২৮ ডিসেম্বর মুম্বইয়ে পার্সি পরিবারে জন্ম রতন টাটার। তাঁর দশ বছর বয়সেই রতন টাটার বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ ঘটে। বিদেশে স্নাতকোত্তর পাসের পর সাতের দশকে টাটা গ্রুপে ম্যানেজার স্তরের দায়িত্ব পান রতন টাটা। ১৯৯১ সালে জেআরডি টাটা, টাটা সন্সের দায়িত্ব ছাড়েন।আর তারপরই টাটা গ্রুপের দায়িত্ব নেন রতন টাটা। ২১ বছর রতন টাটার হাতে টাটা গ্রুপের দায়িত্ব ছিল। সেই সময় আয় ও লাভ দুই-ই ৪০ থেকে ৫০ গুণ বৃদ্ধি পায়। ২০০০ সালে ‘পদ্মভূষণ’ সম্মান পান রতন টাটা। ২০০৮ সালে ‘পদ্ম বিভূষণ সম্মান’। এছাড়া দেশ-বিদেশের অজস্র সম্মান এসেছে তাঁর ঝুলিতে।