• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

শীতে বাঁচতে চারের গেঁড়ো

গত সপ্তাহে শীত যেভাবে নিজের অস্তিত্ব টের পাইয়েছে তাতে বলতেই হয় পুরো কাবু করে দিয়েছে শীতপ্রিয় বাঙালিকেও৷ হিমেল চাদরে যেভাবে পশ্চিমবঙ্গ সহ গোটা দেশকে মুড়েছে তাতে স্বাস্থ্যের হাল-বেহাল৷ একটু আদটু সর্দি-কাশি না হয় ওষুধে সামাল দেওয়া যাচ্ছে কিন্তু তারপর যেটা হচ্ছে তা কিন্তু সামলে নেওয়া বেশ দুষ্কর৷ সর্দি-কাশি সেরে যাওয়ার পরেও এমন বেশ কয়েকটা ব্যাপার

গত সপ্তাহে শীত যেভাবে নিজের অস্তিত্ব টের পাইয়েছে তাতে বলতেই হয় পুরো কাবু করে দিয়েছে শীতপ্রিয় বাঙালিকেও৷ হিমেল চাদরে যেভাবে পশ্চিমবঙ্গ সহ গোটা দেশকে মুড়েছে তাতে স্বাস্থ্যের হাল-বেহাল৷ একটু আদটু সর্দি-কাশি না হয় ওষুধে সামাল দেওয়া যাচ্ছে কিন্তু তারপর যেটা হচ্ছে তা কিন্তু সামলে নেওয়া বেশ দুষ্কর৷
সর্দি-কাশি সেরে যাওয়ার পরেও এমন বেশ কয়েকটা ব্যাপার রয়েছে যার দিকে নজর না দিলে এই শীতে পস্তাতে হতে পারে৷ যেমন-
শীতে পালায় জল
ভাবছেন সে আবার কি? এটা কি গ্রীষ্মকাল নাকি যে প্রখর রোদে পুকুর-খালবিলের জল শুকিয়ে যাচ্ছে৷ আরে বাবা, এখানে আমি আমাদের শরীরে জলের চাহিদা কথা বলছি৷ শীত আসলেই তো জল যেন আমাদের কাছে জলাতঙ্কের আকার নেয়৷ যদিও শীতে আবহাওয়া শুকনো হয়ে থাকে বলে তার প্রভাবে শুকিয়ে যেতে থাকে আমাদের শরীরও৷ কিন্তু ঠান্ডার ভয়ে জল কম খাই৷
শুধু ত্বকেই ভাঁজ পডে় না, পাশাপাশি শরীর ভিতর থেকেও শুকিয়ে যায়৷ তাই শীতে ভালো থাকতে হলে ভিতরে-বাইরে, জল ছাড়া গতি নেই! তেষ্টা না পেলেও দিনে লিটার দুয়েক জল আপনাকে খেতেই হবে! অন্যথায় অসুস্থতা ছাড়া আর কিছু পাওনা হবে না!
রূপটান
শীতের ক্ষতিকর প্রভাব সবচেয়ে বেশি দেখা যায় ত্বকের উপরে৷ একেবারে হাতেনাতে বোঝা যায়, কতটা দুর্দশা হয়েছে ত্বকের৷ ফলে এই সময় ত্বক এমনিতেই খুব সংবেদনশীল একটা পর্যায়ে থাকে৷ তাতে হয় কী, সামান্য অনিয়মেও ব়্যাশ, অ্যালার্জি দেখা দেয়৷
তাই এই শীতে মেকাপ, ক্রিম- এসব রূপটানের জিনিস খুব সাবধানে বাছুন! কম দামি কিছু ব্যবহার না করাই ভালো! কেন না, পারদ-যুক্ত কম দামের প্রসাধনী শুধু শীতে কেন, বছরের যে কোনও সময় ত্বকের বারোটা বাজাবার পক্ষে আদর্শ৷ শীতে ক্ষতিটা একটু তাড়াতাডি় হয়, এই যা! পাশাপাশি, খুব হালকা ঘরোয়া কোনো ফেস-প্যাক ব্যবহার করতে পারেন ত্বককে কোমল রাখার জন্য৷
তেলে-ত্বকে
এই যে বলছি- শীতে ত্বকের ক্ষতি হয়, সে তো জানা কথাই! কিন্ত্ত ক্ষতিটা ঠিক কীভাবে হয় বলুন তো? আসলে এই সময় ত্বকের অ্যাসিড লেভেল কমে যায়৷ ফলে, ত্বক তার আর্দ্রতা হারায়৷ খুব তাড়াতাডি় শুকনো, অনুজ্জ্বল হয়ে পডে়৷ ত্বককে তাই শীতে তরতাজা রাখার একমাত্র উপায় তেলের আদরে রাখা৷ রোজ স্নানের আগে নিয়ম করে তেল মাখুন! দেখবেন, রুক্ষ শীতেও ত্বক দিব্যি চকচকে থাকছে!
পা-ই যখন ভোগায়
শীতে পা নিয়ে ভোগেন না- এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুর্লভ! কিছু না কিছু একটা সমস্যায় পা-কে ফেলেই শীত ঋতু৷ হয় দুর্গন্ধের সমস্যা, নয় ফাটা গোড়ালির সমস্যা৷ এর হাত থেকে বাঁচতে পা পরিষ্কার রাখুন৷ রোজ বাইরে থেকে এসে ভালো করে সাবান দিয়ে ঘষে পা পরিষ্কার রাখুন৷ তাতে শুকনো, মরা কোষ বেরিয়ে যাবে, পায়ে দুর্গন্ধ হবে না৷
এছাড়া শীতে পা ফাটার হাত থেকে বাঁচতে বাডি়তেও খালি পায়ে থাকা বন্ধ করুন৷ তাতে পায়ে সরাসরি ঠাণ্ডা লাগবে না৷ এছাড়া ঘুমোতে যাওয়ার আগে পায়ের পাতায়, গোড়ালিতে কোনো ক্রিম ম্যাসাজ করুন৷ সবার শেষে মোজা পরে নিন৷ তাতে ক্রিমের আস্তরণের উপরে ধুলো-বালি জমে পায়ের ক্ষতি করতে পারবে না!