চার প্রজন্ম নিয়ে সোনার কেল্লা দর্শন

বাংলা ভাষায় ভ্রমণকাহিনী লিখেছেন অনেকেই। কিন্তু আমার প্রিয় ভ্রমণকাহিনী লেখকদের মধ্যে প্রিয় লেখক হচ্ছেন বুদ্ধদেব গুহ, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়, সত্যজিৎ রায় এমনকি গৌতম ঘোষের লেখা ‘আবার অরণ্য’ বইটিও আমার ভীষণ প্রিয়। আর সত্যজিৎ রায়ের লেখাগুলি যখন পড়ি, তখন মনে হয় প্রতিটা শব্দ যেন চোখের সামনে ভাসছে। তাঁর লেখা ও তাঁর নির্মিত চলচ্চিত্রের মধ্যে প্রচুর কাহিনীভ্রমণ নিয়েই যেমন– ‘কাঞ্চনজঙ্ঘা, জয়বাবা ফেলুনাথ, হীরক রাজার দেশে, গুপিগাইন বাঘা বাইন, সিকিম।

এ ছাড়া সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘অরণ্যের দিনরাত্রি’ আর তাঁর লেখা ও তাঁর গড়া ‘সোনার কেল্লা’ তো ছোট থেকে বড়ো সব বাঙালির মনে জায়গা করে নিয়েছে। স্কুল জীবনে দেখা ‘সোনার কেল্লা’ সিনেমাটি আমাকে ভীষণভাবে টেনেছিল রাজস্থানের জয়সালমের যাবার জন্য। ১৯৭৪ সালের আগে এই সোনারকেল্লা বা জয়সালমের দুর্গের প্রতি পর্যটকদের কতটা টান ছিল জানি না! আমার মনে হয় সত্যজিৎ রায়ের ‘সোনার কেল্লা’ সিনেমাটি হবার পরে ওই রাজ্যের পর্যটন শিল্পের আকর্ষণ কিছুটা হলেও বেড়েছে। সত্যজিৎ রায়ের ভ্রমণগল্প ও

রহস্যগল্পের আরও একটি চলচ্চিত্র এটি। স্কুল জীবনের মনে গেঁথে রাখা সেই ‘সোনার কেল্লা’ দেখেছিলাম আরও ২০ বছর পরে, ১৯৯৪ সালে। আমরা তিন পুরুষ মিলে গিয়ছিলাম। আমি, আমার ছেলে, আমার স্ত্রী ও  বাবা।  আর সঙ্গে এক ট্যুরিস্ট কোম্পানির এক দঙ্গল সহযাত্রী। সেবার দেখেছিলাম পুরো রাজস্থান। তবে যেহেতু ট্রাভেলিং এজেন্সির অধীনে যাওয়া, তাই ভালোলাগা জায়গাগুলোতে নিজের ইচ্ছেমতো থাকা হয়নি। মাত্র দু’দিন পেয়েছিলাম জয়সালমের দেখার।


গত শীতকালে আমি আবার তিন পুরুষ নিয়ে গিয়েছিলাম শুধু সোনার কেল্লা দেখতে। এবার আমি, আমার পুত্র ও নাতি, সঙ্গে ছিল বৌমা আর আমার স্ত্রী। কলকাতা থেকে গাড়ি নিয়ে যাবার ইচ্ছে ছিল ছেলের। কিন্তু স্ত্রী আর নাতির এই দীর্ঘ প্রায় ২৪০০ কিলোমিটার ও ৪০ ঘন্টার পথের ধকল শরীরে সইবে না বলেই ট্রেনে চেপে যেতে হলো জয়সালমের। ডিসেম্বর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে হাওড়া থেকে সকাল ৮ টা নাগাদ ট্রেনে চেপে সারাদিন সারারাত ও পরের সারাটা দিন ট্রেনে কাটিয়ে রাত্রি দেড়টায় পৌঁছালাম জয়সালমের স্টেশন।  প্রায় দেড় ঘন্টা লেট ছিল ট্রেন।

স্টেশনে নেমে একদম শীতের কবলে পড়লাম। পাহাড়ি উচ্চতায় না থেকেও বালিয়াড়ির দেশে যে এতো ঠাণ্ডা হয় জানতাম না। স্টেশন ভর্তি লোক, বেশিরভাগ বাঙালি। হোটেল থেকে গাড়ি এসেছিলো। দু’দিনের ট্রেন জার্নি আর স্নান নেই, ভালো মতো খাবার খাওয়া হয়নি, তাই হোটেলের আশ্রয় বড্ড প্রয়োজন ছিল। জয়সালমেরের হোটেলগুলো একটু দামি। তবে এখানেও ১ হাজার টাকা থেকে ১০ হাজার টাকা প্রতিদিন দু’জনের ঘর পাওয়া যায়।

আমরা উঠেছিলাম রাজস্থান সরকারের পর্যটন বিভাগের এক হোটেলে, খুব সুন্দর ব্যবস্থা এখানে। হোটেলে রুম দখল করতে প্রায় আড়াইটে বেজে গেলো, গরম জলে ফ্রেশ হয়ে একটা করে আপেল খেয়ে কম্বলের তলে আশ্রয় নিলাম। ফিরবো চারদিন পর দিল্লি হয়ে কলকাতা। তাই এই চারদিন চুটিয়ে দেখবো সোনার কেল্লার শহর জয়সালমের ও তার আশপাশ। লাঞ্চ করে বেরিয়ে পড়লাম স্যাম স্যান্ড টিউনস-এর উদ্দেশে বালির সমুদ্রে হারিয়ে যেতে। এখানে সূর্যাস্ত দেখা যেন এক চরম সৌন্দর্য্যের ভাগিদার হওয়া। এ না দেখা মানে জয়সালমের ভ্রমণ অসম্পূর্ণ। এই অত্যাশ্চর্য বালির টিলাগুলি জয়সালমেরের থেকে প্রায় ৪০ কিমি দূরে অবস্থিত। মরুভূমির ল্যান্ডস্কেপ দেখছি।

উটের পিঠে উঠে বালিয়াড়ির ঢেউয়ের মাথায় উঠছি আবার নেমে যাচ্ছি– সে এক অদ্ভুত সুন্দর দৃশ্য, সূর্যদেব যেন দূরের বালির ঢেউয়ের মধ্যে তলিয়ে যাচ্ছে। প্রায় চল্লিশ মিনিট উটের পিঠে থর মরুভূমিতে ঘুরে বেড়ালাম। ঠাণ্ডার কামড়ে ধরছিল তাই গাড়ির কাছে ফিরে এলাম। দু’দিন আগে এই সময় ছিলাম জনসমুদ্রে আর আজ আছি এক জনমানবহীন থর মরুভূমিতে। বিশ্বের সপ্তম বৃহতম মরুভূমি এটি। পাঞ্জাব, রাজস্থান, গুজরাত ও হরিয়ানা এই চারটি রাজ্যে বিস্তার করছে, যার আয়তন প্রায় ২ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার। তারমধ্যে ৮৫ ভাগ আছে ভারতে আর ১৫ ভাগ পাকিস্তানে। সেই মরুভূমির বুকে আমরা আবার তিনপুরুষ দাঁড়িয়ে সূর্য ডোবার পালা দেখছি। এর আগে দেখেছিলাম আজ থেকে ৩০ বছর আগে সেদিনের তিনপুরুষ– বাবা, আমি আর আমার ছেলে।

বাবারা যেন খুব দ্রুত হারিয়ে যায় আর সন্তানরাও কেন যে এতো তাড়াতাড়ি বড়ো হয়ে যায়! মনটা একটু ভারী লাগলো– ‘আমিও দিনের মতো ফুরিয়ে যাবো, আসবোনা ফিরে আর কোনোদিন’। এটাই হয়তো আমার জীবনের শেষ মরুযাত্রা। ঠাণ্ডা কামড়ে ধরছিল তাই গাড়ির কাছে ফিরে এলাম। বয়সের কারণে অরুণদার উটের পিঠে ওঠা হলো না। অরুণদা আমাদের এই যাত্রার প্রায় ৮০ পেরোনো একজন সবুজ মনের মানুষ, আমাদের গাড়ির কাছেই একটা চায়ের দোকানে বসে ছিলেন। আমি ফিরতেই এক গাল হেসে বললেন ‘থর মরুতে তুমি দেখছি থরথর করে কাঁপছো’, আমি বুঝে গেছি মুরুভুমির ঠাণ্ডা আমাকে কাবু করে দিয়েছে। এবার হোটেল ফিরবার পালা। হোটেলে ফিরে আবার এক সুন্দরের মাঝে হারিয়ে গেলাম হোটেলের বিশাল চাতাল জুড়ে বসেছে রাজস্থানি লোকসঙ্গীতের  আসর।

রাজস্থানি সঙ্গীতের ধারার মধ্যে পাবুজি কি ফচ, পানিহারি আরও কত যে ধারা আছে–রাজস্থানি ছেলে মেয়েরা একসঙ্গে  গাইছে ও তাদের ঐতিহ্যবাহী নৃত্যশৈলী ও সঙ্গীত বিভোর করে রেখেছে পরিবেশটাকে। মেয়েরা হাত ভর্তি চুড়ি গহনা পরা।  এছাড়াও গলায় নাকে কানে ও পায়েও গহনা পরা তাদের। ছেলেরাও বিশাল পাগড়ির সঙ্গে  গহনা পরেছে । রাজস্থানের জয়পুর শহরে সঙ্গীতের বেশ বড়ো-বড়ো আসর বসে। রাত্রে প্রায় দশটা অবধি চললো এই সঙ্গীতআসর। রাত্রে হঠাৎ আহান কাঁদো কাঁদো ভাবে এসে জানালো যে ওর শখের রিবক লেখা টুপিটি খোয়া গেছে। সদ্য চার বছর পেরোনো আহান আমার নাতি। নাতির দুঃখ দেখে আমি আবার গাড়ির ভিতর টুপি খুঁজতে গেলাম, কিন্তু পেলাম না. বেচারি অনেক রাত পর্যন্ত টুপির শোকে ফুঁপিয়ে গেলো। পরদিন ব্রেকফাস্ট করে চললাম সোনার কেল্লা দর্শনে। সোনার রঙের জয়সালমের দুর্গ, সত্যজিৎ রায়ের নামাঙ্কিত সোনার কেল্লা দেখতে। এক প্রাচীন দুর্গ।

ইতিহাস বলে এই দুর্গের বয়স প্রায় সাড়ে বারোশো বছর। এই অতি প্রাচীন যুগের এই অপূর্ব স্থাপত্যের দেহ স্পর্শ করে দেখলাম। গায়ের রোম খাড়া হয়ে গেলো। ভাবছিলাম এই ঐতিহাসিক স্থাপত্য দেখেছে ভারতবর্ষের বহু শাসন ব্যবস্থা– রাজপুত রাজারাও জয়সয়ালের হাতে এই দুর্গ তৈরী হয়েছিল। এই দুর্গ অনেক লড়াইয়ের সাক্ষী, অনেক অবহেলা সয়েছে প্রায় তিনশো বছর ধরে পরিতক্ত্য অবস্থায় থেকে। এই দুর্গের ভিতর অনেক মন্দির অনেক ঘরবাড়ি ও দোকান বাজার আছে। প্রায় সাড়ে চারশো মিটার উঁচু এবং প্রায় আড়াইশো মিটার চওড়া চুনাপাথরে বা বেলে পাথরের নির্মিত এই ফোর্টটি, হলুদ বর্ণের এই পাথরের গায়ে সূর্যের আলো প্রতিফলিত হয় যখন তখন এটাকে সোনালি বা গোল্ডেন রঙের মনে হয়।রাওয়াল জয়সালের হাত থেকে আলাউদ্দিন খিলজি এই কেল্লা দখলে করে।

১৭৬২ সাল পর্যন্ত এই কেল্লা মুঘলদের দখলে ছিল । পরবর্তী কালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির হয়। এই কেল্লার ভিতর যে সব বিখ্যাত স্থাপত্য আছে সেগুলো হচ্ছে– রাজমহল প্যালেস বা রাজা মহারাওয়ালের বাড়ি, মতিমহল, গজবিলাস। রংমহল খুবই বিলাসবহুল প্রাসাদ। অত্যন্ত সুন্দর এই প্রাসাদটি, নীল সিরামিক টাইলস, কাচ দিয়ে কাজ করা হয়েছে। প্রতিটি প্রাসাদের ও মন্দিরের গায়ে রাজপুত স্থাপত্য শিল্পকর্মের নৈপুণ্য লেগে আছে। সূর্যমন্দির ও আরও কয়েকটি হিন্দু মন্দির রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে ইসলাম ধর্মীয়দের তাজিয়া আর জৈনধর্মীয়দের ৭টি উপাসনালয়। সুরজ পোল, গণেশ পোল, আখাই পোল আর হাওয়া পোল– এই চারটি তোরণ আছে দেখার মতো।

ভীষণ ভালো লাগছে আবার বছর তিরিশ পরে এসে স্মৃতির নুড়ি পাথর খুঁজতে। কিছুই পাল্টায়নি। বিশ্বের খুব কম দুর্গই আছে যেখানে সাধারণ মানুষ বাস করে। বহু আগে এই জলসালমীরের পুরো জনবসতি বলতে ছিল এই দুর্গ আর এখন জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়াতে দুর্গের বাইরেও এক বিশাল জনবসতি হয়েছে, তবে অতীতের সেই বাণিজ্যিক শহর আর এটা নেই, অতীতের রেশম পথ বন্ধ হয়ে যাওয়াতে এই শহরের বাণিজ্যিক গুরুত্ব কমে গেছে।

একের পর এক বাড়ি, হাভেলি, মন্দির দেখছি আর চোখের সামনে এখন স্পষ্ট ভেসে উঠছে সোনার কেল্লা চলচ্ছিত্রের শেষ দৃশ্যটা। আমার নাতি আহান যেন মুকুল ধর, আমার নিজেকে মনে হচ্ছে যেন প্রদোষ মিত্র ওরফে প্রাইভেট গোয়েন্দা ফেলুদা, আমার ছেলে হচ্ছে ফেলু মিত্রের মাসতুতো ভাই তোপসে ওরফে তপেশরঞ্জন মিত্র। শুধু এই গল্পের আর এক প্রধান চরিত্র লালমোহন বাবুর উপস্থিতি পাচ্ছি না।

আহানের খুব ইচ্ছে যে মুকুলের বাড়িটি দেখার। এতো ঘর বাড়ির মধ্যে কোথায় খুঁজবো মুকুল বা ওর বাবা সুধীর ধরের বাড়ি! আহান যেন প্রতিটা মানুষকেই দুষ্টু লোক ভাবছে, কারণ ওর টুপি হারানো।  দু’জনেই খুব গভীরভাবে দেখছি খুঁজছি সেই অতীতের সোনার কেল্লার চরিত্রগুলো। দুষ্টু লোক ডাক্তার-রূপী অমিয়নাথ বর্মণ ওরফে ভবানন্দ ও তার সাগরেদ মন্দার বোস এর মতো মানুষ হয়তো এখনও  এখানও সোনার খনি খুঁজতে আসে. আবার ডা. হেমাঙ্গ হাজরার মতো কত কত ভালো মানুষকেও দেখছি। মাথায় পাগড়ি দেখলেই আহান ভাবছে দুষ্টু লোক।

আমি দুর্গের উপর থেকে বাইরের ছবি নিচ্ছি আর ঠিক তখনি আহানের চিৎকার– ‘এটা আমার’, ‘দাও দাও এটা আমার টুপি’। আমি পিছনে ফিরে দেখি আমাদের এই মরুযাত্রার বর্ষীয়ান সহসাথী  অরুণদার মাথায় আহানের কালো রিবক টুপিটা কোনোমতে তাঁর টাকটাকে ঢেকেছে। বাহ্ খুব সুন্দর একটা দৃশ্য জীবন্ত পেলাম যেন। অরুণদা বেচারি ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে বললেন, কাল আমি যে চায়ের দোকানে বসেছিলাম এটা সেখানেই পাওয়া। আমি বুঝলাম যে, আহানের এটা ফেলে আসা আর অরুণদার সেটা কুড়িয়ে পাওয়া ও ফিরিয়ে দেওয়া।

আমি যখনি কোথাও যাই, তার আগে সেই জায়গাটাকে নিয়ে একটু বইয়ের পাতা ঘাঁটাঘাঁটি করি। তেমনি এখানে আসার আগে আহানকে সোনার কেল্লা ছায়াছবিটি দেখিয়েছিলাম আর ওই ছোট্ট মাথায় যে এটা ভীষণভাবে বসে আছে, সেটা এই জয়সালমের যাত্রায় প্রতি পদে পদে অনুভব করেছি।বিশ্বের দরবারে আজ ভারতের পর্যটনশিল্পের এক অমূল্য সম্পদ এই গোল্ডেন ফোর্ট, বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসাবে জাতিসঙ্ঘের স্বীকৃতি লাভ করেছে আজ।

জানি না, আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের কাছে মুকুল, ডাক্তার হাজরা, ভবানন্দ, মন্দার বোস সহ জটায়ু, তোপসে বা প্রদোষ মিত্রের অস্তিত্ব থাকবে নাকি! তবে এই হাজার বছর পেরিয়ে আসা এই দুর্গের প্রতি পর্যটনের টান থেকে যাবেই। পরদিন আবার এই সোনালি শহরের আশপাশের জায়গাগুলো দেখে রাত্রে দিল্লির উদ্দেশে রওনা হলাম আর স্বযত অর্থাৎ আমার ছেলেকে বললাম যে, সেও যেন তার নাতিকে নিয়ে এই সোনার কেল্লায় তৃতীয় বারের মতো আবার আসে, শুধু তিনপুরুষের যাত্রাটাকে টিকিয়ে রাখার জন্য। মোবাইল ফোনে ব্লু টুথে বাজছিলো– ‘অশ্রুর একটি ফোঁটায় জন্ম আমার, আমার মরণ, নীরবে জাতিস্মরের গল্প বলা তোমার ধরন।’

যাবেন কখন
নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত ভ্রমণের জন্য আদর্শ।

কীভাবে যাবেন
ট্রেনে— ভারতের যে কোনও শহর থেকে ট্রেনে চেপে পৌঁছে যাবেন যোধপুর রেলস্টেশন। স্টেশন থেকে গাড়ি ভাড়া করে ৫ ঘণ্টার পথ অতিক্রম করে পৌঁছে যাবেন জয়শালমের। এ ছাড়া কলকাতা থেকে সরাসরি ট্রেন আছে জয়সালমেরে থাকার জন্য প্রচুর হোটেল পাবেন, মোটামুটি দু’হাজার টাকা থেকে উপরের হোটেলগুলো বেশ ভালোই।  খাবার খরচ আলাদা। খরচ নিজের উপর নির্ভর করে৷