চলে গেলেন তেভাগা-যোদ্ধা নিত্যগােপাল বসু

যোদ্ধা (প্রতীকী ছবি: iStock)

চল্লিশ-পঞ্চাশ দশকের ঐতিহাসিক তেভাগা কৃষক আন্দোলনের যােদ্ধা, সম্ভবত শেষ জন, নিত্যগােপাল বসু, রবিবার চলে গেলেন। বয়স হয়েছিল নব্বই। ১৯৪৮ থেকে কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।

পরবর্তী কালে বসু রাঁচিতে আদিবাসীদের মধ্যে কাজ করেন এবং ‘ফরেস্ট অ্যান্ড ট্রাইবালস্’ নামে উল্লেখযােগ্য গবেষণাগ্রন্থ রচনা করেন। এরপর সিটি কলেজে অধ্যাপনায় যােগ দেন। এবং অর্থনীতি বিভাগের প্রধান হন। খুবই ছাত্রদরদী জনপ্রিয় শিক্ষক ছিলেন।

নানান পত্র-পত্রিকায় রাজনৈতিক প্রবন্ধ লিখতেন, সেই সঙ্গে ছাত্রপাঠ্য অর্থনীতির বইও লেখেন। তাঁর সবচেয়ে বড় কাজ তিরিশ বছর আগে ‘ফোরাম ফর পিপলস ইনিশিয়েটিভ’ নামে গণউদ্যোগ সংস্থা গঠন, যার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বিচারপতির চিত্ততােষ মুখােপাধ্যায়, জলিমােহন কল, মেহের ইঞ্জিনিয়ার প্রমুখ।


ফোরামের আলােচনাসভায় নানা সময়ে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমােহন সিং, বিচারপতি অশােক গাঙ্গুলি, সাংসদ দেবব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় ও প্রবােধ পাণ্ডা, দেবকুমার বসু , ডা . গৌরীপদ দত্ত প্রমুখ যােগ দিয়েছিলেন। ২০১৮ সালে তার আত্মজৈবনিক গ্রন্থ ‘ফিরে দেখা কমিউনিস্ট জীবন’ প্রকাশিত হয়। তিনি স্ত্রী, পুত্র ও কন্যা রেখে গেছেন।