দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার হিলি সুলন্দর দিয়ে সাড়ে ৩ মাস পর আবারাে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। শনিবার বিকেল পৌনে ৪ টার দিকে ভারতীয় ট্রাক পেঁয়াজ নিয়ে দেশে প্রবেশ করায় বন্দরের ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের মধ্যে কর্মচাঞ্চল্যতা ফিরে এসেছে।
বন্দরের পেঁয়াজ আমদানিরকেরা জানান, গত বছর ১৪ সেপ্টেম্বর কোন ঘােষণা না দিয়েই ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয় বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। এর ফলে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়ে গেলে বন্দরের আমদানিকাররাে মিয়ানমার, পাকিস্তান, তুরস্ক ও চীন থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু করে। এতে করে পেঁয়াজের দাম কমে আসে।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুণ উর রশিদ জানান, দীর্ঘ সাড়ে ৩ মাস পর আজ শনিবার ভারতীয় পেঁয়াজের চালান দেশে ঢুকেছে। ভারত সরকার কোন কারণ ছাড়াই বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করেছিল। গত ২৮ ডিসেম্বর পেঁয়াজের উপর থেকে তারা নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ায় শনিবার পর্যন্ত আমরা প্রায় ৬ হাজার টনের মত এলসি করেছি। দুই একদিনের মধ্যে আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ দেশের বাজারে পেীছে যাবে । তখন ২২-২৫ টাকায় বিক্রি হবে।
ক্রেতারা কম দামে পেঁয়াজ কিনতে পারবে বলে তিনি জানান। হিলি স্থলবন্দরের আড়তদার রেজাউল করিম, মইনুল ইসলাম জানান, শনিবার ভারত থেকে পেঁয়াজ বন্দরে আসায় দেশি পেঁয়াজ ৩০-৩২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বৃহস্পতিবারও এই পেঁয়াজ ৩৬-৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এখন কেজিতে ৬-৮ টাকা করে কমে গেছে।