• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

মৃদু কম্পন জম্মু কাশ্মীর, আন্দামান ও গুজরাতে

একই দিনে মৃদু ভূমিকম্প হল ভারতের তিন জায়গায়। জম্মু-কাশ্মীর, আন্দামান-নিকোবার দ্বীপপুঞ্জ ও গুজরাতের মাটি কাঁপলো শনিবার।জানালো জাতীয় ভূমিকম্প কেন্দ্র।

Earthquake. (Photo: IANS)

একই দিনে মৃদু ভূমিকম্প হল ভারতের তিন জায়গায়। জম্মু-কাশ্মীর, আন্দামান-নিকোবার দ্বীপপুঞ্জ ও গুজরাতের মাটি কাঁপলো শনিবার। জাতীয় ভূমিকম্প কেন্দ্র থেকে জানা গিয়েছে শনিবার ভাের ৪-১৮ মিনিটে জম্মু ও কাশ্মীরের কাতরা থেকে ৯১ কিলােমিটার দূরে মাত্রার কম্পন অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ২.৮। সাড়ে চারটে নাগাদ ফের কম্পন অনুভূত হয় কেন্দ্রশাসিত এলাকা জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওতে। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল ৪.১। জানা গিয়েছে মাটি থেকে ১০ কিলােমিটার গভীরে ছিল ওই দুই কম্পনের কেন্দ্রস্থল।

শনিবার ১১-৪৯ মিনিটে মৃদু কম্পন অনুভূত হয় আন্দামান- নিকোল্প দ্বীপপুঞ্জে। দিগলিপুরের উত্তর-পশ্চিম দিকে ১৪৮ কিলােমিটার দূরে ছিল। কম্পনের কেন্দ্রবিন্দু। মাটি থেকে ৫৩ কিলােমিটার ভিতরে ছিল কম্পনের কেন্দ্রস্থল। রিখটার স্কেলে তীব্রতা ছিল ৪.২। অন্যদিকে সারে বারােটা নাগাদ ফের হালকা কম্পন অনুভূত হয় আন্দামানে। পাের্টব্লেয়ার থেকে ১৪৩ কিলােমিটার দক্ষিণ পূর্বে ফের কম্পন অনুভূত হয়। দ্বিতীয় ভূমিকম্পের উপকেন্দ্র ছিল ৭১ কিলােমিটার গভীরে। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল ৩.৬। তবে এই ঘটনার জেরে ক্ষয়ক্ষতির কোনও খবর নেই।

একই দিনে কম্পন হয় গুজরাতের সুরাতেও। জানা গিয়েছে সুরাতের উত্তরপূর্ব থেকে ৫৩ কিলােমিটার দূরে ছিল ওই কম্পনের উৎসস্থল। রিখটার স্কেলে তীব্রতা ছিল ৪.২। তবে ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলােমিটার গভীরেই ছিল উপকেন্দ্র। সেই ঘটনার জেরে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রাণহানির খবর নেই।

প্রায় প্রতিদিনই দেশের কোথাও না কোথাও ভূমিকম্প হচ্ছে। যা দেখে রীতিমতাে চিন্তায় রয়েছেন বিজ্ঞানী ও বিশেষজ্ঞরা। গত কয়েক মাসে একাধিকবার ভূমিকম্প হয়েছে জম্মু-কাশ্মীর, দিল্লি সহ উত্তরপূর্ব ভারতের তিনটি রাজ্যে।

জানা গিয়েছে, নভেম্বর রাত থেকে ভাের পর্যন্ত ২ বার কেঁপে। উঠেছে অসম, মণিপুর ও মেঘালয়। কেঁপেছে বাংলাদেশের মাটিও। জানা গিয়েছে ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল নংপেহর থেকে ৭১ কিলােমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে খাসি পাহাড়ের কাছে ছিল কম্পনের উৎসস্থল। তবে গভীর রাতে ভূমিকম্প হওয়ায় অধিকাংশ মানুষই ঘুমিয়ে ছিলেন। ফলে তারা কম্পন অনুভব করতে পারেননি। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন রাতের ওই সময় কম্পনের তীব্রতা বেশি হলে ক্ষতিক্ষতির মাত্রা আরও বাড়তে পারত।