রােমে বিশ্ব শান্তি বৈঠকে আমন্ত্রিত মমতা

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (ছবিঃএসএনএস)

ফের আন্তর্জাতিক সম্মেলনে আমন্ত্রিত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী ৬ এবং ৭ অক্টোবর রােমে বিশ্ব শান্তি বৈঠকে অংশ নিতে আমন্ত্রণ জানানাে হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীকে। সামাজিক ক্ষেত্রে মমতার অবদানের জন্য এই আমন্ত্রণ। অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা রােমের কমিউনিটি অফ সন্ত এগিডিও। আমন্ত্রণ পত্র ইতিমধ্যেই নবান্নে পৌঁছে গিয়েছে।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেই এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত থাকবেম জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেল এবং মিশরের ইমাম আহমেদ আল তায়িব। আসনে ইতালির শীর্ষ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং চার্চের গণ্যমান্য প্রতিনিধিরা।

মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা আমন্ত্রণ পত্রের শুরুতেই একুশের বিধানসভা ভােটে বিপুল জয়ের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিপুল জয়ের জন্য শুভেচ্ছা জানিয়েছেন কমিউনিটি অফ সন্ত এগিডিও’র সভাপতি প্রােফেসর মাকো ইমপ্যাগলিয়াজো।


এছাড়াও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, গত দশ বছর ধরে দেশের উন্নয়য়ন, সামাজিক ন্যায় এবং শান্তি বজায় রাখার ক্ষেত্রে আপনার অবদান অসামান্য। সমাজের পিছিয়ে পড়া, দুর্বলতম অংশের জন্য আপনার কাজ কমিউনিটি অফ সন্ত এগিডিও’র নজরে এসেছে, হদয় ছুঁয়ে গিয়েছে।

ওই চিঠিতে প্রােফেসর মার্কো ইমপ্যাগলিয়াজো কমিউনিটি অফ সন্ত এগিডিও’র কাজ সম্বন্ধেও উল্লেখ করেছেন। বলা হয়েছে সামাজিক ন্যায়, বিশ্ব শান্তি, সৌভ্রাতৃবােধ, দুস্থদের সাহায্য ও অসহায়দের হয়ে কাজ করে কমিউনিটি অফ সন্ত এগিডিও। কয়েক দশক ধরে তাদের এই কর্মসূচি চলছে।

আটের দশকের দ্বিতীয় ভাগ থেকে এই সংগঠনের পিপলস অ্যান্ড রিলিজিয়ন বিভাগ বিশ্বের সব ধর্মগুরু এবং ক্রিশ্চান চার্চের মধ্যে নিয়মিত আলােচনার আয়ােজন করে। এর সঙ্গে ক্রমেই যুক্ত হন আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে পরিচিত রাজনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বরা। বিশ্বজুড়ে ন্যায় এবং শান্তি প্রতিষ্ঠাই এই সংস্থার উদ্দেশ্য।

এবারের আমন্ত্রিতদের তালিকায় রয়েছেন পােপ ফ্রান্সিস। স্বাভাবিকভাবে এতজন আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে এক মঞ্চে উপস্থিত থাকা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। ইতিপূর্বে একাধিক আন্তর্জাতিক অনুষ্ঠানের মঞ্চে আমন্ত্রিত ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

মাদার টেরেসাকে সন্ত ঘােষণার দিনে ভ্যাটিক্যান সিটিতে উপস্থিত ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আবার নেদারল্যান্ডস-এ রাষ্ট্রসংঘের মঞ্চে পুরস্কৃত হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নে কন্যাশ্রী প্রকল্পও। আবার মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়ন ও শান্তি বজায় রাখার অবদানকে কুর্নিশ জানাল আন্তর্জাতিক সংগঠন।