১২ বছরে দেশ দেখবে ১৫২ কোটির মুখ, লিঙ্গ সমতায় আশার আলো দেখছে কেন্দ্র

population

কোথাও বাড়তি জনসংখ্যার চাপে মুর্হ্যমান দেশের অর্থিনীতি তো কোথাও কমতে থাকা জনসখ্যা সবথেকে বড় চিন্তার বিষয়। একদিকে দ্রুত গতিতে নামছে জাপানের জন্মহার। যা নিয়ে বেজায় চিন্তা জাপান সরকার দেশের মানুষদের বিয়ে ও সন্তন জন্মে নানান প্রকল্প-সুবিধা দিয়েই চলেছে। অন্যদিকে, হু-হু করে বাড়ছে ভারতের জনসংখ্যা।

বাড়তে  থাকা জন্মহার নিয়ে এবার পরিসংখ্যান ও কর্মসূচি বাস্তবায়ন মন্ত্রক যে  রিপোর্ট দিল তা খুশির না চিন্তার তা বুঝে ওঠা দায়। মন্ত্রক জানিয়েছে, আগামী ১২ বছরে দেশের জনসংখ্যা বেড়ে পৌঁছে যাবে ১৫২.২ কোটিতে। পাশাপাশি আগামী ১২ বছরে সামান্য হলেও বাড়তে চলেছে দেশে মহিলা জনসংখ্যা।

তবে জন্মহারের সঙ্গে দেশের আর্থিক পরিস্থিতি কতটা পরিবর্তন হবে তা স্পষ্ট নয় এই রিপোর্ট।


কেন্দ্রের তরফে ‘ওমেন অ্যান্ড মেন ইন ইন্ডিয়া ২০২৩’ সংক্রান্ত যে রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে সেখানে দেখা যাচ্ছে, আগামী ১২ বছরে দেশে মহিলার সংখ্যা সামান্য হলেও বৃদ্ধি পেতে চলেছে। ২০১১ সালে পুরুষদের তুলনায় ৪৮.৫ শতাংশ ছিল মহিলাদের সংখ্যা। এবার সেটা বেড়ে হতে চলেছে ৪৮.৮ শতাংশ। রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১১ সালে ১০০০ জন পুরুষের তুলনায় নারীর সংখ্যা ছিল ৯৪৩ জন। ২০২৬ সালে সেটা বেড়ে দাঁড়াবে এক হাজার জন পিছু ৯৫২ জন নারী। পাশাপাশি রিপোর্টে আরও দাবি করা হচ্ছে, ২০৩৬ সালের মধ্যে ১৫ বছরের কম বয়সিদের সংখ্যার অনুপাত বেশ কিছুটা কমতে পারে। বাড়তে পারে ৬০ বছরের বেশি মানুষের সংখ্যা।

বর্তমান সময়ে জীবনে প্রতিষ্ঠিত হয়ে সন্তান ধারনের পরিকল্পনা করছেন মহিলারা। যার জেরে সন্তান ধারনের ক্ষেত্রে যথেষ্ট পরিকল্পনা করেই হাঁটছেন তাঁরা। ভবিষ্যতে সে প্রবণতা আরও বাড়বে। এছাড়া রিপোর্টের দাবি, সন্তান জন্ম দেওয়ার সময় মহিলাদের মৃত্যুহার ও শিশু মৃত্যুর হার অনেক কমেছে কমেছে দেশে।

পাশাপাশি পরিসংখ্যানে আরও দাবি করা হয়েছে, ২০১৬ সালে ২০ থেকে ২৪ বছর বয়সি মহিলাদের প্রজনন হার ছিল ১৩৫.৪। ২০২০ সালে সেটা কমে দাঁড়িয়েছে ১১৩.৬। ২০১৬ সালে ২৫ থেকে ২৯ বছর বয়সী মহিলাদের প্রজনন হার ছিল ১৬৬.০, ২০২০ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে ১৩৯.৬। ৩৫ থেকে ৩৯ বছর বয়সী মহিলারা যেখানে আগে গড়ে ৩২.৭ বছর বয়সে সন্তান জন্ম দিতেন, তা এই সময়কালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫.৬ বছর।