অমৃত গুহার সন্ধানে

সুখেন্দু হীরা

আমরা যে হোমস্টেতে উঠেছিলাম তার মালিককে বলেছিলাম একটা গাড়ি ঠিক করে দিতে চন্দনবাড়ি যাওয়ার জন্য। তিনি ঠিক করে দিতে পারেননি। লালিপুরা মোড়ে বা পহলগাম বাজারে দেখেছিলাম ফ্লেক্সে লেখা আছে, পহলগাম থেকে চন্দনবাড়ি ভাড়া মাথাপিছু ২০০ টাকা যে কোনও গাড়িতে। আমরা একটা গাড়িতে সবাই মিলে যেতে চেয়েছিলাম। হোমস্টের মালিক বললেন ছোট গাড়িতে ১২০০ টাকার বেশি দেবেন না। ছোট গাড়িতে ৪ জনের বেশি ধরবে না। তাহলে মাথা পিছু ৩০০ টাকা। তাহলে ২০০ টাকা কোন গাড়িতে? টাটাসুমো, ট্রেকার ধরনের বড়গাড়িতে ২০০ টাকা করে?

কাল যখন সকালে পহলগাম বেসক্যাম্প যাবো বলে গাড়ি খুঁজছি কোনও গাড়ি যেতে চাইছে না। পুলিশকে বলাতেও বিশেষ কাজ হলনা। আসলে যে কোনও উৎসবে যে কোনও জায়গায় একই রকম অরাজকতা দেখা যায়। এসব নিয়ে তীর্থযাত্রীরা সাময়িক বিরক্ত হলেও খুব বেশি কিছু মনে করেন না, ক্ষোভ পুষে রাখেন না।


আমরাও লালিপুরা মোড়ে গাড়ি পেলাম না, নিরাপত্তার রক্ষীরা বললেন পিছনে অর্থাৎ পহলগামের দিকে দ্বিতীয় ব্রিজের কাছে গাড়ি পেয়ে যাবেন। আমরা পায়ে হেঁটে পিছিয়ে গেলাম। গাড়ি পেয়েও গেলাম। একটা গাড়ি বলল, হাজার। আরেকটা গাড়ি বলল, বারোশো। দুটো গাড়িতে আট জন চেপে বসলাম।

বলেছিল চারটের সময় লাইন খুলবে। সাড়ে চারটে বাজতে চলল লাইন খুলছে না। আমার অবশ্য একটু বেলায় অর্থাৎ আলো ফুটলে বেরোনোর ইচ্ছা ছিল। কারণ পহলগাম থেকে চন্দনবাড়ির রাস্তা অতীব সুন্দর। এমনকি ভগিনী নিবেদিতা তাঁর ভ্রমণ কাহিনীতে লিখে গেছেন, “পরবর্তী বিশ্রামস্থান চন্দন বাড়ি যাইবার রাস্তাটি কী সুন্দর।”

কিন্তু আমাদের ক্যাপ্টেন কোলের কড়া হুকুম, “যাত্রা প্রথম লটেই করতে হবে। পরে কী হবে কে বলতে পারে?”

ড্রাইভার গাড়ি ছোটালো হু হু করে। মনে হচ্ছে ফিরে এসে আবার যাত্রী নিয়ে যাবে। সাড়ে চারটের সময় যে আলো ফুটেছে, তাতেই একটা জায়গা দেখিয়ে চালক ভাই বলছিলেন, এটা বেতাব ভ্যালি। পহলগাম বেড়াতে এসে লোকে বেতাব ভ্যালি, বৈশরণ ভ্যালি বা মিনি সুইজারল্যান্ড যায়। যাত্রার সময় বৈশরণ ভ্যালি খোলা থাকলেও বেতাব ভ্যালি বন্ধ থাকে। অনেকে ট্টেকিং করে লিডার নদীর উৎস স্থল কোলাহোয় গ্লেসিয়াল যায়।

আমরা সাড়ে পাঁচের মধ্যে অমরনাথ যাত্রার সীমারেখার মধ্যে ঢুকে গেলাম। RFID কার্ড স্ক্যান করা মাত্র আমাদের ডিটেলস ফুটে উঠল। মালপত্র ওগুলো সব স্ক্যান হল। আমাদেরও সিকিউরিটি চেক করা হল, বিমানবন্দরের মতো ব্যবস্থাপনা। অনেকগুলো গেট। গঙ্গা সাগর মন্দিরের সামনে যেরকম জিগজ্যাগ করে বাঁশ দিয়ে ঘিরে লাইন করা থাকে, তেমনই লোহার রেলিং দিয়ে লাইন করা গেটের সামনে।

চেকিং পর্ব তাড়াতাড়ি সমাপ্ত হল। এরপর পিট্টু খুঁজতে হবে। মালপত্র বয়ে নেওয়ার জন্য যে লেবার থাকে তাকে এখানে পিট্টু বলে। চন্দনবাড়ি থেকে শেষনাগ পর্যন্ত পিট্টু ভাড়া ২০০০ টাকা। সরকারি ‘রেট’-এর উপরে ট্যাক্স আছে। টাকাটা সরকারি কাউন্টারে জমা দিলে রশিদ দেবে। পিট্টুওয়লা পরে কাউন্টার থেকে টাকা পাবে রশিদ দেখিয়ে। আগেও বলেছি ঘোড়া, ডাণ্ডির জন্যও এই ব্যবস্থা। প্রতিবছর ভাড়া চেঞ্জ হতে পারে এজন্য সরকারি নোটিফিকেশন অথবা বেস ক্যাম্পগুলোতে বিজ্ঞাপন দেখে নেওয়া যেতে পারে।

‘পরচি’ কেটে পিট্টুওয়লা ঠিক করতে কিছুটা সময় ব্যয় হল। পিট্টওয়লা কুড়ি কেজি পর্যন্ত মাল নেবে। অর্থাৎ দুটো রুকস্যাক বইতে পারবে। আমাদের আটজনের সাতটা রুকস্যাক। দু’জন নিজের রুকস্যাক নিজেই নিয়ে যাবে। পাঁচটা ব্যাগের জন্য যে টাকা, ছটা ব্যাগের জন্যও সেই টাকা অর্থাৎ তিনটে পিট্টু। তাই রাজীবের অনিচ্ছা সত্ত্বেও তার ব্যাগ কেড়ে পিট্টুওয়ালাকে দেওয়া হল।

চন্দনবাড়িতে এসে মহাদেব তাঁর মাথার চন্দ্রকে ছেড়ে গিয়েছিলেন। এই কারণে এই স্থানের নাম চন্দনবাড়ি। আমরা অবশ্য কিছু ছেড়ে যায়নি। বরঞ্চ সঙ্গে লাঠি নিয়ে নিলাম। নুনওয়ান বেস ক্যাম্পে লাঠি কেনার কথা উঠলে বলা হয় লাঠি আমরা চন্দনবাড়ি থেকে কিনব। আমাদের দলে দুজন লাঠি নেয়নি। লাঠি বিরোধী দুজন হলেন দেবজ্যোতি ও রাজীব। তাঁদের কাছে লাঠি বোঝার মতো লাগে। আমারও মাঝে মাঝে বোঝার মত মনে হয়েছে। তবে পিঠে বোঝা থাকলে খাড়াই নামার পথে লাঠি কাজে লাগে। ঘোড়ায় চড়লে অবশ্য লাঠির প্রয়োজন নেই। লাঠি নিল ২৫ টাকা করে।

আমরা ছ’টার সময় যাত্রা শুরু করলাম। তার আগে ভাণ্ডারায় কিছু খেয়ে নিলাম। কারণ খালি পেটে হাঁটা ঠিক হবে না। সাত সকালে সব ভাণ্ডারাগুলো সাদরে আহ্বান জানাচ্ছিল। আমরা বিভিন্ন ভাণ্ডারায় ঘুরে পছন্দসই খাদ্য গ্রহণ করছিলাম। শেষে খেলাম চা।

আমি অবশ্য পথে যত ভাণ্ডারা পেয়েছিলাম, তাতে প্রথমে গিয়ে জল, তারপর সামান্য কিছু মুখে দিয়ে চা খাচ্ছিলাম। চা এর পরিবর্তে কোথাও স্যূপ জলের পরিবর্তে কোথাও লেবু জল, আমপান্না বিভিন্ন ফলের জ্যুস পাচ্ছিলাম। এতে জলের ঘাটতি ও ‘এনার্জি’র ঘাটতি কিছুটা পূরন হচ্ছিল।

এদিকে সূর্য উঠে গেছে, পাহাড়ের চূড়া সোনার রঙে রাঙিয়ে দিয়েছে। কোথাও কোথাও পাহাড়ে গোড়া থেকে ধোঁয়া উঠছে, মনে হয় ওগুলো কুয়াশা। পাহাড়ে ‘যাহাই’ কুয়াশা, পাহাড়ের পাদদেশে ‘তাহাই’ মেঘ।

পিট্টুওয়ালা আমাদের মালপত্র নিয়ে বেরিয়ে গেল। বলল পিসু টপে গিয়ে দেখা হবে। আমরা ওদের আইডেন্টিটি কার্ড রেখে দিয়েছিলাম। মাল ফেরত পেলে ওটা ফেরত দেবো। এটাই নিয়ম। পিট্টুওয়লারা পাহাড়ের খাড়াই পথে শর্টকাট রাস্তা ধরল। যাত্রী সাধারণকে কোনও রকম শর্টকাট রাস্তা ধরতে বারণ করা হয়। তাছাড়া আমাদের অত দম নেই তাঁদের পিছু নেব।

চন্দনবাড়ি ছাড়ার কিছুক্ষণের মধ্যে চড়াই শুরু হল। এটাকে বলে পিসু চড়াই। অত্যন্ত খাড়া এই পথ। চন্দনবাড়ি থেকে পিসু টপ তিন কিলোমিটার। এই ৩ কিলোমিটার উতরাতে অনেকে ফেল মেরে যায়। তখন অনেকে শরণাপন্ন হয় ঘোড়ার, ডুলি অর্থাৎ ডাণ্ডির। অনেকে শুনেছি ক্ষান্ত দিয়ে ফিরে যান। তাঁরা অবশ্য পহলগাম থেকে হেলিকপ্টারে পঞ্চতরণী যেতে পারেন। আর যদি বৃষ্টি হয় তাহলে সর্পিল পথ হয়ে ওঠে অত্যন্ত পিচ্ছিল।

ছোট ছোট পদক্ষেপ এগিয়ে চলছি। এক্ষেত্রে যে গানটা আমি মনে করি সেটা হল, ‘হীরা মানিক’ ছবির আরতি মুখোপাধ্যায় ও প্রতিমা বন্দ্যোপাধ্যায় দ্বৈত কণ্ঠে গাওয়া গান, “এই ছোট্ট ছোট্ট পায়ে চলতে চলতে ঠিক পৌঁছে যাব।”

তবে পথ চলতে জ্ঞানের কোনও অভাব হচ্ছে না। কান না পাতলেও ‘আ মরি বাংলা ভাষা’তে শুনতে পাচ্ছি, “একদম বসবি না, দাঁড়িয়ে শ্বাস নে…”। “মনে রাখবি এটা কচ্ছপ ও খরগোশের লড়াই কচ্ছপের মতো ধীরে ধীরে চল, দেখবি ঠিক পৌঁছে গেছিস।”

গেরুয়াধারী সাধুরাও একে অন্যকে জ্ঞান দিতে ছাড়ছেন না। একজন সাধুকে বলতে শোনা গেল, “গাজার দম না নিলে এ পাহাড়ে ওঠা অসম্ভব!”

আসলে সবার নিজস্ব চলার ছন্দ আছে। সেই ছন্দে পা ফেলে ধীরে ধীরে চললেই হল, যদি না অন্য কোনও অসুস্থতা থাকে। আমার যেমন সমতলে মাইলের পর মাইল চললে কোনও ক্লান্তি আসে না। কিন্তু পাহাড়ি এলাকায় সামান্য চড়াই হলে বুঝতে পারি আমি উপরে উঠছি, অমনি হাঁপ ধরে। এমনও হয়েছে উপরের দিকে না তাকিয়ে পায়ের দিকে তাকিয়ে হেঁটেছি। তাতেও আমার হাঁপানি লুকোতে পারিনি।

বিভিন্ন রকম চলার জ্ঞান ছাড়াও সঙ্গে রেখেছিলাম চকলেট, লজেন্স, ইনস্ট্যান্ট এনার্জির জন্য। হোমিওপ্যাথি ডাক্তার প্রশান্ত ঝরিয়ৎ দিয়েছিলেন কোকা-৬। সেটাও মাঝে মাঝে চার ফোঁটা জিভে ফেলছিলাম। আমার পুরনো পাড়ার পিন্টুদা বলেছিল দমের অভাব হলে কর্পূর শুকতে। তাও মজুদ রেখেছিলাম। সেটার অবশ্য দরকার হয়নি।

পিসুটপের পথে একদিকে খাড়া পাহাড়, আরেক দিকে গভীর খাদ। পড়লে কি যে হবে কে জানে। খাদের ধারে অবশ্য রেলিং আছে। সবচেয়ে মুশকিল হয় ঘোড়া গেলে। ঘোড়ার জন্য একধারে সরে পথ করে দিতে হয়। এক্ষেত্রে একটা নিয়ম আছে, ঘোড়া এলে, ঘোড়াকে খাদের ধার দিতে হবে, আর পথচারীকে পাহাড়ে ধার নিতে হবে। আবার ঘোড়া থেকে মাঝে মাঝে লোকজন পড়ে যায়। খাদের দিকে পড়লে তো কথাই নেই! ঘোড়া থেকে পড়ে গিয়ে সামান্য জখম হলেও আমাদের যাত্রাকালে বড় কিছু ঘটনা হতে দেখিনি।

এছাড়া ঘোড়ায় চড়ার কয়েকটি অসুবিধা আছে। ঘোড়ায় চড়ে ছবি তোলা যায় না। অনেকে কাঠ হয়ে সোজা বসে থাকে, এতে পিঠ টনটন করে। আবার ঘোরার পায়ের ওপরও বিশ্বাস আসে না। খাদের ধার ঘেঁষে চললে হৃদকম্প শুরু হয়। সবচেয়ে নিরাপদ হল পায়ে হেঁটে চলা; কেননা সেটা নিজের আয়ত্তের মধ্যে থাকে।

যত লোক হেঁটে যায়, তার থেকে অনেক বেশি লোক ঘোড়ায় চড়ে যায়। এজন্য প্রচুর ঘোড়ার প্রয়োজন পড়ে। সারা কাশ্মীর থেকে ঘোড়া এখানে এসে হাজির হয় যাত্রার সময়। পিট্টুওয়ালা ও ডাণ্ডিওয়ালারাও তাই। আমাদের মালপত্র নিয়ে যারা এসেছিল তাদের বাড়ি অনন্তনাগ। ঘোড়া চলাচলের আর একটা খারাপ দিক তা হল ঘোড়ার বিষ্ঠা। ঘোড়ার মলে পুরো পথ সবুজ কর্দমাক্ত হয়ে ওঠে। সেই সঙ্গে দুর্গন্ধ। আর বৃষ্টি হলে তো কথাই নেই।

হাতে লাঠি নিয়ে তিন হাত পায়ে ওপরে চড়তে লাগলাম। মাঝে মাঝে চার হাত পা হয়ে যাচ্ছে, যখন এক হাতে রেলিং ধরছি। তবুও এ বছর একটা সূরাহা হয়েছে শেষ দিকের ইংরেজি Z আকৃতির চড়াইটা আর আমাদের ভাঙতে হয়নি। একটা বিকল্প পথ হয়েছে সেই পথটা এক কিলোমিটার বেশি। তবে খাড়াই কম। পূর্বেকার পথটি কেবলমাত্র ঘোড়ার জন্য রাখা হয়েছে।

নতুন পথ থেকে পূর্বতন পথের রেখাটা রেশম পথ জুলুখের মতো Z আকৃতির মতো লাগছিল। পথটি দেখতে দিব্যি লাগছিল। সাতটার সময় দেখলাম মাত্র এক কিলোমিটার এসেছি। আজ আমাদের যাত্রা শেষ নাগ পর্যন্ত। চন্দনবাড়ি থেকে শেষ নাগের দূরত্ব ১২ কিলোমিটার। এরকম যদি চলি তাহলে তো ১২ ঘণ্টা লাগবে শেষনাগ পৌঁছাতে। ভয় পেয়ে গেলাম।

পরে জানলাম পিসু টপ পেরিয়ে গেলে পরের অংশটা গড়গড় করে যাওয়া যাবে। দ্রুত হাঁফ ধরার জন্য অতি ঘনঘন দাঁড়িয়ে পড়ছি। দাঁড়িয়ে একবার পিছনে ফিরছি। কতটা চড়াই উঠলাম অনুমান করার জন্য। চারপাশে নজর ফেলছি। পিছনে চন্দনবাড়ি উপত্যকা। পাহাড়ের গায়ে ঘন সবুজ পাইনের সারি; মনে হচ্ছে শিল্পীর তুলির টান। চোখ ও মন দুই জুড়িয়ে যাচ্ছিল। মোবাইল বার করে দু একটা ছবি তুলতেই সমস্ত ক্লান্তি দূর! আবার চলা শুরু।

অবশেষে পিসুটপে পৌছালাম। তখন ঘড়িতে প্রায় আটটা। পিসুটপের উচ্চতা ১১,০০০ ফুট। মনে হচ্ছে এভারেস্ট জয় করে ফেললাম। মনে হল সবই বাবা অমরনাথের কৃপা। কিংবদন্তি বলে এই পাহাড়ের উপর থেকে দেবতারা পাথর গড়িয়ে নিচে দৈত্যদের পিষে মেরে ফেলত। তাই এই পাহাড়ের নাম পিসু পাহাড়।

পিসুটপের উপরের একটা ভাণ্ডারা। হাতে শরবতের গ্লাস নিয়ে বসে পড়লাম। তারপর অল্প কিছু আহার গ্রহণ করলাম। অত্যধিক পরিশ্রমে খুব খিদে পাচ্ছে না, তবুও ইঞ্জিনে তেল, জল, থাকা দরকার। পিসুটপে আমাদের জন্য পিট্টুওয়ালা অপেক্ষা করছিলেন। ভাণ্ডারাতে পিট্টুওয়ালা বা ঘোড়ার সহিসদের খাবার দেওয়া হয় না। আমাদের সঙ্গে করে আনা খাবার পিট্টুওয়ালাদের দিলাম। সেগুলো তিনজন ভাগ করে খেলো।

ভাণ্ডারার মন্দিরে উচ্চস্বরে ভোলেবাবার গান বাজছে। আগত যাত্রীরা তার তালে লাঠি উঁচিয়ে নাচছে। আমার মত নৃত্য আড়ষ্ট ব্যক্তির পা নেচে উঠেছে! এটা আনন্দ না, দেব মহিমা বলতে পারব না। সবাই প্রথম হার্ডল টপকানোর আনন্দে মশগুল। অনেকে অবশ্য বলেন, “আনন্দ হল ঈশ্বর লাভের অন্যতম অনুভূতি।”
[ক্রমশ]