করােনার আগেও ইন্টারনেটের বিশেষ গুরুত্ব ছিলাে কিন্তু করােনা শুরু হওয়ায় পর এখন সবকিছুই কার্যত ইন্টারনেট প্রযুক্তি বা অনলাইন নির্ভর। স্কুল কলেজের পড়াশােনা থেকে শুরু করে চিকিৎসা, ব্যাঙ্ক প্রায় সবকিছুই এখন ইন্টারনেট ছাড়া অচল।
এই অবস্থায় নেট যােগাযােগ ব্যবস্থা আরও চাঙ্গা করবার দাবি উঠেছে বিভিন্ন মহলে। আর সেই নেট যােগাযােগ ব্যবস্থা চাঙ্গা করতে হলে মােবাইল টাওয়ার তৈরির বিরােধিতা থেকেও কিছু মানুষকে সরে আসার প্রয়ােজন রয়েছে।
মােবাইল টাওয়ার পরিবেশের কোনাে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে না। উল্টে যাঁরা মােবাইল টাওয়ার তৈরির বিরােধিতা করছেন বিভিন্ন স্থানে তারা না জেনে-বুঝেই বিরােধিতা করছেন বলে জানালেন শিলিগুড়ি বি এস এন এলের জেনারেল ম্যানেজার অরুময় কুয়া।
তাঁর মতে, এখন মানুষকে এবিষয়ে সচেতন হওয়ার প্রয়ােজন রয়েছে। বর্তমান করােনা পরিস্থিতিতে মানুষের প্রয়ােজনেই নেট প্রযুক্তিকে আরও শক্তিশালী করতে আরও টাওয়ার বা আরও নেটওয়ার্ক জোরদার করা প্রয়ােজন।
বিএসএনএল এখন প্রত্যন্ত গ্রামগুলােতে নেট প্রযুক্তি চাঙ্গা করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। কালিম্পংয়ের তােদেতাংতা, ঝালংয়ের প্রত্যন্ত এলাকায় বি এস এন এল নেটওয়ার্ক পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
একইভাবে বাংলাদেশ ও নেপাল সীমান্তের খড়িবাড়ি ফাসিদেওয়া এলাকার প্রত্যন্ত গ্রামেও নেট প্রযুক্তি চাঙ্গা করার কাজ চলছে বলে জেনারেল ম্যানেজার জানিয়েছেন। তিনি আরও জানিয়েছেন, বিএসএনএলের হাই স্পিড নেটের চাহিদা ক্রমশ বাড়ছে।
বিএসএনএল হাইস্পিড নেটের জন্য বিভিন্ন প্যাকেজ আনছে। অপরদিকে বি এস এন এলের জে টি ও সুগ্রীতম পাল জানিয়েছেন, শিলিগুড়িতে এখন প্রতিদিন গড়ে কুড়িটি করে বিএসএনএলের ফাইবার সংযােগ বাড়ছে। এখন এই এলাকায় তিন হাজারেরও বেশি বিএসএনএল ফাইবার সংযােগ হয়েছে।
মানুষ আবার বি এস এন এলের দিকে ঝুঁকে পড়ছেন। বি এস এন এলও তাদের প্যাকেজ আকর্ষণীয় করছে। তবে বিভিন্ন মানুষ অজ্ঞতার কারণে টাওয়ার বসানাের বিরােধিতার নামে বাস্তবে সমাজেরই ক্ষতি করতে শুরু করেছেন বলে এদিন বি এস এন এল আধিকারিকরা অভিমত দেন।