গত মরশুমে সেইভাবে কোচ রিকি পন্টিং আইপিএল ক্রিকেটে দিল্লি ক্যাপিটালসের পারফরমেন্স সেইভাবে তুলে ধরতে পারেননি বলে কর্মকর্তারা বেশ অসন্তুষ্ট। আর তারই জন্যে রিকি পন্টিংকে কোচের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু তারপরে দিল্লির কোচ কে হবেন তা নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়। অনেকেই ভেবেছিলেন কোচের দায়িত্ব পেতে পারেন সৌরভ গাঙ্গুলি। সেই গুঞ্জনকে উড়িয়ে দিয়ে দিল্লির কোচ হিসাবে ভারতের প্রাক্তন দাপুটে ব্যাটসম্যান যুবরাজ সিং-কে দেখা যাবে, এমন ধারণা স্পষ্ট হতে চলেছে।
যুবরাজ ২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ী ভারতীয় দলের অন্যতম ক্রিকেটার ছিলেন। বিধ্বংসী ব্যাটিং করে যুবরাজ ভারতীয় দলে সাফল্যের পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রধান কারিগর ছিলেন। বল হাতেও তিনি প্রতিপক্ষকে চাপের মধ্যে রেখে দিয়েছিলেন। আবার ২০১১ সালে ভারতের মাটিতে বিশ্বকাপ জয়ের জন্যে দুরন্ত ভূমিকা নিয়েছিলেন যুবরাজ এবং ধোনি ব্রিগেডকে জিতিয়ে ছিলেন।
তবে দুরন্ত ব্যাটসম্যান যুবরাজ সিং-য়ের সঙ্গে প্রাথমিক পর্যায়ে কথাবার্তা হলেও, দিল্লির কর্মকর্তারা এখনও পাকা কথা বলেননি। প্রথমে শোনা গিয়েছিল গুজরাত টাইটান্সের কোচ হতে পারেন যুবরাজ সিং। আশিস নেহরার জায়গায় তাঁর কথা ভাবা হয়েছিল। পাকিস্তান ক্রিকেট দলের বর্তমান কোচ গ্যারি কার্স্টেনের কথাও ভাবা হয়েছে গুজরাত দলের ব্যাপারে।
এদিকে দিল্লির কোচ হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন সৌরভ গাঙ্গুলি নিজে। দলের ডিরেক্টর হিসেবে তিনি থাকতে সেইভাবে ইচ্ছা নেই। যদি যুবরাজ কোচের দায়িত্ব নেন, তবে সৌরভ ও যুবরাজ জুটি ভালভাবে কাজ করে যাবেন বলে মনে করা হচ্ছে দিল্লির অন্দর মহলে। কোচ হিসেবে যুবরাজের সেই অভিজ্ঞতা নেই। কিন্তু ভারতীয় ক্রিকেটে পঞ্জাবের শুভমান গিল ও অভিষেক শর্মাদের তৈরি করার ক্ষেত্রে যুবরাজের অবদানকে অস্বীকার কর যাবে না। যুবরাজ ২০১৫ সালে আইপিএল ক্রিকেটে দিল্লির হয়ে খেলেছিলেন। তখন যুবরাজকে ১৬ কোটি টাকায় কেনা হয়েছিল। সেই বছরে সবচেয়ে দামী ক্রিকেটার ছিলেন যুবরাজ সিং।