ভারতের বিরুদ্ধে চলতি টি-২০ সিরিজ জিততে পারলে সেটা বাংলাদেশের ক্রিকেটের পক্ষে একটা বিরাট সাফল্য হবে। দ্বিতীয় টি-২০ ম্যাচের আগে বাংলাদেশের অধিনায়ক মহমদুল্লা রিয়াদ বুধবার বলেছেন, বাংলাদেশের ক্রিকেটে সাম্প্রতিক ধাক্কার পর এটা একটা বড় ঘটনা হবে বিশেষ করে তারকা ক্রিকেটার শাকিব অল হাসানের নির্বাসনের পর রিয়াদ বলেছেন, যদি সাম্প্রতিক ঘটনাবলীর দিকে নজর দেন যে বাংলাদেশের ক্রিকেটে কি চলছে তবে ভারতে এসে সিরিজ জেতাটা উল্টোভাবে দারুণ ফল দেবে।
বৃহস্পতিবার আমাদের ভাল ক্রিকেট খেলতে হবে যাতে ভারতকে আবার হারানাে যায়। যদিও আমরা জানি দেশের মাটিতে এবং গােটা দুনিয়ায় ভারত একটি খুব ভাল দল। তাই ম্যাচের প্রথম বলটি থেকেই আমাদের দাপট দেখাতে হবে। দিল্লিতে প্রথম টি-২০ ম্যাচের আবহাওয়া ও দূষণের কারণে বাংলাদেশের দুই ক্রিকেটার মাঠে বমি করলেও সেই বিষয়টিকে আদৌ আমল দিতে চাননি অধিনায়ক। তবে শাকিব অল হাসানের নির্বাসন এবং তার আগে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের ধর্মঘটের প্রসঙ্গ তুলে মহমদুল্লা রিয়াদ বলেছেন, তাঁর মতে ভারতের বিরুদ্ধে টি-২০ সিরিজ জেতার সেরা সুযােগ তাদের সামনে রয়েছে।
রিয়াদের মতে প্রথম ম্যাচ জেতায় গােটা দল নিজেদের ওপর বাড়তি আস্থা পেয়েছে। তাই বলে দলটি অলস বসে নেই। প্রত্যেকেই প্রচণ্ড পরিশ্রম করছে এবং অনুশীলনে নিজেদের সেরাটা দিতে চেয়েছে। রিয়াদের মতে টি-২০ ম্যাচে যদি যথাযথভাবে উইকেটের চরিত্র আন্দাজ করা যায় এবং তদানুযায়ী ফিল্ডিং সেট করা যায় তাহলে ভাল ফল করার সম্ভাবনা প্রবল। তাছাড়াও ঠিক সময়ে ঠিক সিদ্ধান্তটি নিতে হবে। একটি নির্দিষ্ট গেম প্ল্যান থাকলেও প্রয়ােজন মতাে সেটা বদলাতে হতে পারে।
ভারত ভুবনেশ্বর কুমার এবং যশপ্রীত বুমরার অনুপস্থিতিতে বােলিংয়ে দুর্বল ও অনিভিজ্ঞ হয়ে পড়েছে একথা মনে করেন না মহমদুল্লা। তিনি বলেছেন, ভুলে যাবেন না ভারতের খুব ভালো স্পিনাররা সেইসঙ্গে পেস বােলার রয়েছে। তাদের হেলাফেলা করা বা আন্ডার এস্টিমেট করা চরম বােকামি। অধিনায়কের মতে ১৭০ বা তার বেশি রান করতে পারলে ম্যাচে লড়াই করা সম্ভব। যেহেতু রাজকোটে ব্যাটিং উইকেট তাই আশা করছি আমরা ১৭০ রানের বেশি করতে পারবাে। কিন্তু তার আগে উইকেট ভালভাবে দেখা দরকার।
বাংলাদেশের অধিনায়ক তাঁর দুই তরুণ ক্রিকেটার আফিফ হােসেন এবং নঈম শেখের প্রশংসা করে বলেছেন, তাঁরা প্রমাণ করেছে যে ভাল খেলতে সক্ষম তাই দলে তাদের স্থান পাকা। আশা করছি বৃহস্পতিবারও তারা একই পারফর্ম করে দেখাবে।