চোট সারিয়ে সবেমাত্র কামব্যাক করেছেন ঘরোয়া ক্রিকেটে। কিন্তু জাতীয় দলের হয়ে প্রত্যাবর্তন এখনও বহু দেরি মহম্মদ শামির । কারণ বিসিসিআই সূত্রে খবর, তারকা পেসারকে একগুচ্ছ শর্ত দেওয়া হয়েছে। সেগুলো পূরণ করতে পারলে তবেই ফের দেশের জার্সিতে খেলতে পারবেন বঙ্গ পেসার। রঞ্জি ট্রফির পর আপাতত বাংলার হয়ে সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে খেলছেন শামি। সেখানে বঙ্গ পেসার কেমন খেলছেন, সেদিকে নজর রাখছেন বোর্ড কর্তারা।
প্রত্যেক স্পেলে বল করার পরেই শামির শারীরিক অবস্থা খতিয়ে দেখছেন বোর্ডের স্পোর্টস সায়েন্স বিভাগের প্রধান নীতিন প্যাটেল এবং এনসিএর ট্রেনার নিশান্ত বরদলৈ। তাঁর ট্রেনিং এবং রিকভারির দায়িত্বেও রয়েছেন এই দুজন।
কিন্তু বোর্ড মনে করছে, ফিটনেসের ব্যাপারে শামি এখনও দুই ট্রেনারের উপর খুব বেশি পরিমাণে নির্ভরশীল। কত তাড়াতাড়ি শামি এই নির্ভরশীলতা কাটাতে পারছেন, তার ভিত্তিতেই তাঁকে জাতীয় দলে ফেরানো নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সম্পূর্ণ ফিট হওয়ার পাশাপাশি শামিকে ওজন কমানোরও শর্ত দিয়েছে বোর্ড। ঘরোয়া ক্রিকেটে তারকা পেসার বল করলেও, ওজনের কারণে তাঁকে পূর্ণ ছন্দে বল করতে দেখা যাচ্ছে না।
তবে ম্যাচ খেলতে খেলতেই শামির ওজন কমবে বলে আশা করছে বোর্ড। ওজন কমলে শামির চোট পাওয়ার ঝুঁকিও কমতে পারে। সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফির প্রথম রাউন্ডের ম্যাচগুলোই শামির জন্য অগ্নিপরীক্ষা হতে চলেছে বলে বোর্ড সূত্রে খবর।
তবে শামিকে নিয়ে তাড়াহুড়ো করতে মোটেই রাজি নয় বিসিসিআই। কারণ ফেব্রুয়ারি মাসে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি রয়েছে। সেখানে ফিট শামিকে খেলাতে চাইছে বোর্ড। সঙ্গে বিসিসিআই এটাও মনে করছে, সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে দুওভারের স্পেল দেখে বোঝা যাবে না যে শামি টেস্টে লম্বা স্পেলে বল করতে পারবেন কিনা।
আপাতত ঘরোয়া ক্রিকেটের চ্যালেঞ্জ পেরিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় পাড়ি দিতে পারেন শামি। ভারতীয় দলের সঙ্গে নেমে পড়তে পারেন অনুশীলনে। কিন্তু প্রথম একাদশে খেলার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। যদি খুব ভালো রিকভারি হয়, তাহলে বর্ডার-গাভাসকর ট্রফির তৃতীয় টেস্টে হয়তো খেলতে পারেন শামি।