দিল্লি– কেউ বলছেন আরসিবিকে প্রথমে ব্যাট করতে হলে ২২০ থেকে ২৩০ রানের টার্গেট নিয়ে খেলতে হবে৷ কিন্ত্ত কেকেআরের বিরুদ্ধে ১৮২ রানে আটকে যেতে অন্তত ৫০ রান পিছিয়ে থেকে তারা ফল্ডিং করতে নামল৷ ওরা ব্যাটিং নির্ভর দল৷ সেখানে ব্যাটসম্যানরা রান করতে না পারলে দল জিতবে কীভাবে!
তা হলে এটাই ধরে নেওয়া হবে যে সব ম্যাচে আরসিবিকে ২২০ রানের বেশি তুলতে হবে৷ না হলে পরে ব্যাট করতে হলে টার্গেটের পিছনে ছুটে এগোতে হবে৷ তখন সামনে থাকবে কত রানে তাদের পা রাখতে হবে৷ তা হলেই তারা জিততে পারবে৷
এভাবে কি ক্রিকেট হয়! আসলে লিগের ম্যাচে সেটা করতে পারলেও নকআউটে গিয়ে তারা আটকে যাবে৷ এমন কথাা শোনাচ্ছেন হরভজন সিং৷ নিজের ইউটিউব চ্যানেলে আরসিবি-কেকেআর ম্যাচ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলছেন, ওদের বোলিং দেখলে অবাক হতে হয়৷ দল গড়ার সময় ওরা কখনও বোলিং নিয়ে ভাবেনি৷ ওদের প্রথম একাদশ দেখে এটা সামনে চলে আসে৷ ওদের বোলিং লাইনআপ দেখুন৷ সিরাজ এই ফরম্যাটে কবে ভাল বল করবে কেউ জানে না৷ বাকিদের নাম কে বলতে পারবেন! আলজারি যোশেফ শর্ট বল ছাড়া কিছু করছে না৷ যশ দয়ালের উপর ভরসা করে এগোতে গেলে আটকে যেতে হবে৷ দলে ভাল স্পিনারই বা কোথায়৷ বিজয়কুমারকে ওরা খেলাল৷ খারাপ বোলিং করল না৷ হাতে ছিল করন শর্মা৷ রিস্ট স্পিনারের নাম উঠলে চাহালের কথা উঠে আসবে৷ ওকে আরসিবি কেন যে ছেডে় দিল জানি না৷ আইপিএল জিততে গেলে বোলিং ভাল না হলে মার খেতে হবে৷ সেটাই হচ্ছে৷ এই বোলিং নিয়ে ভাল কিছু আশা করা ভুল৷
আরসিবি ব্যাটিং নির্ভর দল কেন বলা হচ্ছে! উত্তর দিতে গেলে যে নামগুলি সামনে আসবে সেগুলি হল ফাফ, বিরাট, গ্রিন, ম্যাক্সের সঙ্গে ভারতীয় ক্রিকেটাররা আছে৷ এটা দেখে বলে দেওয়া যায় যে ওরা ব্যাটিং শক্তিশালী করে দল গড়তে ভালবাসে৷ হরভজন বলছেন, প্রথমে সব বিদেশিদের সামনে নিয়ে আসছে৷ প্রথম চার ব্যাটসম্যানের মধ্যে তিনজন বিদেশি নামছে৷ ওদের সঙ্গে আছে বিরাট৷ পাঁচ নম্বর থেকে ভারতীয় ব্যটসম্যানদের কথা ভাবা হচ্ছে৷ কেন! রজত পাতিধারকে নামানে হচ্ছে পাঁচ নম্বরে৷ তখন নেমে বড় স্ট্রোক করে খেলতে গিয়ে উইকেট দিয়ে চলে আসছে৷ তিন ম্যাচে রজত করেছে ২১ রান৷ ওকে কেন তিন নম্বরে নিয়ে আসা হচ্ছে না৷ গ্রিন বা ম্যাক্স জাতীয় দলের হয়ে কত নম্বরে ব্যাট করে৷ রজত শুরুর দিকে এলে নিজেকে সেট করে স্ট্রোক খেলতে পারে৷ সেটা ওর পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না৷ এবার ওকে বাদ দিলে কী বলার থাকবে৷ পাঁচ না হলে উপরে নিয়ে এস৷ জাতীয় দলের হয়ে খেলে ফিরেছে৷ আত্মবিশ্বাস আছে৷ সুযোগ তো দিতে হবে৷ সেটা আরসিবি কবে না৷ আসলে ওরা কোনদিন ক্রিকেটার তৈরি করেনি৷ এভাবে ক্রিকেটার এনে যে কোনও জায়গায় খেলিয়ে দিয়েছে৷ পারলে ভাল, না পারলে বাইরে গিয়ে বস৷ এটা কোনও থিওরি হতে পারে না৷ তাই আরসিবি-র সাফল্য নেই৷ বড় ম্যাচে গিয়ে আটকে যাচ্ছে৷ এতবছর হয়ে গেল ওরা একবারও চ্যাম্পিয়ন হতে পারল না৷ তার নেপথ্যে এটাই কাজ করেছে৷ দলকে ব্যালান্স করে এগোতে হলে কী করতে হবে, এই ভাবনা ওদের মধ্যে না থাকলে এমনটা হতে থাকবে৷ এবার ভাবার সময় এসেছে৷ দল নিয়ে এবার ভাবুন৷ না হলে আবার একটি ব্যর্থতায় নিজেদের জডি়য়ে ধরবে৷