ওয়াটকিনস গোল করেই নায়ক হয়ে গেলেন ইউরো কাপের ফাইনালে স্পেনের সামনে ইংল্যান্ড

মিউনিখ: পরপর দু’বার ইউরো কাপের ফাইনালে খেলার কৃতিত্ব দেখাল গ্যারেথ সাউথগেটের ইংল্যান্ড দল৷ অভাবনীয়ভাবে সেমিফাইনাল ম্যাচে ইংল্যান্ড ২-১ গোলে নেদারল্যান্ডসের মতো শক্তিশালী দলকে হারিয়ে দিল৷ ফাইনালে ইংল্যান্ডের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে স্পেন৷ ইংল্যান্ড ও স্পেনের খেলাটি দেখার জন্য অবশ্যই ফুটবল জগতের সব দর্শকদের চোখ থাকবে৷ নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে শেষ মুহূর্তে অলি ওয়াটকিনস গোল করে ইংল্যান্ডকে জিতিয়ে দিলেন৷ আর গোল করেই ওয়াটকিনস নায়ক হয়ে গেলেন৷ খেলার সাত মিনিটের মাথায় বুলেটের মতো শট নেন নেদারল্যান্ডসের জাভি সিমেন্স৷

জাভি সিমেন্সের শট গোলের জালে জড়িয়ে যায় কখন, তা দেখেনইনি ইংল্যান্ডের গোলরক্ষক৷ পিছিয়ে থাকা ইংল্যান্ড আক্রমণ থেকে কখনওই দূরে সরে থাকেননি৷ ১৩ মিনিটের মাথায় হ্যারি কেনের একটি দুরন্ত শট বারের পাশ দিয়ে চলে যায়৷ পাল্টা আক্রমণ শানাতে থাকেন নেদারল্যান্ডসের ফুটবলাররা৷ খেলার প্রথমার্ধেই ইংল্যান্ডের ফুটবলার কেইনকে বক্সের মধ্যে ফাউল করেন ডামফ্রিস৷ রেফারি সঙ্গে সঙ্গেই পেনাল্টি নির্দেশ দেন৷ পেনাল্টি থেকে কেইন গোল করে খেলায় সমতা ফিরিয়ে আনেন৷

খেলার দ্বিতীয় পর্ব শুরু হতেই ইংল্যান্ডের ফুটবলাররা আরও বেশি আক্রমণে গতি বাড়িয়ে নেদারল্যান্ডসের রক্ষণভাগে চাপ সৃষ্টি করতে থাকেন৷ খেলা শেষ হওয়ার কয়েক মিনিট আগে কোচ সাউথগেট দু’টি পরিবর্তন করেন৷ ফিল ফডেনকে তুলে নিয়ে মাঠে নামান কোল পামারকে৷ আবার অধিনায়ক হ্যারি কেনের পরিবর্তে মাঠে আসেন ওয়াটকিনস৷ ম্যাচ তখন শেষ হতে ১ মিনিট বাকি৷ তখন পামারের কাছ থেকে বল পেয়ে ওয়াটকিনস গোল করে ইংল্যান্ডকে জিতিয়ে দেন৷


এদিকে খেলা শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রেফারি ফেলিক্স জয়ার টানেলের দিকে ছুটে যান৷ তাঁর কাছে ছুটে যান নেদারল্যান্ডসের অধিনায়ক ভিজিল ভ্যান ডিহিক৷ হয়তো তিনি কিছু বলতে চেষ্টা করেছিলেন৷ তিনি রেফারিকে দায়ী করলেন এই হারের জন্য৷ রেফারি ইচ্ছাকৃতভাবে পেনাল্টির নির্দেশ দিয়ে ইংল্যান্ডকে জিতিয়ে দিয়েছেন৷ শুধু পেনাল্টি নয়, পুরো ম্যাচে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত ইংল্যান্ডের পক্ষে গিয়েছে৷ তিনি কেন ম্যাচ শেষ হতে টানেলের দিকে দৌড়েছিলেন, এই প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে৷ তবে হঁ্যা, খেলার এক মিনিট আগে গোল খাওয়াটা সত্যিই খুব কষ্টকর৷ রেফারির বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়ে নেদারল্যান্ডসের ফুটবলাররা বেশ ক্ষুব্ধ৷ এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, ২০০৫ সালে ম্যাচ গড়াপেটার অভিযোগে নির্বাসিত হয়েছিলেন এই রেফারি৷ আবার তিনি বিতর্কে জড়ালেন৷