নিজস্ব প্রতিনিধি— ইতিমধ্যেই কলকাতা ময়দানে গত মরশুমে দুটি খেলায় গড়াপেটা হয়েছে বলে সারা ভারত ফুটবল ফেডারেশনের তরফ থেকে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছিল আইএফএ দফতরে৷ সেই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে আইএফএ শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটি ওয়াড়ি ও টলিগঞ্জ অগ্রগামীকে দু’বছরের জন্য সাসপেন্ড করে৷ সেই পরিপ্রেক্ষিতে দুই ক্লাবের পক্ষ থেকে বলা হয় এই বিষয়ে আমাদের কোনও কিছু না জানিয়ে সরাসরি শাস্তি দেওয়া হল সেটা সঠিক পথ নয়৷ তদন্ত করে দেখা উচিত ছিল৷ তার আগে এমন শাস্তি বহাল করা যায় কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন থাকতেই পারে৷ গত দু’বছর আগে এরকম একটি ঘটনা ঘটেছিল রেনবো ফুটবল ক্লাব ও এরিয়ান ক্লাবের খেলায়৷ তখনও বলা হয়েছিল ওই খেলাটি গটআপ ছিল৷ এ ব্যাপারে পরবর্তী ক্ষেত্রে পুলিশের উপর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল ঘটনাটি পর্যবেক্ষণ করার জন্য৷
কিন্ত্ত এবারে ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে যে শাস্তি দেওয়া হয়েছে দুটি ক্লাবকে সে ব্যাপারে উল্লেখ করতে গিয়ে আইএফএ চেয়ারম্যান সুব্রত দত্ত জানান, সত্যিই যদি দোষ করে থাকে তাহলে শাস্তি অবশ্যই পাবে৷ তদন্ত করতে গেলে তার একটা সময় দিতে হয়৷ সেই সময় না দিয়েই কেউ যদি শাস্তি প্রাপ্ত হয় সেটা সঠিক হবে না৷ তদন্তর পরে দেখা গেল তারা নির্দোষ বা অন্য ঘটনা ঘটে থাকে সে ক্ষেত্রে শাস্তি বহাল করাটা কি আগে ভাগে করা উচিত? যদি তারা নির্দোষ হয় তাহলে প্রচুর ক্ষতিগ্রস্ত হবে ক্লাব সেদিকে নজর রাখতে হবে৷
এদিকে চিন থেকে জনৈক এক ব্যক্তি ইমেল ও হোয়টসপের মাধ্যমে ভারতের বিভিন্ন ক্লাবকে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব দিচ্ছে৷ এই মর্মে সারা ভারত ফুটবল ফেডারেশনের পক্ষ থেকে আইএফএ সহ অন্যান্য রাজ্য ফুটবল সংস্থাকে সতর্ক করা হয়েছে৷ এই চিঠি পাওয়ার পরেই আইএফএ সচিব অনির্বাণ দত্ত অনুমোদিত ৩০৯টি ক্লাবকে চিঠি দিয়ে সতর্ক করে বলা হয়েছে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের কথা কোনও মেল বা হোয়াটসপে দেখতে পেলে তা কোনও ভাবেই যোগাযোগ করবে না৷ এমনই সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে৷