প্যাট কামিন্সের নেতৃত্বে অস্ট্রেলিয়া দল প্রথম টেস্ট ম্যাচে হেরে গিয়ে বেশ চাপে রয়েছে। তারপরে তাঁদের শিবিরে চোট-আঘাত খেলোয়াড়দের নিয়েও চিন্তা রয়েছে। ভারতীয় দল বেশ শক্তিশালী, তা স্বীকার করে নিয়ে অধিনায়ক প্যাট কামিন্স মনে করেন, খুব সহজেই ম্যাচ জেতা সম্ভব নয়। অনেক অঙ্ক কষে খেলতে হবে দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচ। তারপরে দিন-রাতের খেলা। এই খেলায় সবসময় দু’দলের কাছে সমস্যা হতে পারে। লাল বলের খেলার পরে গোলাপি বলে খেলা কিছুটা সমস্যা তৈরি হয়। তাই বলে পিছিয়ে থাকতে রাজি নয়। কামিন্স ব্রিগেডে ক্রিকেটারদের শরীরী ভাষায় এমনই ছবি দেখতে পাওয়া গিয়েছে। এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, একদিনের বিশ্বকাপ অ্যাসেজ বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে অস্ট্রেলিয়া দলকে ভারতীয় দলকে হারালেও এখনও পর্যন্ত টেস্ট সিরিজ ভারতের বিরুদ্ধে জিততে পারেনি। তাই এবারে খেলতে নামার আগেই অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটাররা অঙ্গীকার করেই মাঠে নামবেন ম্যাচ ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য।
অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের টেস্ট ম্যাচে অভিষেক হয়েছিল ২০১১ সালে। আর ভারতের বিরুদ্ধে তিনি প্রথম ম্যাচ খেলেছিলেন ২০১৭ সালে। ২০১৪-১৫ সাল থেকে অস্ট্রেলিয়া ভারতকে টেস্ট সিরিজে হারাতে পারেনি। এবার ভারতকে হারানোর জন্য মরিয়া অস্ট্রেলিয়া। বৃহস্পতিবার কামিন্স বলেন, আমাদের দলে বেশির ভাগ ক্রিকেটাররা বর্ডার-গাভাসকার ট্রফি জেতেনি। তাই এই কাজটা আমরা এবার করতে চাই। যে দলই চ্যালেঞ্জ নিয়ে আসুক না কেন, আমরা সামাল দিয়েছি। এই সিরিজেও সেই লক্ষ্যেই এগিয়ে যাওয়ার জন্য তৈরি রয়েছি। আমি নিজেও চাইব, এবারে বর্ডার-গাভাসকার ট্রফিটা আমাদের ক্রিকেটারদের হাতে শোভা পাক। এই দলে হ্যাজেলউড থাকছেন না। তবে মিচেল স্টার্ক, মিচেল মার্শ ও নেথান লায়ন রয়েছেন। তাঁরাও লড়াই করবেন ম্যাচটা ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য। খেলোয়াড়দের মধ্যে এমন কোনও চাপ নেই বলে মনে করেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক। ভারতীয় দলের বিরুদ্ধে অনেকেই খেলেছেন, যাঁরা দ্বিতীয় টেস্টে দলে রয়েছেন। তাঁদের কাছে এটা নতুন ব্যাপার নয়। সিরিজটা নিঃসন্দেহে বড়। তাই চারটি টেস্ট ম্যাচ এখনও বাকি রয়েছে। অত্যন্ত সচেতন ভূমিকা নিয়ে খেলতে হবে আমাদের। ভারতের বিরুদ্ধে ভালো খেলার জন্য অবশ্যই চেষ্টা করা হবে।
এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, অধিনায়ক কামিন্স ৬৩টি টেস্ট ম্যাচ খেলে ফেলেছেন। নিয়েছেন ২৭২টি উইকেট। ভারতের বিরুদ্ধে লড়াইটা সবসময় হাড্ডাহাড্ডিই হয়। ম্যাচটার মধ্যেও উত্তেজনা রয়েছে। দুই দলই তাদের ঘরাণা ক্রিকেট খেলে একে অপরের বিরুদ্ধে লড়াই করার মানসিকতা নিয়ে মাঠ উত্তাল করবে।