• facebook
  • twitter
Saturday, 19 October, 2024

বাংলার ফুটবলে সোনালি দিনকে ফিরিয়ে আনার শপথ : অজিত ব্যানার্জি

পূর্ণেন্দু চক্রবর্তী; সারা বিশ্বে ফুটবল দিবস হিসেবে ২৫ মে দিনটি চিহ্নিত করা হয়েছে৷ তাই এই দিনকে সামনে রেখেই বিভিন্ন জায়গায় ফুটবলের উন্নয়নে এবং ফুটবলের অগ্রগতিতে প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়ছে৷ আর এই দিনটাই তরুণ ফুটবলারদের একটা শপথ নেওয়ার দিন৷ কেন এই দিনটি পালন করা হয়, হয়তো অনেকের কাছে অজানা রয়েছে৷ ১৯২৪ সালে প্যারিস অলিম্পিকে প্রথম বহুদলীয় আন্তর্জাতিক

পূর্ণেন্দু চক্রবর্তী; সারা বিশ্বে ফুটবল দিবস হিসেবে ২৫ মে দিনটি চিহ্নিত করা হয়েছে৷ তাই এই দিনকে সামনে রেখেই বিভিন্ন জায়গায় ফুটবলের উন্নয়নে এবং ফুটবলের অগ্রগতিতে প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়ছে৷ আর এই দিনটাই তরুণ ফুটবলারদের একটা শপথ নেওয়ার দিন৷ কেন এই দিনটি পালন করা হয়, হয়তো অনেকের কাছে অজানা রয়েছে৷ ১৯২৪ সালে প্যারিস অলিম্পিকে প্রথম বহুদলীয় আন্তর্জাতিক ফুটবল প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল৷ তাই ওই দিনটিকেই মান্যতা দিয়েছে ইউনাইটেড নেশন৷ গত ৭ মে ২০২৪ সালে নিউইয়র্কে সাধারণ সভায়৷ তারপর থেকেই অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে এই দিনটাকে পালন করা হয়ে থাকে৷ বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফার জন্ম হয়েছিল ১৯০৪ সালের ২১ মে৷ অর্থাৎ এই বছরই ফিফা ১২০ বছরে পা রেখেছে৷

ফুটবল দিবসে নতুন অঙ্গীকার নিয়ে বাংলার অতীতের ফুটবলের ইতিহাসকে আবার ফিরিয়ে আনার জন্য শপথ নেওয়ার কথা বলেছেন আইএফএ’র সভাপতি অজিত ব্যানার্জি৷ তিনি বলেছেন, বাংলার ফুটবল একটা ইতিহাস৷ গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসে বাংলার ফুটবলারদের কদর ছিল দেখার মতো৷ ভারতীয় দল গঠন হলে সেখানে কমপক্ষে সাত থেকে আটজন জায়গা করে নিতেন জার্সি গায়ে দেওয়ার জন্য৷ ভারতীয় দলের জার্সি গায়ে দেওয়া মানেই গর্বিত হওয়া৷ ধীরে ধীরে বাংলার সোনালি দিনগুলি এই মুহূর্তে অনেকটাই হারিয়ে গিয়েছে৷ আবার অজিত ব্যানার্জি বলেন, অতীতের উজ্জ্বল ছবিকে ফিরিয়ে আনার জন্য আইএফএ থেকে বেশকিছু পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে৷ কলকাতা ফুটবলে বয়সভিত্তিক খেলা শুরু হয়েছে৷ শুধু তাই নয়, দ্বিতীয় ডিভিশন থেকে চতুর্থ ডিভিশন পর্যন্ত ভিনরাজ্যের কোনওখেলোয়াড় অংশ নিতে পারবেন না৷

ভূমিপুত্ররাই খেলবেন কলকাতা ময়দানে৷ তবে, প্রিমিয়ার ডিভিশনে বিদেশি ফুটবলাররা যেমন অংশ নিতে পারছেন না, আমরা চেষ্টা করছি আগামী দিনে ভিনরাজ্যের খেলোয়াড়দের সংখ্যা কমিয়ে দেওয়া৷ বর্তমানে সাতজন ফুটবলার খেলতে পারবেন এবং ভূমিপুত্র হিসেবে চারজনকে রাখতেই হবে দলে৷ সেটাও পরিবর্তন করার প্রয়োজন মনে হয়েছে৷ ভূমিপুত্ররা সাতজন থাকবেন দলে আর চারজন ভিনরাজ্যের খেলোয়াড় খেলতে পারবেন৷ তাহলে বাংলার ছেলেরা অনেক বেশি বিভিন্ন ক্লাবে খেলার সুযোগ পাবেন৷ আগেই যেমন বিভিন্ন জেলা থেকে বাংলার ছেলেরা ভোর হতেই কলকাতা ময়দানে চলে আসতেন বিভিন্ন ক্লাবের অনুশীলনে৷ সেই দৃশ্য আবার দেখা যাবে বলে বিশ্বাস করি৷ এবারে সভাপতি অজিত ব্যানার্জি বলেন, ইতিমধ্যেই জেলাভিত্তিক ফুটবল টুর্নামেন্ট করা শুরু হয়েছে৷ জেলার ছেলেরা প্রচুর আগ্রহ প্রকাশ করছেন এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার জন্য৷ এটা অত্যন্ত ভালো দিক৷ আমরা চেষ্টা করছি বিভিন্ন যে ফুটবল একাডেমি রয়েছে, তাদের নিয়ে প্রতিযোগিতার আয়োজন করা৷ আইএফএ শিল্ডকে আরও বেশি গুরুত্ব দিয়ে ফিরিয়ে আনতে হবে৷ প্রয়োজনে ভালো বিদেশি দলকে এনে উৎসাহিত করতে হবে বাংলার ছেলেদের৷ ফেডারেশনের সঙ্গে কথা বলে বাংলায় আন্তর্জাতিক স্তরে ফুটবল খেলার আয়োজন করার প্রয়োজন আছে৷ নেহরু কাপ শুরু হওয়ার সময় বাংলার ছেলেরা যে আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন, সেটা আমাদের জানা আছে৷ আমরা চাই এই ধরনের প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে তরুণ প্রতিভাদের তুলে আনা৷ বিশ্বাস করি বাংলার আবার স্বমহিমায় ফিরে আসবে৷ তাই ফুটবল দিবসে শপথ নেওয়া হয়েছে বাংলার সোনালি দিনকে উপহার দেওয়া হবে ফুটবল প্রেমীদের কাছে৷