ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড পরবর্তী আন্তর্জাতিক ম্যাচ শুরু হওয়ার আগে ক্রিকেটারদের নিয়ে এক বড় সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে। শোনা গেছে, বোর্ডের বার্ষিক চুক্তি তালিকা খুব তাড়াতাড়ি প্রকাশ করা হবে। তাই শনিবার বোর্ডের বিশেষ সভায় ওই ব্যাপরে সিলমোহর পড়বে। বোর্ডের সচিব দেবজিৎ সাইকিয়া ও প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীরের সঙ্গে আলোচনার পরেই হয়তো এ ব্যাপরে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এবারে এই বার্ষিক চুক্তিতে বেশকিছু রদবদল হতে পারে।
যেমন ভারতীয় ক্রিকেট দলের তারকা বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা এবং রবীন্দ্র জদেজা গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের পরেই ওই ফরম্যাট থেকে অবসর নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন। সেই কারণে একটা ফরম্যাট থেকে অবসর নেওয়ার পরে, স্বাভাবিকভাবে চুক্তি অন্যরকম হবে। এই চুক্তিতে শ্রেয়স আইয়ার, ঈশান কিশানদের ভবিষ্যৎ কী হবে, সেটা এখনই বলা যাচ্ছে না। খবর অনুসারে, গতবছর এই দুই ক্রিকেটার ঘরোয়া ক্রিকেটে অংশ না নেওয়ায় শাস্তিস্বরূপ বার্ষিক চুক্তি থেকে বাদ পড়েছিলেন। তারপর থেকে শ্রেয়স জাতীয় দলে ভালো খেলেছেন। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ী ভারতীয় দলে তিনি অন্যতম খেলোয়াড় ছিলেন। এমনকি শ্রেয়স আইয়ার ভারতীয় দলে সর্বোচ্চ রান করার কৃতিত্ব দেখিয়েছিলেন। সেই কারণে শ্রেয়স আইয়ারকে আবার বার্ষিক চুক্তির আওতায় আনা হবে কিনা, তা নিয়ে ভাবনা শুরু হয়েছে। এমনকি ঈশান কিশানের ব্যাপারটাও ভাবনার মধ্যে রয়েছে। এই বিষয়ে, আলোচনা চলছে নিভৃতে। এমনকি অক্ষর প্যাটেলকে গ্রেড ‘বি’ থেকে ‘এ’ গ্রেডে নিয়ে আসা হতে পারে। এছাড়াও দুরন্ত পারফরম্যান্স করার ফলে বরুণ চক্রবর্তী, নীতীশ রেড্ডি ও অভিষেক শর্মাকে এবারে বার্ষিক চুক্তিতে আনার কথা ভাবা হয়েছে।
এ প্লাস বিভাগে থাকা ভারতীয় ক্রিকেটাররা সাত কোটি, ‘এ’ বিভাগে থাকা ক্রিকেটাররা ৫ কোটি টাকা বার্ষিক বেতন পেয়ে থাকেন। ‘বি’ ও ‘সি’ বিভাগে থাকা ক্রিকেটাররা যথাক্রমে ৩ ও ১ কোটি টাকা করে পান। কোনও ক্রিকেটারের বার্ষিক চুক্তির আওতায় আসার ক্ষেত্রে কমপক্ষে তিনটি টেস্ট বা আটটি একদিনের ম্যাচ বা ১০টি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ম্যাচ খেলতে হবে। সেই অনুযায়ী সাতটি টেস্ট খেলা বালার আকাশদীপকে আনা হতে পারে বার্ষিক চুক্তিতে।