ভারতীয় ক্রিকেট দলের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান হিসেবে সবার আগে যে নামটা শোনা যাবে, তিনি হলেন বিরাট কোহলি। অস্ট্রেলিয়া সফরে বর্ডার-গাভাসকার ট্রফির প্রথম টেস্ট ম্যাচে বিরাট কোহলির ব্যাট থেকে এসেছে শতরান। আর এবারে দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচে শুক্রবার থেকে যে খেলা শুরু হচ্ছে, সেই দিন-রাতের খেলায় গোলাপি বলে একমাত্র বিরাটের শতরান করার কৃতিত্ব রয়েছে।
এই সংখ্যাটা দুই হতে পারত, কিন্তু গত অস্ট্রেলিয়া সফরে এই অ্যাডিলেডের মাঠেই প্রথম ইনিংসে দুরন্ত জুটি বেঁধেছিলেন বিরাট কোহলি ও অজিঙ্কা রাহানে। অধিনায়ক ছিলেন বিরাট নিজে। আর সহঅধিনায়ক ছিলেন অজিঙ্কা রাহানে। এই দুই ক্রিকেটারের ভুল বোঝাবুঝিতে বিরাট রান আউট হয়ে গিয়েছিলেন। এই রান আউটের সময় বিরাটের রানসংখ্যা ছিল ২৬। অবশ্য এই রান আউটের জন্য অজিঙ্কা রাহানে নিজেকে দোষী বলে সাব্যস্ত করেছিলেন। তাই দর্শকরা এখন বিরাটের ব্যাট থেকে গোলাপি বলে দ্বিতীয় শতরান দেখতে চাইছেন। তাহলেই বিরাট নতুন রেকর্ড গড়বেন।
টেস্ট ক্রিকেট জীবনে বিরাট কোহলি ৩০টি শতরান করেছেন। তার মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধেই সাতটি শতরান করার কৃতিত্ব রয়েছে। বর্তমান সফরের আগেই বিরাট কোহলি সেই অর্থে ফর্মে ছিলেন না। পার্থে দ্বিতীয় ইনিংসে বিরাট কোহলি আবার ছন্দে ফিরে এসে শতরান উপহার দিয়েছেন। বর্ডার-গাভাসকার ট্রফিতে সবমিলিয়ে ৯টি করে শতরান রয়েছে শচীন তেণ্ডুলকর ও বিরাট কোহলির। শচীন ৬৫টি ইনিংসে ন’টি শতরান করেন আর বিরাট কোহলি ৪৪টি ইনিংস খেলে ন’টি শতরান করেছেন। অ্যাডিলেডের মাঠে শতরান করলেই শচীনকে ছাপিয়ে যাবেন বিরাট কোহলি।
পাশাপাশি, ডল ব্র্যাডম্যানের রেকর্ডও ভেঙে দেওয়ার সুযোগ রয়েছে বিরাটের কাছে। ৭৩ বছরের পুরনো রেকর্ড রয়েছে ডন ব্র্যাডম্যানের। ইংল্যান্ডের মাটিতে ১৯ ম্যাচে তিনি ১১টি শতরান করেছিলেন। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে সব ফর্ম্যাট মিলিয়ে বিরাট ১০টি শতরান করেন। অ্যাডিলেডের মাঠে যদি বিরাটের ব্যাট থেকে শতরান আসে, তাহলে ব্র্যাডম্যানকে স্পর্শ করার সুযোগ থাকবে।