প্যারিস অলিম্পিক্স গেমসে ৫০ কেজি ফ্রি স্টাইল বিভাগে ভারতের তারকা কুস্তিগির ভিনেশ ভোগতের ওজন বেশি হওয়ায় শেষ চারে উঠেও বাতিল হয়ে যান। যখন তিনি শেষ চারে পৌঁছন, তখন দেশবাসী আশা করেছিলেন, অবশ্যই একটা রুপোর পদক আসছে কুস্তি থেকে। কিন্তু সেই আশা পুরো আঁধারে ডুবে গেল ভিনেশ ফোগতের ওজন ১০০ গ্রাম ওজন বেশি হওয়ায়। স্বপ্নভঙ্গে হতাশ হয়ে সবাই নীরব হয়ে গেলেন। তারপরে আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আদালতে মামলা করা হয়েছিল। তখন আবার অনেকেই কেউ কেউ আশা করেছিলেন হয়তো মামলার রায়ে তাঁর ব্রোঞ্জ পদক আসতেও পারে। কিন্তু সেই আশাও অন্ধকারে চলে গেল।আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আদালত জানিয়ে দিল, প্রতিযোগিতা থেকে ভারতের প্রতিনিধি ভিনেশ ফোগতকে বাতিল করা হয়েছে সুনির্দিষ্ট প্রমাণ হিসেবে। তাই কোনওভাবেই পদকের জন্য তাঁর নাম বিবেচনা করা হল না। প্রথম থেকেই যেভাবে ভিনেশ লড়াই করেছিলেন, তাতে আশা করা গিয়েছিল তাঁর হাতে অবশ্যই একটা পদক শোভা পাবে।
এদিকে ভিনেশের হাঙ্গেরিয়ান কোচ ওলার অ্যাকোস বলেছেন, শেষ চারে ভিনেশ পৌছতে দেখা গেল ওঁর ওজন ২ কেজি ৭০০ গ্রাম বেশি রয়েছে। ১ ঘণ্টা ২০ মিনিট অনুশীলন করার পরেও দেখা গেল তাঁর ওজন সেইভাবেই রয়েছে, কমেনি। তারপরে টানা ৫০ মিনিট সওনাবাথ নেওয়ার পরেও শরীর থেকে সেইভাবে ঘাম ঝরানো যায়নি। তখন আর কোনও উপায় না দেখে প্রতিযোগিতার দিন ভোরবেলায় বিভিন্ন কার্ডিও মেশিনে ব্যায়াম ও কুস্তি অনুশীলন করেছে ভিনেশ। ৪৫ মিনিট অনুশীলন করার পরে ২-৩ মিনিট বিশ্রামের পরে আবারও ব্যায়াম করে। তারই মধ্যে একবার জ্ঞান হারিয়ে পড়ে যান ভিনেশ। তারপরে আমরা ভিনেশকে কোনওক্রমে দাঁড় করাই। তারপরে আবার সওনাবাথ ১ ঘণ্টা ধরে চলে। তখন ভিনেশকে দেখে ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। তার প্রধান কারণ হল, ওজন কমাতে গিয়ে শারীরিকভাবে সে কাহিল হয়ে পড়েছিল, তাতে মৃত্যুও হতে পারত। সোশ্যাল মিডিয়াতে কোচ যে পোস্ট করেছিলেন, তা নিয়ে বিতর্ক ও সমালোচনা তৈরি হওয়ার পরে রাতারাতি তিনি তা ডিলিট করে দেন। কিন্তু ডিলিট করে দিলেও সমালোচনা এখনও চলছে।