চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতের জয়ের পিছনে বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন বোলার বরুণ চক্রবর্তী। তাই বরুণের নাম এখন সবার মুখে মুখে ঘুরছে। চার বছর আগে ভারতীয় দলে বরুণ ডাক পেলেও সেইভাবে নিজেকে প্রকাশ করতে ব্যর্থ হন। যার ফলে বাদের তালিকায় চলে যান। আবার চলতি বছরে ডাক পান বরুণ ভারতীয় দলে খেলার জন্য। বরুণের ডাক পাওয়া নিয়ে সমালোচকরা নানারকম কথা বলেছিলেন। বরুণ সেইসব কথা হজম করেও নিজেকে আরও ব্যস্ত রেখেছিলেন অনুশীলনের মধ্যে। অবশেষে এই সমালোচনার জবাব দিলেন বরুণ তাঁর খেলার মধ্যে দিয়ে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে তিনটি ম্যাচে বরুণের কৃতিত্ব দেখতে পাওয়া গিয়েছে। তিনটি ম্যাচে ৯টি উইকেট নিয়েছেন বরুণ। অধিনায়ক রোহিত শর্মা যতবারই বরুণের উপর ভরসা রেখেছেন, ততবারই তিনি সফল হয়েছেন। এবারে আইপিএল ক্রিকেটে বরুণ চক্রবর্তী কলকাতা নাইটরাইডার্স দলের হয়ে খেলবেন। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জেতার পরে কাপটি হাতে তুলে নিয়ে চুম্বনে ভরিয়ে দিয়েছিলেন। আর তারপরেই তিনি বলেছিলেন, এই কাপ পাওয়াটা একটা আলাদজা অনুভূতি। লড়াইয়ের মধ্যে থেকে একে জয় করতে হয়। তাই অনেক পথ হাঁটতে হয়েছে এই জায়গায় পৌঁছতে।
বরুণ বলেন, চার বছর আগে এই দুবাইয়ের মাঠে ক্রিকেট জীবনের সূত্রপাত ঘটে। তখন অবশ্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দলের সদস্য ছিলেন। সেই টুর্নামেন্টে বরুণের বলে কেউই আউট হননি। অর্থাৎ তাঁর ভাগ্যে একটাও উইকেটও জোটেনি। যার ফলে ক্রিকেট জীবনে ভারতীয় দলের হয়ে খেলা ওখানেই শেষ হয়ে গেল। কিন্তু বরুণ সেই কথাকে সেইভাবে জায়গা না দিয়ে আরও অনুশীলনের মধ্যে দিয়ে নিজেকে তৈরি করে নেন। সেই সময় অনেক সমালোচনার মধ্যে পড়তে হয়েছিল। সেই সমালোচনার কোনও জবাব দেননি। কিন্তু এবারে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতে সেই জবাব দিলেন বরুণ চক্রবর্তী। আবার ভারতীয় দলে ফিরে এসেছেন। ভালো খেলেছেন। সুযোগ পেয়েছেন একদিনের দলে। প্রথমে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতীয় দলে তাঁর জায়গা ছিল না। কিন্তু পরবর্তীতে তাঁর ডাক আসে। এবং গ্রুপের শেষ ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলার সুযোগ পান এই স্পিনার। ওই ম্যাচে তিনি পাঁচটি উইকেট দখল করেন। তারপরে আর ফিরে তাকাতে হয়নি। কোচ গৌতম গম্ভীর ও অধিনায়ক রোহিত শর্মা কোনওভাবেই দল থেকে বরুণকে বাদ দেননি। চ্যাম্পিয়ন হয়ে বরুণ সেই সুযোগের সদ্বব্যবহার করেছেন। তবে এই সফাল্যের জন্য প্রচুর পরিশ্রম করতে হয়েছে বরুণকে। তাই এই সাফল্যের ভাবনায় নিজেকে সবসময় তিনি স্বপ্ন দেখেছেন।