কোপা অমেরিকার সেমিফাইনাল ম্যাচ ছিল কলম্বিয়ার সঙ্গে উরুগুয়ের। ওই ম্যাচে উরুগুয়ে হেরে যাওয়ার পরেই দর্শকদের মধ্যে গণ্ডগোল শুরু হয়। ওই ম্যাচ শেষ হতেই উরুগুয়ের খেলোয়াড়দের উদ্দেশে সমর্থকরা নানারকম কটূক্তি করছিলেন। শুধু তাই নয়, কলম্বিয়ার সমর্থকরা টুপি, ক্যান ও অন্যান্য জিনিস ছুঁড়ে মারছিলেন উরুগুয়ের ফুটবলারদের উদ্দেশে। এই ঘটনায় উরুগুয়ের খেলোয়াড় ডারউইন নুনেজ উত্তেজিত হয়ে গ্যালারিতে সোজা ছুটে যান এবং এক সমর্থককে তিনি ঘুষিও মারেন। এই ঘটনার পরেই সারা গ্যালারি উত্তেজিত হয়ে যায়।
শুধু নুনেজ নয়, তাঁর সঙ্গে গিমিনেজ ও আরাউজোও গণ্ডগোলে জড়িয়ে পড়েন। গণ্ডগোল এমন জায়গায় পৌঁছয়, তা থামাতে নিরাপত্তারক্ষীদের ছুটে আসতে হয়েছিল। উরুগুয়ের খেলোয়াড়দের এই অভব্য আচরণকে কোনওভাবেই মেনে নেওয়া সম্ভব নয় বলে ম্যাচ কমিশনারের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়। দর্শকদের প্রতি যে ব্যবহার করেছেন ফুটবলাররা, তা কোপা আমেরিকা ফুটবলের আয়োজক সংস্থার কর্মকর্তারাও মেনে নেননি। তারপরেই প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটির কাছে এই রিপোর্ট পৌঁছে যায়। কমিটির সদস্যদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ওই খেলোয়াড়দের শাস্তি দেওয়া হয়।
বিশেষ করে নুনেজের ব্যবহারের জন্য পাঁচ ম্যাচ তাঁকে নির্বাসন দেওয়া হয়। শুধু নির্বাসন নয়, তার সঙ্গে ১৬ লক্ষ ৭৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। নুনেজ বাদে অন্য দুই খেলোয়াড়কে তিন ম্যাচ নির্বাসিত করা হয়। তাঁদের প্রত্যেককেই আর্থিক জরিমানা দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে বেন্টাঙ্কুরকে ১৩ লক্ষ ৪২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বাকি তিন জনকে প্রাত ১০ লক্ষ ৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
নির্বাসনের ফলে নুনেজেরা ২০২৬ সালের বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের কিছু ম্যাচ খেলতে পারবেন না। প্যারাগুয়ে, ভেনেজুয়েলা, পেরু, ইকুয়েডর, কলম্বিয়া এবং ব্রাজিলের বিরুদ্ধে ম্যাচ রয়েছে উরুগুয়ের।