• facebook
  • twitter
Thursday, 9 January, 2025

গুয়াহাটিতেই ডার্বি ম্যাচে নামছে কলকাতার দুই প্রধান

ইস্টবেঙ্গল অভিযোগ করেছিল, ডার্বির দিন এগিয়ে এলেও আয়োজক মোহনবাগানের তরফে মাঠের ব্যাপারে কিছু জানানো হয়নি। সে কারণে বিমান বা হোটেল বুকিংও করতে পারেনি তারা।

প্রতীকী চিত্র

এই প্রথম অসমের গুয়াহাটিতে আইএসএল ফুটবলের ফিরতি ডার্বি ম্যাচ হচ্ছে আগামী ১১ জানুয়ারি। গঙ্গাসাগর মেলার জন্য রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল ওইদিন পুলিশ দেওয়া সম্ভব হবে না। তাই ডার্বি-ম্যাচ নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। এফএসডিএল জানিয়ে দিয়েছিল কোনওভাবে দিন পরিবর্তন করা সম্ভব হচ্ছে না। তখনই প্রাথমিকভাবে ভুবনেশ্বর, জামশেদপুর বা দিল্লিতে আয়োজনের কথা ভাবা হয়। শেষ পর্যন্ত দর্শকদের কথা ভেবে গুয়াহাটিতেই ডার্বি ম্যাচ করার সিদ্ধান্ত হল। বুধবার সকালে আনুষ্ঠানিক ভাবে এই ঘোষণা করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, কয়েক দিন আগে প্রশাসন জানিয়ে দিয়েছিল, ডার্বিতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দিতে পারবে না তারা। তাই ডার্বি কলকাতার বাইরে সরেছে। সাধারণত, কলকাতার বাইরে খেলা হলে দুই প্রধান জামশেদপুর বা ভুবনেশ্বরে খেলতে চায়। কিন্তু এ ক্ষেত্রে ঝাড়খণ্ড বা ওড়িশা নয়, অসমের মাঠে হবে খেলা। ১১ জানুয়ারি নির্ধারিত সময়ে গুয়াহাটির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে হবে খেলা। নব মহাকরণে রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস জানিয়েছিলেন, গঙ্গাসাগর মেলার কারণে ডার্বিতে পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়া সম্ভব নয়। তাঁরা আইএসএল আয়োজকদের হাতে দায়িত্ব ছাড়েন।

৮ জানুয়ারি থেকে ১৭ জানুয়ারি গঙ্গাসাগর মেলা চলবে। সেই মেলা আয়োজন এবং পুণ্যার্থীদের যাতায়াতের খেয়াল রাখার জন্য প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করতে হয়। পাশাপাশি রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে একাধিক জঙ্গি ধরা পড়ায় নিরাপত্তা এমনিতেই আঁটসাঁট করা হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে জঙ্গি অনুপ্রবেশের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। গঙ্গাসাগরের জন্যই ১৩ হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হচ্ছে। তাই ডার্বির জন্য আর পুলিশ দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে রাজ্য। তাই খেলার কেন্দ্র বদলেছে।

ইস্টবেঙ্গল অভিযোগ করেছিল, ডার্বির দিন এগিয়ে এলেও আয়োজক মোহনবাগানের তরফে মাঠের ব্যাপারে কিছু জানানো হয়নি। সে কারণে বিমান বা হোটেল বুকিংও করতে পারেনি তারা। তবে সেই দাবি উড়িয়ে দিয়েছে মোহনবাগান। তারা জানিয়েছে, অনেক দিন আগেই ইস্টবেঙ্গলের বিনিয়োগকারী সংস্থা ইমামিকে এ ব্যাপারে জানানো হয়েছে। গুয়াহাটিতে হোটেল এবং বিমান বুকিংও নাকি হয়ে গিয়েছে।