আজ এএফসি কাপে ইস্টবেঙ্গলের বদলার ম্যাচ

টানা ন’বছর বাদে ইস্টবেঙ্গল এএফসি কাপ ফুটবলে খেলতে নামছে। বুধবার এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ লিগ-২-এর প্লেঅফ ম্যাচে ইস্টবেঙ্গল খেলবে তুর্কমেনিস্তানের আল্টিন আসির ক্লাবের সঙ্গে। খেলা হবে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গণে। লাল-হলুদ সমর্থকরা গ্যালারি ভর্তি করার জন্য উৎসুক হয়ে রয়েছেন। আগামী রবিবার ডুরান্ড কাপ ফুটবলে ডার্বি ম্যাচের আগে এই খেলা ইস্টবেঙ্গলের কাছে নতুন উন্মাদনা। সমর্থকরা চাইছেন, এই ম্যাচে জয় তুলে নিয়ে আত্মবিশ্বাসে ভরপুর হয়ে উঠুক দল। প্রতিপক্ষ দল বেশ শক্তিশালী। তার প্রধান কারণ হল, এই দলে বেশ কয়েকজন ভালো বিদেশি ফুটবলার রয়েছেন। তারপরেও তারা দীর্ঘদিন ধরে একই দলের হয়ে মাঠে নামছেন। সেই কারণেই তাঁদের মধ্যে সমন্বয়টা খুবই ভালো। ২০১৮ সালে এএফসি কাপে ইন্টারজোনাল সেমিফাইনালে আল্টিন আসির দলের কাছে দু’দফায় সেমিফাইনাল ম্যাচে হেরে গিয়েছিল বেঙ্গালুরু এফসি। কার্যত সেই সময় সুনীল ছেত্রীদের ওরা নাস্তানাবুদ করে ছেড়ে দিয়েছিল।

ইস্টবেঙ্গলের কোচ কার্লোস কুয়াদ্রাত বলেছেন, আমাদের কাছে এই ম্যাচটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রতিশোধ নেওয়ার। তিনি বলেন, শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধে লড়াইটা খুব কঠিন এবং চ্যালেঞ্জের। তবুও লাল-হলুদ শিবিরের ফুটবলাররা কোনও সময়ের জন্য ছেড়ে কথা বলবেন না। অবশ্যই ঘরের মাঠে খেলছে, তাই সমর্থকরাও খেলোয়াড়দের উৎসাহিত করবেন তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। এশিয়া ক্লাব পর্যায়ের একাধিক ম্যাচে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে প্রতিপক্ষ দলের, এটাও কিন্তু ভাবতে হবে। তাই ইস্টবেঙ্গল দলের তালাল ও ক্রেসপোরা নিজেদের মধ্যে তৈরি হয়ে গেছেন সম্মুখ সমরে লড়াই করার জন্য।

চোটের কারণে জিকশন সিং নাও খেলতে পারেন। ক্লেটন সিলভা ৯০ মিনিট খেলার মতো জায়গায় নেই। তবুও কোচ কার্লোস কুয়াদ্রাত বলেছেন, অনেক তাড়াতাড়ি এএফসি কাপ পর্যায়ে আমাদের ম্যাচ খেলতে হচ্ছে। এরই মধ্যে চলছে কলকাতা ফুটবল লিগ, ডুরান্ড কাপ সহ অন্যান্য টুর্নামেন্ট। তারপরেও ট্রান্সফার উইন্ডো এখনও শেষ হয়নি। আরও ফুটবলারদের নেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে।


তবে দিমিত্রিয়স ডায়ামান্টাতোস চোট সারিয়ে অনুশীলনে ফিরেছেন। সেই কারণেই গ্রীক এই ফুটবলারকে প্রথম একাদশে রাখার কথা ভেবেছেন কোচ। আবার নন্দকুমারও চোট সারিয়ে অনুশীলনে নমে পড়েছেন। তাঁকেও হয়তো বুধবারের ম্যাচে দেখা যেতে পারে। আল্টিন আসির বেশ ভালো জায়গায় রয়েছে। তাই কোচ কুয়াদ্রাত চাইছেন প্রতিপক্ষ দলের বিরুদ্ধে শুধু চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেওয়া নয়, ম্যাচ জেতাটাই প্রধান লক্ষ্য। তাই বলতে দ্বিধা নেই কুয়াদ্রাতের পাখির চোখ বলতেই এই মুহূর্তে বদলা ম্যাচে পিনপয়েন্ট।