এশিয়ান গেমসে যে হারে প্রতিযোগীর সংখ্যা ক্রমেই বেড়ে চলেছে তাতে আয়োজক দেশের পক্ষ থেকে পরিষেবা দিতে সমস্যা তৈরি হচ্ছে। সেই কারণেই। আগামী গেমস থেকেই খেলোয়াড়ের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হচ্ছে। ৩২টি দলের বদলে ফুটবল হবে আটটি দলকে নিয়ে।
আগামী এশিয়ান গেমসের আয়োজক জাপান। ৪৫টি দেশের কয়েক হাজার ক্রীড়বিদ অংশগ্রহণ করবেন। বিভিন্ন দেশের খেলোয়াড়, কোচ, সাপোর্ট স্টাফ, কর্তাদের থাকার জন্য গেমস ভিলেজ তৈরি না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাপান। খেলোয়াড়দের থাকার জন্য বিকল্প ব্যবস্থা করার প্রয়াস নেওয়া হয়েছে।
অলিম্পিক কাউন্সিল অফ এশিয়ার বৈঠকে অভিনব এশিয়ান গেমস আয়োজনের কথা জানিয়েছেন সুনেকাজু তাকেদা। জাপান অলিম্পিক কমিটির প্রাক্তন সভাপতি জানিয়েছেন, তাঁরা এশিয়ান গেমসের জন্য ‘ভিলেজ’ নির্মাণ করবেন না। কারণ, বেশির ভাগ সময়ই দেখা যায়, বিভিন্ন গেমসের জন্য তৈরি বহুতলগুলি পরে পরিত্যক্ত অবস্থায় পরে থাকে। ভিলেজ তৈরি করতে প্রচুর অর্থ ব্যয় হয়ে থাকে। তাই এ বার বিকল্প ব্যবস্থার পরিকল্পনা করা হয়েছে। তাকেদা জানিয়েছেন, খেলোয়াড়দের মতো ম্যাচ অফিসিয়াল, এবং কর্তাদের থাকার জন্যও একই ব্যবস্থা থাকবে আসন্ন এশিয়ান গেমসে।
কী সেই ব্যবস্থা? বিভিন্ন দেশের খেলোয়াড়, কোচ, কর্তাদের থাকার ব্যবস্থা করা হবে দুই আয়োজক শহরের হোটেলগুলিতে এবং আইচি প্রিফেকচারের হোটেলগুলিতে। কিছু বিলাসবহুল জাহাজও (ক্রুজ) থাকবে। তাকেদা বলেছেন, ‘‘আমরা কোনও গেমস ভিলেজ তৈরি করছি না। দু’টি শহর মিলিয়ে গেমস হবে। পরিবর্তে আমরা বিভিন্ন হোটেলে সকলের থাকার ব্যবস্থা করছি।
জাপানের এই প্রস্তাব মানতে পারেননি অলিম্পিক কাউন্সিল অফ এশিয়ার অধিকাংশ সদস্য। তাঁদের বক্তব্য, এই ব্যবস্থায় গেমসের স্পিরিট নষ্ট হবে। অলিম্পিক কাউন্সিল অফ এশিয়ার নবনিযুক্ত সভাপতি রণধীর সিংহ সরাসরি বিরোধিতা না করলেও অসন্তোষ গোপন করেননি। তিনি বলেছেন, একটা নির্দিষ্ট জায়গায় ভিলেজ তৈরি করা উচিত। বিভিন্ন দেশের তরুণ প্রজন্মকে এক জায়গায় রাখাটাও গুরুত্বপূর্ণ। এশিয়ান গেমসে প্রতি বছরই বৃদ্ধি পাচ্ছে খেলোয়াড়ের সংখ্যা। আগামী গেমস থেকে এই সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করতে চায় অলিম্পিক কাউন্সিল অফ এশিয়া। রণধীর জানিয়েছেন, গত বারের গেমসে ৩২টি দেশ অংশগ্রহণ করেছিল ফুটবলে। এ বার থেকে প্রথম আটটি দল সুযোগ পাবে। ব্যক্তিগত ইভেন্টগুলিতে একটি দেশের দু’তিন জনের বেশি প্রতিনিধিত্ব করতে পারবেন না।