মাঠ জীবনের রসদ, তাই এর পরিচর্যার অর্থ সুস্থ পরিবেশ গড়ে তোলা। নানা সমস্যা কাটিয়ে পুনরায় ছন্দে ফিরছে বারাসতের বিদ্যাসাগর ক্রীড়াঙ্গন। বুধবার সেই ক্রীড়াঙ্গন পরিদর্শন করলেন রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। সামান্য মাটি খুঁড়ে, নরম ঘাসে হাত বুলিয়ে মন্ত্রী পরখ করে নিলেন মাঠের অবস্থা। সেই সঙ্গে ক্রীড়াঙ্গনের প্রশংসা করে জানালেন এর ভবিষ্যত। ক্রীড়ামন্ত্রী সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘মাঠটি খেলাধুলোর জন্য প্রায় প্রস্তুত। মাঠে মূলত মাটি রয়েছে, বালির পরিমান সামান্য। মাস-দুয়েক সময় লাগবে মাঠের ঘাসগুলি ভালো ভাবে তৈরি করতে। এই ক্রীড়াঙ্গনে কলকাতা প্রিমিয়ার লিগের খেলা হবে। পাশাপাশি প্রিমিয়ার লিগের খেলা লাইভ টেলিকাস্টও হবে।
এদিনের পরিদর্শন-পর্বে ক্রীড়ামন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ, সাংসদ পার্থ ভৌমিক, প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বিধায়ক জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসক শরদ কুমার দ্বিবেদী, বারাসত পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার প্রতীক্ষা ঝারখরিয়া, বারাসত পুরসভার চেয়ারম্যান অশনি মুখোপাধ্যায়-সহ অন্যান্য প্রশাসনিক আধিকারিকগণ। পরিদর্শন শেষে মাঠেই খানিক ফুটবল খেলেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, মন্ত্রী রথীন ঘোষ, বিধায়ক জ্যোতিপ্ৰিয় মল্লিক এবং সাংসদ পার্থ ভৌমিক।
সংশ্লিষ্ট স্টেডিয়ামের পরিকাঠামো কি স্বয়ংসম্পূর্ণ নাকি বাড়তি সংযোজনের পরিকল্পনা করছেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ২০১১-র পর থেকে এখনও পর্যন্ত ৭৮টি মাঠ তথা স্টেডিয়াম আমরা তৈরি করেছি রাজ্য জুড়ে। রাজ্যের ক্রীড়াক্ষেত্রকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় যেভাবে ঢেলে সাজিয়েছেন, তা ভারত তথা বিশ্বের কোনো প্রান্তে কেউ করেছেন কিনা সন্দেহ রয়েছে।
বিশেষত বারাসত অঞ্চল ক্রীড়াক্ষেত্রে যথেষ্ট উন্নতি সাধন করেছে কারণ এখানের রথীন ঘোষ থেকে পার্থ ভৌমিক, জ্যোতিপ্ৰিয় মল্লিক প্রত্যেক জনপ্রতিনিধিই খেলা-পাগল মানুষ। গত দুই বছর একাধিক সমস্যায় জর্জরিত ছিল বিদ্যাসাগর ক্রীড়াঙ্গন। এর আগেও এই স্টেডিয়াম পরিদর্শন করে মাঠের কৃত্রিম ঘাস তুলে ফেলার এবং মাঠের নিরাপত্তাকর্মীদের ছাঁটাই করে নতুন ভাবে দায়িত্ব দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন ক্রীড়ামন্ত্রী। এরপর স্টেডিয়ামটি সেজে উঠেছে নতুন ভাবে। খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ বলেন, ‘মাঠ বাঁচাতে হবে, খেলাধুলা মাঠের শোভা। কেবল টুর্নামেন্ট করে মনোরঞ্জন করলেই হবে না, আমাদের ঘরের ছেলেমেয়েরা একদিন পৌঁছে যাবে বিশ্বের দরবারে।’ সেই লক্ষ্যেই পরিচালিত হচ্ছে খেলার মাঠ।