এখন শুধু আইপিএল ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলার অপেক্ষায়। এবারে এই প্রতিযােগিতা থেকে বেশ কয়েকজন তরুন প্রতিভাদের খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। তাদের মধ্যে মুম্বই ইন্ডিয়ানস দলের অন্যতম ক্রিকেটার ঈশান কিষান। তার দুরন্ত ব্যাটিং পাওয়ার দেখার মতন। ১৩ ম্যাচে রান করেছেন ৪৮৩ অর্থাৎ ৫৫ রান গড়ে করেছেন। রান রেট ১৪৪.৭ ।
আবার রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বাঁহাতি ওপেনার দেবদত্ত পাড়িকল সেরা খেলােয়াড়দের অন্যতম। তিনি সর্বোচ্চ রান করার কৃতিত্ব দেখিয়েছেন। তাঁর সংগ্রহে ৪৭৩ রান। তাই সবার নজর কেড়ে নেন দেবদত্ত।
কলকাতা নাইট রাইডার্স দলের শুভমন গিল সেরা আবিষ্কারের মধ্যে রয়েছেন। তার প্রতিভার বিকাশ দেখতে পাওয়া গিয়েছে। আগামী দিনে শুভমন গিলের প্রতিভার বিচ্ছুরণ দেখতে পাওয়া যাবে। ভারতীয় দলে পাকাপাকি জায়গা হয়ে যাবে। ধারাবাহিক সাফল্য কথা বলেছে। তার সংগ্রহে ৪৪০ রান ।
এবারের লড়াইয়ে লড়াকু ভূমিকা নিয়েছে চেন্নাই সুপার কিংস দলের ঋতুরাজ গাইকোয়াড়। বলতে পারা যায় এবারে চেন্নাই দলের সেইভাবে পারফরমেন্স চোখে পড়েনি। তারই মাঝে ঋতুরাজের ভূমিকা ছিল উল্লেখযােগ্য। খেলা শুরু হওয়ার আগে করােনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন ঋতুরাজ। তবুও করােনা থেকে মুক্তি পাওয়ার পরে শেষ তিন ম্যাচে ঋতুরাজ দলকে জেতানাের পিছনে বড় ভূমিকা নেন। ৬ ম্যাচে রান করেছেন ২০৪।
মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের স্পিনার রাহুল চাহার অনেকের ধারণা ভুল প্রমাণ করে দিয়ে ওপরের সারিতে জায়গা করে নিয়েছেন। ফাইনালের আগে তিনি ১৫ টি উইকেট পান। তরুণ স্পিনার হিসেবে নতুন আবিষ্কার।
সানরাইজার্স হায়দরাবাদের আবদুল সামাদ কাশ্মীরের ছেলে। তরুণ অলরাউন্ডার। সেইভাবে নজর কাড়তে পারেননি। তবে তার মধ্যে ভালাে খেলবার প্রবণতা আছে। ব্যাটে জোর আছে। সহজে বল উড়িয়ে খেলতে পারেন। বল করতে মুন্সিয়ানার পরিচয় দিয়ে, থাকেন।
এবারের প্রতিযােগিতায় বেশ নাম করেছেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর ওয়াশিংটন সুন্দর। চাপের মুখে নিয়মিত বােলিং করে সুনাম অর্জন করেন। প্রয়ােজনে ছক্কা মারার ইচ্ছা রয়েছে।
রবি বিঞ্চোই সুনাম কুড়িয়েছেন কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব দলের হয়ে। গত বছর অনুর্ধ্ব -১৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেটে প্রথমে তিনি নজরে আসেন। অনেকেই আশা করেছিলেন রবির প্রকাশ পাবে দারুণভাবে। তবে ১৪ ম্যাচে ১৪ উইকেট পেয়েছেন। পাঞ্জাব দলের কাছে বড় ভরসা বলে চিহ্নিত হয়েছিলেন।
আবার সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বাঁহাতি বােলার টি নটরাজন প্রশংসা কুড়িয়ে নিয়েছেন। ভুবনেশ্বর কুমার চোট পাওয়ার পরে টি নটরাজনের সুযােগ আসে। সুযােগ পেয়ে নজরে চলে আসেন। পাওয়ার প্লে ও ডেথ ওভারে বল করার দক্ষতা আছে। নিখুত ইয়র্কর বল করতে পারেন। তার দখলে রয়েছে ১৬ টি উইকেট।
আর কলকাতা নাইট রাইডার্স দলের শিবম মাণ্ডি নিজেকে মেলে ধরেছেন। দলের অন্যতম ভরসা ছিলেন। ৮ ম্যাচে তার দখলে এসেছে ৯ উইকেট।
তাদের পাশাপাশি অশদীপ সিং, কমলেশ নাগারকোটি, সুদীপ ত্যাগী, সঞ্জু স্যামসন, প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা, প্রিয়ম গর্গ, সূর্যকুমার যাদব, সন্দীপ শর্মা ও মহম্মদ সিরাজরা নিজ নিজ দলের হয়ে ভালাে পারফরমেন্স দেখিয়েছেন।